মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ

মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ বাংলাদেশি একজন শিক্ষক, অধ্যক্ষ, আলেম ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ৩৮ তম অধ্যক্ষ হিসাবে ১ বছর ও পরবর্তীকালে ৪০ তম অধ্যক্ষ হিসাবে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[] তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ২২তম হেড মাওলানার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তন করেন।

মাওলানা
মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ
৩৮ তম অধ্যক্ষ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৩
পূর্বসূরীমাওলানা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন
উত্তরসূরীআইয়ুব আলী
৪০ তম অধ্যক্ষ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা
কাজের মেয়াদ
১৯৭৯ – ১৯৮৩
পূর্বসূরীআইয়ুব আলী
উত্তরসূরীমাওলানা আব্দুল মান্নান

জন্ম ও পরিচয়

সম্পাদনা

ইয়াকুব শরীফ ১৯২০ সালের ০৯ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা মইজদীপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মাওলানা বশির উল্লাহ।

শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

ইয়াকুব শরীফ সাদেকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণী এবং অর্জুনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আহম্মদপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন, এখানে তিনি ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এই মাদ্রাসায় পড়াকালীন তিনি আরবি, ইংরেজি বিষয়ের জন্য হাজি মহসিন বৃত্তি ও ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বৃত্তি পান। এসব বৃত্তির টাকা জমা করে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। কলকাতা মাদ্রাসা থেকে ১৯৪১ সালে আলিম ও ১৯৪৩ সালে ফাজিল পাশ করেন। একই মাদ্রাসা থেকে প্রথম স্থান লাভ করে ১৯৪৫ সালে কামিল পাশ করেন।

তিনি মাদ্রাসা পড়াশোনা শেষ করার পরে সাধারণ শিক্ষা লাভ করার জন্য তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাশে ভর্তি হন। তিনি এখানে আবদুল মালেক উকিলকে সহপাঠি হিসাবে পেয়েছিলেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান। তিনি ১৯৪৯ সালে অনার্স ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভাগে ১ম স্থান দখল করার জন্য স্বর্ণপদক পুরস্কার পান।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

তিনি কর্মজীবনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছেন। ১৯৫৩ সনে ইপিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে যোগদান করেন। তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে একবছর ও ১৯৭৯ সালে ৪ বছর সালে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় একাধিকবার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৫ সনে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

লিখিত বই

সম্পাদনা

তার রচিত ১০টি বই এবং অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকা ও প্রকাশনায় মুদ্রিত হয়েছে।[]

  • আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সেনবাগ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব"সরকারি বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অগাস্ট ২০২২