নূরুল ইসলাম সুজন

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য
(মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন (জন্ম: ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬)[১] বাংলাদেশের পঞ্চগড়-২ সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন (২০১৯-২০২৩)।[২]

এডভোকেট
মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন
বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ জানুয়ারি ২০১৯ – ১১ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীমুজিবুল হক মুজিব
উত্তরসূরীজিল্লুল হাকিম
পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮
পূর্বসূরীমোজাহার হোসেন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1956-01-05) ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
পঞ্চগড়
জাতীয়তাবাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীনিলুফার ইসলাম
শাম্মী আকতার মনি (বি. ২০২১)
সম্পর্কসিরাজুল ইসলাম (ভাই)
সন্তান
পিতামাতাইমাজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং কবিজান নেছা
পেশাআইনজীবী

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

জন্ম সম্পাদনা

নূরুল ইসলাম সুজন ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘির মহাজনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইমাজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং মাতা কবিজান নেছা। বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড় হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা সম্পাদনা

মো: নূরুল ইসলাম সুজন ময়দানদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ময়নাদীঘি বি এল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যায় ১৯৭৮ সালে বিএসসি অনার্স এবং ১৯৭৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।[৩] তিনি ঢাবির সিনেট সদস্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

নূরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডাকসুর ১৯৮০-৮১ সালের সংসদের বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন নূরুল ইসলাম সুজন। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পরাজিত হন। পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার সম্পাদনা

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতায় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৪] ৫ জুন ২০২১ সালে তিনি দিনাজপুরের বিরামপুরের শাম্মী আকতার মনিকে বিয়ে করেন।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মাননীয় মন্ত্রী"। mor.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০২ 
  2. "মন্ত্রী হলেন নুরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ে আনন্দ মিছিল"এনটিভি। ২০১৯-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "২২ বছর পর পঞ্চগড় পাচ্ছে মন্ত্রী রেলমন্ত্রী হচ্ছেন সুজন"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সব আনন্দ বিষণ্ণতায় ম্লান"পূর্ব পশ্চিম। ১০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  5. হিলি, হালিম আল রাজী (১০ জুন ২০২১)। "বিয়ে করেছেন রেলমন্ত্রী"বাংলা ট্রিবিউন। ১১ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২১