যমালয়ে জীবন্ত মানুষ
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ হল ১৯৫৮ সালের একটি ভারতীয় বাংলা ভাষার প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। যা প্রফুল্ল চক্রবর্তী [১][২] পরিচালিত এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযানের সদস্য অনন্ত সিং প্রযোজিত।[৩] একই নামের দীনবন্ধু মিত্রের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ১৯৫৮ সালে রাজকুমারী চিত্রমন্দিরের ব্যানারে মুক্তি পায়। এটি ১৯৬০ সালে তেলুগুতে দেবন্থাকুডু এবং তামিল ভাষায় সি. পুল্লাইয়া দ্বারা নান কান্দা সোরগাম হিসাবে পুনর্নির্মিত হয়েছিল।[৪]
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ | |
---|---|
![]() ডিভিডি প্রচ্ছদ | |
পরিচালক | প্রফুল্ল চক্রবর্তী |
প্রযোজক | অনন্ত সিং |
উৎস | দীনবন্ধু মিত্র কর্তৃক যমালয়ে জীবন্ত মানুষ |
প্রযোজনা কোম্পানি | রাজকুমারী চিত্রমন্দির |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৭ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
পটভূমি
সম্পাদনাগ্রামের ছেলে সিদ্ধেশ্বর (ওরফে সিদ্ধ) মাধুরীকে ভালোবাসে, যে হরি নামক ধনী গ্রামের প্রধানের মেয়ে। কিন্তু হরি কখনই সিদ্ধকে তার জামাই হিসেবে মেনে নেবে না। যখন তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন হরি কিছু গুন্ডা পাঠায় যারা প্রায় সিন্ধুকে হত্যা করে। এই ঘটনায় মাধুরী আত্মহত্যা করে এবং ভুলবশত সিদ্ধকে জীবিত থাকা অবস্থায়ই নরকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে সিদ্ধ নরক ও স্বর্গে বিপ্লব শুরু করে এবং তার মৃত প্রিয় ষাঁড়ের সাহায্যে হিন্দু মৃত্যুর দেবতা যমরাজ ও চিত্রগুপ্তকে নরক থেকে তাড়িয়ে দেয়। সিদ্ধ পুরনো নিয়ম-কানুন দূর করে যা যমরাজ ও তার প্রধান সহকারী চিত্রগুপ্ত তৈরি করেছিল; তার সহযোগী হয় বিচিত্রগুপ্ত। পরে বিষ্ণু ও লক্ষ্মী সিদ্ধর কাছে আসে এবং বিষ্ণু তাকে আশীর্বাদ করে মাধুরীর সাথে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেন। হরি তাদের আনন্দের সাথে গ্রহণ করে।
অভিনয়শিল্পী
সম্পাদনা- সিধুর চরিত্রে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
- মাধুরী চরিত্রে বাসবি নন্দী
- হরিনারায়ণের চরিত্রে ছবি বিশ্বাস
- পাহাড়ী সান্যাল
- যমরাজের চরিত্রে কমল মিত্র
- তুলসী চক্রবর্তী
- বিচিত্রগুপ্তের চরিত্রে জহর রায়
- হরিধন মুখোপাধ্যায়
- শ্যাম লাহা
- নৃপতি চট্টোপাধ্যায়
- লালুর চরিত্রে জীবন বোস
- অপর্ণা দেবী
- অজিত চ্যাটার্জি
- গেমার হিসেবে সুভজিৎ সাহা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Jamalaya Jibanta Manush"। ২০১৮-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Ashish Rajadhyaksha, Paul Willemen (১০ জুলাই ২০১৪)। Encyclopedia of Indian Cinema। আইএসবিএন 9781135943189। ২০১৮-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Gupta, Saibal (জুলাই ১৬, ২০১৫)। "Revealed: Inside story of the 1968–69 Calcutta robberies"। The Times of India। ২০১৭-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Narasimham, M. L. (১০ মার্চ ২০১৬)। "Blast from the Past: Devanthakudu (1960)"। The Hindu। ২০১৬-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।