ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স

ইংরেজ ক্রিকেটার

নর‍ম্যান স্টুয়ার্ট ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স (ইংরেজি: Mandy Mitchell-Innes; জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪ - ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৬) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী শৌখিন ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স
আনুমানিক ১৯৩৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামনর‍ম্যান স্টুয়ার্ট মিচেল-ইন্স
জন্ম(১৯১৪-০৯-০৭)৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৪
কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৮ ডিসেম্বর ২০০৬(2006-12-28) (বয়স ৯২)
মনমাউথশায়ার, ওয়েলস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম, ফাস্ট
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৮৩)
১৫ জুন ১৯৩৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩১ - ১৯৪৯সমারসেট
১৯৩৪ - ১৯৩৭অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৩২
রানের সংখ্যা ৬,৯৪৪
ব্যাটিং গড় ৫.০০ ৩১.৪২
১০০/৫০ ০/০ ১৩/৩২
সর্বোচ্চ রান ২০৭
বল করেছে ৪,৮৯৭
উইকেট ৮২
বোলিং গড় ৩৪.৭০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং –/– ৪/৬৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৫১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট, স্কটল্যান্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ফাস্ট বোলিং করতেন ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স

শৈশবকাল সম্পাদনা

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪ তারিখে কলকাতায় নর‍ম্যান স্টুয়ার্ট মিচেল-ইন্সের জন্ম। পিতা স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী ছিলেন। নর‍ম্যান নামীয় তার পিতা ও তার দাদা গিলবার্ট - উভয়েই তুখোড় গল্ফার ছিলেন।[১] তন্মধ্যে, নর‍ম্যান ১৮৯৩ ও ১৮৯৪ সালে নিখিল ভারত শৌখিন গল্ফ চ্যাম্পিয়ন হন।[২] পরেরজন প্রেস্টিক গল্ফ ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

পাঁচ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে চলে যান। সমারসেটের মাইনহেড এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। কামব্রিয়াভিত্তিক সেডবার্গ স্কুল থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হন। সেডবার্গে থাকাকালীন ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে দ্রুত গড়ে তুলেন। ১৫ বছর বয়সে বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশ দলে খেলেন। পরের বছরেই অভ্যন্তরীণ খেলায় এক বিকেলের মধ্যেই ৩০২ রানে অপরাজিত ছিলেন।[১] ১৯৩১ সালের গ্রীষ্মকালে সেডবার্গের সদস্যরূপে ডারহাম স্কুল ও স্টোনিহার্স্ট কলেজের বিপক্ষে দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলার অংশগ্রহণের জন্যে সমারসেট থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। টানটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় অংশগ্রহণকল্পে তাকে স্কটল্যান্ড থেকে সারারাত ট্রেনে চড়ে আসতে হয়।[৩] খেলায় তিনি দুই উইকেট পান ও ২৩ রান সংগ্রহ করেন। ঐ খেলাটি ড্রয়ে পর্যবসিত হয়।[৪]

১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে সেডবার্গ স্কুল ক্রিকেট দলে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। লর্ডসে প্রতিনিধিত্বকারী বিদ্যালয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন।[৫] এছাড়াও, সমারসেটের পক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে আরও আটটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৩২ সালে কাউন্টি দলের পক্ষে কোন দর্শনীয় খেলা উপহার দিতে পারেননি। মাত্র ৬.৫০ গড়ে রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু, ১৯৩৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন।[৬] হিট উইকেটে নিজস্ব উইকেট বিলিয়ে দেয়ার পূর্বে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৫৭ রান তুলেন।[৭] জুলাই, ১৯৩৩ সালে দ্য সেডবার্গিয়ানের পর্যালোচনায় মন্তব্য করা হয় যে, তার ন্যায় ক্রিকেটারকে একাকীই অগ্রসর হতে হয়। তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, ফিল্ডিং ও অধিনায়কত্বের প্রশংসা করা হয়। পাশাপাশি তার অফ ড্রাইভ থেকে বাউন্ডারি সংগ্রহ করা না পারাসহ মাঝে-মধ্যে বোলিংয়ে নিখুঁতভাবে বজায় রাখতে না পারার কথা উল্লেখ করা হয়।[৮] এছাড়াও, বিদ্যালয়ে থাকাকালীন ফাইভস ও রাগবি খেলায় অংশ নিতেন তিনি। বিতর্ক সংস্থার সভাপতি ছিলেন। সেডবার্গে পড়াশুনো শেষ করার পর অক্সফোর্ডের ব্রাসেনোস কলেজে আইনশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন।[১]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৩১ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে ১৩২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। তন্মধ্যে, সমারসেটের পক্ষে ৬৯ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ৪৩টি খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। খেলাগুলোয় ১৩টি শতরানের ইনিংস সহযোগে ৬,৯৪৪ রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ২০৭ রান। দর্শনীয় ব্যাটিংয়ের কারণে স্মরণীয় হয়ে রেয়েছেন। কিন্তু, হে ফিভারে আক্রান্ত হবার পাশাপাশি বিদেশে কাজের সাথে যুক্ত থাকায় ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণে সীমিত সুযোগ পান।

১৯৩১ সালে সেডবার্গ স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় সমারসেটের পক্ষে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সের অভিষেক ঘটে। এরপর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চার বছর অবস্থানকালে প্রত্যেক বছরই সাংবার্ষিক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে খেলায় অংশ নিতেন। এ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩,৩১৯ রান তুলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে নতুন রেকর্ড গড়েন। ফলশ্রুতিতে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। অক্সফোর্ডে অবস্থানকালে প্রতি বছর শেষে সমারসেটে খেলতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালেই নিজস্ব স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন।

অক্সফোর্ডে প্রথম বর্ষে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। ঐ খেলার প্রথম ইনিংসে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। ঐ খেলায় তার দল প্রায় জয়ের কাছাকাছি পর্যায়ে ছিল।[৯] ঐ বছরে অক্সফোর্ডের পক্ষে আরও দুইটি শতরান করেন। মাইনর কাউন্টিজের উচ্চ রানের খেলায় ১৪০ রান তুলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[১০] এরপর, ওভালে সারের বিপক্ষে ১৭১ রান তুলেন।[১১] ঐ মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার সবগুলোতে অংশ নিয়ে ৫৫.৪৪ গড়ে ৯৯৮ রান তুলে অক্সফোর্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। তবে, ফ্রেডরিক ডি সরম তার তুলনায় অধিক রান সংগ্রহ করেন।

স্বর্ণালী সময় সম্পাদনা

১৯৩৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের বিপক্ষে অংশ নিয়ে সাধারণমানের সফলতা পান। ড্র হওয়া ঐ খেলায় তিনি ২৭ ও ৪২ রান তুলেন। ঐ বছর তাকে ব্লুধারী করা হয়।[১২] অক্সফোর্ডে অবস্থানের সাথে তুলনান্তে ঐ গ্রীষ্মে সমারসেটের পক্ষে প্রথম এগারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তাকে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। ২০.৯৩ গড়ে রান তুলেন। কেবলমাত্র একবার সাসেক্সের বিপক্ষে অর্ধ-শতরানের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। ঐ একই খেলায় প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৬৫ দাঁড় করান।[১৩] ঐ মৌসুমের সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ফোকস্টোনের চেরিটন রোডে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।[১৪]

অক্সফোর্ডের ক্রিকেট বিষয়ক ঐতিহাসিক জিওফ্রে বোল্টন মন্তব্য করেন যে, পরবর্তী দুই বছর অক্সফোর্ড দল পুরোপুরি নিমজ্জ্বিত অবস্থায় ছিল।[১৫] এ দূর্দশার মাঝেও আরও একবার ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স ব্যাটিং গড়ে শীর্ষে ছিলেন। রানের দিক দিয়েও অক্সফোর্ড ব্যাটসম্যানদের চেয়ে এগিয়েছিলেন। তবে, এ পরিসংখ্যান পূর্ববর্তী বছরের বিপরীত চিত্র বহন করে। ৩৮.৭০ গড়ে ৭৭৪ রান তুলেন। ল্যাঙ্কাশায়ার ও সারে দলের বিপক্ষে শতরান করেন। সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষেও শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।[১৫] অক্সফোর্ডের প্রথম ইনিংসে ১৬৮ রান তুলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে, খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ইংল্যান্ড দলের অন্যতম দল নির্বাচক পেলহাম ওয়ার্নার দর্শকদের মাঝে বসে খেলাটি উপভোগ করছিলেন। তিনি ট্রেন্ট ব্রিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানান।[৩]

অধিনায়কত্ব লাভ সম্পাদনা

১৯৩৬ সালে অক্সফোর্ড দলের অধিনায়ক হিসেবে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সকে নির্বাচিত করা হয়। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় দলটি ব্যাটিংয়ে দূর্বল ছিল। নিজের পছন্দনীয় তিন কিংবা চার নম্বরে ব্যাটিং করা থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে ঐ মৌসুমে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন তিনি।[১৬] বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় রজার কিম্পটন আঘাতপ্রাপ্ত হলে দলটি ব্যাটিংয়ের মান আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। কিম্পটনের সাথে তিনি ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং গড়ে বেশ এগিয়েছিলেন। ৪৩.৬৬ গড়ে ৯১৭ রান তুলেন তিনি। এছাড়াও, এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৭ রানের ইনিংস খেলেন। মৌসুমের শুরুতে তারা জয়ী হলেও আরও খেলায় পরাজিত হতে থাকে। তন্মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের বিপক্ষে তারা পরাজিত হয়। তাসত্ত্বেও, তিনি কেমব্রিজের বিপক্ষে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। ৪৩ ও ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঐ মৌসুমেই বোলার হিসেবে সর্বাধিক কার্যকর বোলিং করেন। ২৬.২৭ গড়ে অক্সফোর্ডের পক্ষে ২২ উইকেট পান। কিন্তু, বোল্টন মন্তব্য করেন যে, দলের বোলিংয়ের মান বেশ নেতিবাচক ছিল।[১৭]

সমারসেটে খেলার পূর্বে আবারও লর্ডসে তাকে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে খেলতে হয়। নিম্নমূখী রানের ঐ খেলায় উভয় ইনিংসেই তিনি ২০-এর কম রান সংগ্রহ করে বিদেয় নেন।[১৮] জুলাই ও আগস্ট মাসে সমারসেটের পক্ষে ছয় খেলায় অংশ নেন। ৫৫.৪৪ গড়ে ৪৯৯ রান তুলে ঐ মৌসুমে কাউন্টি দলের সেরা খেলোয়াড় হন।[১৯] ১৯৩৬ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমারসেটের সদস্যরূপে ১৮২ রান তুলেন। এটিই সমারসেটের পক্ষে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল।[২০] পরের খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে আরও একটি শতরানের ইনিংস খেলেন।[২১] সবমিলিয়ে ১৯৩৬ সালটি পরিসংখ্যানগতভাবে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সের সেরা মৌসুম ছিল। ৪৪.৯৩ গড়ে ১,৪৩৮ রান তুলেন তিনি।[৬]

১৯৩৭ সালে স্যান্ডি সিঙ্গলটন তার পরিবর্তে অক্সফোর্ডের অধিনায়ক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন।[১৬] পড়াশুনোর ব্যস্ততার কারণে মৌসুমের শুরুরদিকের খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন।[২২] জুনের মাঝামাঝি সময়ের পূর্ব-পর্যন্ত কোন খেলায় অংশ নিতে পারেননি। লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১৩৭ ও অপরাজিত ৬৬ রান সংগ্রহ করেন। প্রথম ইনিংসে এ সংগ্রহটি অক্সফোর্ডে সেরা খেলা হিসেবে চিত্রিত হয়েছিল।[২৩] ঐ মাসের শেষদিকে অক্সফোর্ডের পক্ষে আরও একটি শতরানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, সাসেক্সের ৩৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সফলতার সাথে অতিক্রম করে তার দল।[২৪] দ্য টাইমসের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় উভয় দলের মধ্যে অসাধারণ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় অগ্রসর হয়েছিলেন ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স।[২৫] তবে, তিনি প্রথম ইনিংসে ভালোমানের ব্যাটিং করেননি। ১৯ রানে আউট হন।[২৬] দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরেকটু ভালো খেলেন। ২৯ রান তুলে অক্সফোর্ড দলকে সাত উইকেটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে সহায়তা করেন। অক্সফোর্ডে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় এটি দলের একমাত্র জয় ছিল।[২৭] আবারও তিনি অক্সফোর্ডের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। ৫৭.২৭ গড়ে ৬৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[২৮] সবমিলিয়ে অক্সফোর্ডে চার বছর খেলে ৪৭.৪১ গড়ে ৩,৩১৯ রান করেন। এ সংগ্রহটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডবিশেষ। [১]

বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার অল্প কিছুদিন পর জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে চতুর্থবারের মতো খেলার জন্যে মনোনীত হন। তবে, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে তিনি মাত্র চার রান তুলতে সক্ষম হন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে কিছুটা হিমশিম খেলেও অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে সক্ষম হন। তবে, তার দল আট উইকেটে পরাভূত হয়।[২৯] ১৯৩৭ সালে সফররত নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন ও দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[৩০] ঐ মৌসুমে সমারসেটের পক্ষে সাত খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, অক্সফোর্ডে থাকাকালীন খেলার ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি। কেবলমাত্র একবারই অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। দশের কম গড়ে মাত্র ১৩৫ রান তুলেন তিনি।[৩১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স। ১৫ জুন, ১৯৩৫ তারিখে নটিংহামে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

বৃষ্টির কারণে ঐ খেলাটি তিনদিনে গড়ায়। মিচেল-ইন্স একবার মাত্র ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। পাঁচ রান সংগ্রহের পর ব্রুস মিচেলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে তাকে বিদেয় নিতে হয়।[১] দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে রাখা হয়। তবে, শারীরিক অসুস্থতার কবলে পড়েন ও ওয়ার্নারকে পত্র লিখেন। এরল হোমসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরপর, আর তাকে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার জন্যে সুযোগ দেয়া হয়নি।[৩২] এছাড়াও, হে জ্বরের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায়ও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বোল্টন উভয় দলের মধ্যে তাকে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে চিত্রিত করেছিলেন। তবে, এক ও শূন্য রানে বিদেয় নিলে কেমব্রিজ দল ১৯৫ রানে জয়লাভ করে।[১৫]

এর অল্প কিছুদিন পর আবারও তাকে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার লর্ডসে খেলার আয়োজন করা হয়েছিল।[৩৩] গ্রীষ্মের বিরতিতে সমারসেটে ফিরে যান। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ফলো-অনে থাকা অবস্থায় ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এটিই তার কাউন্টি ক্রিকেটে প্রথম শতরানের ইনিংস ছিল।[৩৪] সমারসেটের ছাব্বিশটি খেলার মধ্যে তিনি মাত্র সাতটিতে অংশ নেন। ঐ মৌসুমে দলীয় সঙ্গীদের তুলনায় রান সংগ্রহের দিক দিয়ে বেশ পিছনে অবস্থান করলেও ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেন। ১৯৩৫ সালে ৩৮.১৮ গড়ে ৪২০ রান সংগ্রহ করেন তিনি।[৩৫] গ্রীষ্মের শেষে ফোকস্টোন ক্রিকেট উৎসবে ইংরেজ একাদশের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হন। সফরকারী দল জয়লাভ করে, পাশাপাশি তিনিও খেলায় কোন প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।[৩৬]

১৯৩২-৩৩ মৌসুমে বডিলাইন সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ান কন্ট্রোল বোর্ড ও এমসিসি’র মধ্যকার সম্পর্ক স্থবির হয়ে আসে। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমের শীতকালে এমসিসি কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনার্থে দল প্রেরণ করেন। এরল হোমসকে অধিনায়ক করে অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩৭][৩৮] সফরকারী ঐ দলের মিচেল-ইন্সকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে তিনি দশটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে চারটি খেলার দুইটিতে তার অংশগ্রহণ ছিল। চারটি প্রথম-শ্রেণীর অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঐ সফরে ওতাগোর বিপক্ষে ৮৭ রান তুলেন। এমসিসি’র সংগৃহীত ৫৫০ রানের মধ্যে তার এ সংগ্রহটি পুরো সফরে তার সর্বোচ্চ ছিল।[৩৯]

অবসর সম্পাদনা

অক্সফোর্ডে থাকাকালীন ব্রাসেনোস কলেজেই অধ্যয়নরত জ্যাক সিমারের সাথে তার চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। উভয়েই অক্সফোর্ড ও সমারসেটের দলীয় সঙ্গী ছিলেন। ১৯৩৬ সালে স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে সিমার সুদান পলিটিক্যাল সার্ভিসে যোগ দেন।[৪০] অন্যদিকে, ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স অক্সফোর্ডে থাকাকালীন স্নাতক ডিগ্রীধারী হবার পর ঐ সংগঠনের নিজের স্থান নিশ্চিত করেন।[৪১] এসপিএসে দায়িত্ব পালনের ফলে ১৯৩৮ সালে সমারসেটের পক্ষে খেলায় অংশগ্রহণ করা তার হয়ে উঠেনি।[৪২] তবে, পরবর্তী বছরে মৌসুম শুরুর পূর্ব সাতটি খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, দুইটি খেলা মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ও ফ্রি ফরেস্টার্সের পক্ষে খেলেন। শেষের দলটির পক্ষে তিনি মৌসুমে তার একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ঐ খেলায় প্রায় ৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হয়েছিল তার দল। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে চূড়ান্ত দিনের মধ্যাহ্নভোজনের পর আক্রমণধর্মী ক্রিকেট খেলা প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ৯৫ মিনিটে শতরান করেন। অন ড্রাইভে খেলার চেষ্টাকালে বোল্ড হন ও ১৪৩ রানে বিদেয় নেন। ফ্রি ফরেস্টার্স দল নয় রানে পরাজিত হয়।[৪৩] ঐ বছরে সবমিলিয়ে তিনি ৩১.৫৪ গড়ে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাঁধাগ্রস্ত হবার পূর্বে ইংল্যান্ডে এটিই সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেট মৌসুম ছিল।[৬]

১৯৪৬ সালে মৌসুমের প্রথম মাসেই কেবলমাত্র খেলতে পেরেছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ঐ খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে কেবলমাত্র একবার অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান।[৬] মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্য টাইমসের সংবাদদাতা মন্তব্য করেন যে, যুদ্ধের পূর্বেকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি কোন দক্ষতাই প্রদর্শন করতে পারেননি।[৪৪] পরের মৌসুমে সাতটি খেলায় অংশ নেন। সবগুলোই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলা ছিল। তিনি গড়ে ৩৭ রান তুলেন। এ সংখ্যাটি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগের পর সর্বোচ্চ ছিল। চারটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।[৬]

সমারসেট কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে তিনজন শৌখিন ক্রিকেটার - এন. এস. মিচেল-ইন্সকে মে মাসে, জে. ডব্লিউ. সিমারকে জুন মাসে ও জি. ই. এস. উডহাউজকে বাদ-বাকী মৌসুমের জন্যে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করে

ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান, ১৯৪৮[৪৫]

১৯৪৮ সালে সমারসেটের তিনজন অধিনায়কের একজনরূপে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সকে মনোনীত করে। ১৯৪৭ সালে জ্যাক মেয়ারকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে, ঐ মৌসুম শেষে তাকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। নিজের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। লাম্বাগোর কারণে তাকে দৈনিক ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করতে হতো।[৪৬] মেয়ারের বিকল্প কেউ ছিলেন না। অন্যান্য কাউন্টির ন্যায় সমারসেটেও পেশাদার অধিনায়ক রাখার কথা বিবেচনায় আনা হয়নি। ঐ সময়ে শৌখিন খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া যায় ও আর্থিক সঙ্কটের কারণে আরও সমস্যায় নিপতিত হতে হতো। তাই, কোন প্রার্থীকেই উপযুক্ত মনে না হওয়ায় সমারসেট কর্তৃপক্ষ সুদান থেকে ফিরে আসার পর প্রথমে মিচেল-ইন্সকে ও পরবর্তীতে নিজের ছুটিকালীন এ দায়িত্ব পালনের কথা ঘোষণা করা হয়। কেউ তাদের দায়িত্ব পালনে ফিরে গেলে বাদ-বাকী সময় জর্জ উডহাউজ এ দায়িত্ব পালন করবেন।[৪৫] পিটার রোবাক তার সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের ইতিহাস গ্রন্থে এ পরিস্থিতিকে অনেকাংশ রাষ্ট্রীয় ঘটনার সমতুল্যরূপে মন্তব্য করেন।[৪৫] তবে, ডেভিড ফুটের ভাষ্যমতে, দলের অধিনায়কের সংখ্যা সাতের কম ছিল না।[৪৭]

ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স সমারসেটের প্রথম পাঁচটি খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে একটি মৌসুম-পূর্ব প্রীতি খেলা ছিল। ঐ মৌসুমের বিষয়ে সমারসেট কাউন্টি হেরাল্ডে মন্তব্য করা হয় যে, ১৯৪৭ সালটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও ক্ষতিকারক দৃষ্টিভঙ্গীর দিকে অগ্রসর হয়।[৪৮] কাউন্টি ক্লাবটি মিচেল-ইন্সের অধিনায়কত্বে পাঁচ খেলার সবকটিতেই পরাভূত হয়েছিল।[৪৫] মিডলসেক্সের কাছে ১০ উইকেটে পরাজিত হওয়া খেলায় একমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস সহযোগে সবমিলিয়ে ২২২ রান তুলেন তিনি।[৬] ঐ খেলায় ডেনিস কম্পটনবিল এডরিচ যথাক্রমে ২৫২ ও ১৬৮ রান তুলেছিলেন। প্রথম ইনিংসে সমারসেটের স্বল্প কয়েকজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গীমায় খেলেন। তিনি করেন ৬৫ রান।[৪৯] সুদান ত্যাগকালীন তার দল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে পয়েন্টবিহীন অবস্থায় সর্বনিম্ন স্থানে থাকে।[৫০] ঐ মৌসুমে ৯২ রান সংগ্রহের মাধ্যমে ১৭ দলের মধ্যে দলটি ১২শ স্থানে অবস্থান করে। তন্মধ্যে, পাঁচটি জয় পায় দলটি।[৫১] ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে সমারসেটের ব্যাটিং বিভাগের দূর্বলতাকে চিহ্নিত করা হয়।[৫২] ১৯৪৮ সালে ২২.২০ গড়ে কাউন্টির রান সংগ্রহে ম্যান্ডি মিচেল-ইন্স ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করেন।[৫৩]

পরের বছর উডহাউজ সমারসেটের পূর্ণাঙ্গকালীন সময়ের জন্যে অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৫২] ঐ মৌসুমের প্রথম কয়েক সপ্তাহ মিচেল-ইন্স খেলেছিলেন।[৬] সমারসেটের ব্যাটিং গড়ে প্রায় শেষদিকে অবস্থান করেন। ১১.২১ গড়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[৫৪] এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড়ে রান সংগ্রহ করা ছিল।[৬] এ মৌসুমটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বশেষ ছিল। মে, ১৯৪৯ সালে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব শেষ খেলায় অংশগ্রহণ করেন।[৫৫]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৫৪ সালে সুদান পলিটিক্যাল সার্ভিস থেকে চলে আসেন ও ভক্স ব্রিউরিজভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সচিব হিসেবে ২৫ বছর কাজ করেন। ব্যক্তিগত জীবনের বিবাহিত তিনি। ১৯৪৪ সালে প্যাট্রিসিয়া রোসিটারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির এক পুত্র ও এক কন্যা ছিল। ১৯৮০ সালে হার্টফোর্ডশায়ার থেকে অবসর নেন। ১৯৮৯ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর মনমাউথশায়ারে কন্যার সাথে বসবাস করতেন।[১]

৭ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে আল্ফ গোভারের মৃত্যুর পর থেকে তিনি ইংল্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।[৫৬] তবে, ডিসেম্বর, ২০০৬ সালে নিজের দেহাবসানের ফলে কেন ক্রান্সটনের কাছে এ মর্যাদা চলে যায়। ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে ৯২ বছর বয়সে ওয়েলসের মনমাউথশায়ার এলাকায় ম্যান্ডি মিচেল-ইন্সের দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি পুত্র ও কন্যাকে রেখে যান।[১] তার মৃত্যুর ফলে কেন ক্রান্সটন ইংল্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।[৫৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Obituary: Norman Mitchell-Innes"The Daily Telegraph। London: Telegraph Media Group। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০০৯ 
  2. "Amateur Golf Championship of India"। Indian Golf Union। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. Foot, David (১২ জানুয়ারি ২০০৭)। "Obituary: Norman Mitchell-Innes"The Guardian। London: Guardian Media Group। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "Somerset v Warwickshire: County Championship 1931"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "Miscellaneous matches played by Norman Mitchell-Innes (28)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. "First-class Batting and Fielding in Each Season by Norman Mitchell-Innes"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  7. "Somerset v Warwickshire: County Championship 1933"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  8. "Characters of the XI"। The Sedberghian। জুলাই ১৯৩৩। পৃষ্ঠা 145। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  9. "Oxford University v Gloucestershire: University Match 1934"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  10. "Oxford University v Minor Counties: University Match 1934"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  11. "Surrey v Oxford University: University Match 1934"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  12. Bolton (1962), pp. 281–285.
  13. "Player Oracle Reveals Results: NS Mitchell-Innes where team is Somerset from 1934 to 1934"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  14. "Gentlemen v Players: Other First-Class matches in England 1934"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  15. Bolton (1962), pp. 285–288.
  16. "Eleven Blues at Oxford" Yorkshire Post। ৯ এপ্রিল ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 21 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  17. Bolton (1962), pp. 289–292.
  18. "Gentlemen v Players: Other First-Class matches in England 1936"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫ 
  19. "Batting and fielding for Somerset: County Championship 1936"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  20. "Worcestershire v Somerset: County Championship 1936"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  21. "Somerset v Lancashire: County Championship 1936"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  22. Our Cricket Correspondent (২৫ জুন ১৯৩৭)। "A poor match for Oxford" The Times (47720)। London। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  23. "Two Centuries" Yorkshire Post। ১৭ জুন ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 19 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  24. "Oxford's Fine Win" The Times (47724)। London। ৩০ জুন ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  25. Our Cricket Correspondent (৫ জুলাই ১৯৩৭)। "University Match Prospects" The Times (47728)। London। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  26. Our Cricket Correspondent (৬ জুলাই ১৯৩৭)। "The University Match: A Day of Recoveries" The Times (47729)। London। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  27. Our Cricket Correspondent (৮ জুলাই ১৯৩৭)। "The University Match: Oxford beat Cambridge" The Times (47731)। London। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  28. Bolton (1962), pp. 292–295.
  29. Our Cricket Correspondent (১৬ জুলাই ১৯৩৭)। "Players beat Gentlemen" The Times (47738)। London। পৃষ্ঠা 6 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  30. "Scotland v New Zealanders: New Zealand in British Isles 1937"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫ 
  31. "Batting and fielding for Somerset: County Championship 1937"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫ 
  32. Berry, Scyld, সম্পাদক (২০০৭)। "Obituaries"। Wisden Cricketers' Almanack 2007 (144 সংস্করণ)। Alton, Hampshire: John Wisden & Co. Ltd। পৃষ্ঠা 1563–4। আইএসবিএন 978-1-905625-02-4। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  33. "Gentlemen v Players: Other First-Class matches in England 1935"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  34. "Somerset v Lancashire: County Championship 1935"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  35. "Batting and Fielding for Somerset: County Championship 1935"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  36. "England XI v South Africans: South Africa in British Isles 1935"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  37. Lynch, Steven (৫ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Winning after following on, and when Denis met Eddie"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৫ 
  38. "Player profile: Errol Holmes"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৫ 
  39. "NS Mitchell-Innes in first-class matches where team is Marylebone Cricket Club from 1935 to 1936"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৫ 
  40. Foot (1986), p. 128.
  41. "Smith has to withdraw from Test side" Western Daily Press। ১১ জুন ১৯৩৫। পৃষ্ঠা 3 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  42. "Cricket: Somerset lose £636" Western Morning News। ১৮ মার্চ ১৯৩৮। পৃষ্ঠা 12 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  43. Our Special Correspondent (৩১ মে ১৯৩৯)। "Oxford's First Victory: Mitchell-Innes's Fine Effort" The Times (48319)। London। পৃষ্ঠা 4 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  44. Our Cricket Correspondent (১৬ মে ১৯৪৬)। "Somerset's Good Start at Lord's" The Times (50453)। London। পৃষ্ঠা 2 – Gale-এর মাধ্যমে। 
  45. Roebuck (1991), p. 242.
  46. Roebuck (1991), p. 232.
  47. Foot (1986), p. 155.
  48. "Somerset Open Championship Campaign" Somerset County Herald। ৮ মে ১৯৪৮। পৃষ্ঠা 6 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  49. "Middlesex Took Extra Time: But Somerset Delay End" Western Daily Press। ২১ মে ১৯৪৮। পৃষ্ঠা 2 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  50. "Somerset Are Still Pointless" Somerset County Herald। ২৯ মে ১৯৪৮। পৃষ্ঠা 8 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  51. "County Championship 1948 Table"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  52. "Will Woodhouse Solve a Somerset Problem?" Somerset County Herald। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৯। পৃষ্ঠা 8 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  53. "Somerset County Cricket Club: Final Figures for Season" Bath Weekly Chronicle & Herald। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮। পৃষ্ঠা 4 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  54. "Somerset Averages" Somerset County Herald। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯। পৃষ্ঠা 8 – British Newspaper Archive-এর মাধ্যমে। 
  55. "First-class matches played by Norman Mitchell-Innes (132)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  56. Williamson, Martin। "Player profile: Mandy Mitchell-Innes"ESPNcricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  57. "England's oldest surviving Test cricketer dies"ESPNcricinfo। ESPN। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
জ্যাক মেয়ার
সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৪৮
(যৌথভাবে - জর্জ উডহাউজ, জ্যাক সিমার)
উত্তরসূরী
জর্জ উডহাউজ