যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত

বাঙালি কবি

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (২৬ জুন ১৮৮৭ - ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪) ছিলেন বাংলা ভাষার একজন কবি ও লেখক।

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
জন্ম২৬ জুন ১৮৮৭
পাতিলপাড়া, পূর্ব বর্ধমান জেলা, ভারত (মাতুলালয়)[১][২]
মৃত্যু১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪(1954-09-17) (বয়স ৭৪)
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণকবি

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার পাতিলপাড়ায় মাতুলালয়ে।[১][২] পৈতৃক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় শান্তিপুরের অদূরে হরিপুর গ্রামে।[৩] তিনি ১৯১১ সালে হাওড়ার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে নদীয়া জেলা বোর্ড ও পরে কাশিমবাজার রাজ স্টেটে কাজ করেন।[৪]

সাহিত্যজীবন সম্পাদনা

পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন প্রকৌশলী এবং নদীয়া জেলা বোর্ড ও কাশিমবাজার স্টেটে তিনি ওভারসীয়ার হিসেবে কাজ করেন। বাংলা কাব্যকে তিনি সনাতন ভাবালুতা ও রহস্যময়তার নিগড় থেকে মুক্ত করতে যত্নবান ছিলেন। সেজন্য বাংলা কাব্যকে অবাস্তব কল্পনার জগৎ থেকে কঠোর বাস্তবে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাকে একজন পথিকৃৎ বলা চলে। বোধগম্যতার কারণেই তার কাব্যে ব্যাঙ্গের সুর তীব্র এবং কাব্যের নামকরণও তাই ভিন্নধর্মী।[৫]

কবিতাবলি সম্পাদনা

  • অনুপূর্বা(১৯৪৬)
  • মরুমায়া (১৯৩০)
  • সায়ম (১৯৪০)
  • ত্রিযামা (১৯৪৮)
  • কাব্য পরিমিতি (১৯৩১)
  • মরীচিকা (১৯২৩)
  • মরুশিখা (১৯২৭)
  • নিশান্তিকা (১৯৫৭)

প্রভৃতি তার কাব্যগ্রন্থ[৩] শেষ বয়সে ম্যাকবেথ, হ্যামলেট, ওথেলো, শ্রীমদ্ভগবদগীতা, কুমারসম্ভব ইত্যাদির অনুবাদ কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "কবির জন্মভিটে সংরক্ষণের দাবি"। আনন্দবাজার পত্রিকা। 
  2. সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান, সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র ও বসু, অঞ্জলি, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪২৬
  3. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৩৩২।
  4. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৯৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  5. রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; তৃতীয় মুদ্রণ; জুলাই, ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৬৩