মুশাররাফ করিম

বাংলাদেশী লেখক

মুশাররাফ করিম (৯ জানুয়ারি, ১৯৪৬ - ১১ জানুয়ারি ২০২০) ছিলেন সত্তর দশকের একজন বাঙালি কবি। তিনি কবিতায় লোকজ শব্দ ব্যবহারের জন্য পরিচিত। এই বাংলাদেশী কবি একাধারে শিশু সাহিত্যিক এবং ঔপন্যাসিক। জীবিকাসূত্রে তিনি সাংবাদিক ছিলেন। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[১]

মুশাররাফ করিম
মুশাররাফ করিম ব্রহ্মপুত্রের তীরে, এপ্রিল, ২০১৫-তে
মুশাররাফ করিম ব্রহ্মপুত্রের তীরে, এপ্রিল, ২০১৫-তে
জন্ম(১৯৪৬-০১-০৯)৯ জানুয়ারি ১৯৪৬
ময়মনসিংহ
মৃত্যু১১ জানুয়ারি ২০২০(2020-01-11) (বয়স ৭৪)
ময়মনসিংহ
পেশাসাংবাদিক, কবি, লেখক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
ধরনকবিতা, শিশু সাহিত্য, উপন্যাস
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমী পুরস্কার, ২০০৩
দাম্পত্যসঙ্গীসখিনা আক্তার

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

মুশাররাফ করিমের জন্ম ময়মনসিংহের সেহরার বড়বাড়িতে। তার পিতার নাম এম. এ. করিম ও মাতার নাম আমিনা খাতুন।[১]

মুশাররাফ করিম ময়মনসিংহের এডওয়ার্ড ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯৬৪ সালে ম্যাট্রিক, নাসিরাবাদ কলেজ থেকে ১৯৬৭ সনে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক, এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭২ সনে স্নাতক পাস করেন। ১৯৭৪ সনে আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহ থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষ করেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

জীবিকাসূত্রে মুশাররাফ করিম সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাকরি করেছেন। তবে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন নেত্রকোণায় অবস্থিত উপজাতীয় কালচারাল একাডমির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি ষাটের দশকের আইয়ূববিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

মুশাররাফ করিম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২]

নির্বাচিত গ্রন্থতালিকা সম্পাদনা

কবিতা সম্পাদনা

  • পাথরের পথে, (১৯৮২);
  • অন্য এক আদিবাসে (১৯৮৪);
  • সে নয় সুন্দরী শিরিন (১৯৮৭);
  • কোথায় সেই দীর্ঘ দেবদারু (১৯৯০);
  • নিবেদনের গন্ধঢালা (১৯৯২)
  • অন্তরের ব্যাকুল ব্যাধি (১৯৯৭)
  • কে আছে, কেউ কি আছে (২০০২),
  • নির্বাচিত কবিতা (২০০২)
  • ঘাসের ডগায় হলুদ ফড়িঙ (১৯৯৯)।

উপন্যাস সম্পাদনা

  • পূর্ব-পুরুষগণ (২০০২)
  • প্রথম বৃষ্টি (২০০২)
  • স্বপ্নকাব্য
  • উপন্যাসত্রয়ী (২০০২)

শিশুসাহিত্য সম্পাদনা

  • কোকাকাকা (১৯৯৫),
  • লেবেনডিশ (১৯৭৭);
  • ছক্কা মামার গালগল্প (২০০২);
  • বোগাস ভুত (২০০২);
  • গু ফর নাতিন (২০০২);
  • নীলগঞ্জের ভূত
  • টম সাহেবের অদ্ভুত বারি
  • নিঝুমপুরের পোড়োবাড়ি
  • চোরাগুহার রহস্য
  • ভয়ংকর ছেলেধরা
  • কিশোর উপন্যাসসমগ্র (২০০২)

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

মুশাররফ করিম ২০০৩ সালে শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[৩] এছাড়া, তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো ছিলেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী লেখক অভিধান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০০৮, পৃষ্ঠা ২৬৭, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৭২৫-৮
  2. চ্যানেল আই অনলাইন (২০২০-০১-১২)। "কবি মুশাররাফ করিম আর নেই"চ্যানেল আই। ঢাকা: শাইখ সিরাজ। 
  3. "পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তালিকা"banglaacademy.org.bd। বাংলা একাডেমি। ২৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "ফেলোবৃন্দ"বাংলা একাডেমি। ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০