মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম
মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং বিজ্ঞানী। তিনি সেভেন সয়েল ট্র্যাক্ট ব্যবস্থাটি তৈরি করেন, যা বাংলাদেশের মাটির শ্রেণিবিন্যাস, বাংলাদেশের কৃষি ও মাটি পরিচালনার ভিত্তি।[১]
মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ |
মৃত্যু | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০১ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | শিক্ষাবিদ,গবেষক, বিজ্ঞানী |
পরিচিতির কারণ | সেভেন সয়েল ট্র্যাক্ট |
শৈশব ও পড়ালেখা সম্পাদনা
তিনি ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার নোয়াখালী জেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং ১৯৩৮ সালে তাঁর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে বিএসসি নিয়ে স্নাতক অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে প্রথম শ্রেণি অর্জনকারী প্রথম মুসলমান ছাত্র ছিলেন। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেছেন। ১৯৪৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন।[২]
কর্মজীবন সম্পাদনা
পিএইচডি শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সিনিয়র প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশের মাটিকে সাতটি মাটি অঞ্চলে শ্রেণিবদ্ধকরণ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেভেন সয়েল ট্র্যাক্টসকে বাংলাদেশের মাটি শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি মাটি জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কৃষি পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অবধি পূর্ব পাকিস্তান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ফ্রিল্যান্স পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড সোয়েল সায়েন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ সমিতির সদস্য, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন।[২]
মৃত্যু সম্পাদনা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০০১ মৃত্যুবরণ করেন।[২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২০১২)। "সেভেন সয়েল ট্র্যাক্ট"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ক খ গ আমিনুল ইসলাম (২০১২)। "ইসলাম, এম আমিরুল"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।