মুন্না (চলচ্চিত্র)

তেলেগু চলচ্চিত্র

মুন্না হল ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তেলুগু অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। এই ছবিটির পরিচালনা করেন বংশী পৈডিপল্লি এবং প্রযোজনা করেন দিল রাজু। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রভাসইলিয়ানা ডি'ক্রুজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রকাশ রাজ, কোট শ্রীনিবাস রাওরাহুল দেব। পোস্ট-প্রোডাকশনের বাহুল্যের জন্য ছবিটির মুক্তি বেশ কয়েকবার স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ২০০৭ সালের ২৭ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পায়।

মুন্না
পরিচালকবংশী পৈডিপল্লি
প্রযোজকদিল রাজু
রচয়িতাবংশী পৈডিপল্লি
কোরতাল শিব
বিভিএস রবি
শ্রেষ্ঠাংশেপ্রভাস
ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ
প্রকাশ রাজ
কোট শ্রীনিবাস রাও
সুরকারহ্যারিস জয়রাজ
চিত্রগ্রাহকরাম প্রসাদ
সম্পাদকমার্তণ্ড কে. বেঙ্কটেশ
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকশ্রীবেঙ্কটেশ্বর ক্রিয়েশনস
মুক্তি
  • ২৭ এপ্রিল ২০০৭ (2007-04-27)
দেশভারত
ভাষাতেলুগু

মুন্না ছবিটি বগবত: এক জঙ্গ শিরোনামে হিন্দিতে, বেত্রি তিরুমগন শিরোনামে তামিলে এবং একই শিরোনামে মালয়ালমে ডাব করা হয়। পরে এই ছবিটিই বাংলাদেশে আমার চ্যালেঞ্জ নামে পুনর্নির্মিত হয় এবং তাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন শাকিব খানসাহারাপাকিস্তানে এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

কাহিনি-সারাংশ

সম্পাদনা

কলেজ ছাত্র মুন্না (প্রভাস) মাফিয়া ডন তথা সারা শহরের ত্রাস কাকাকে (প্রকাশ রাজ) শেষ করে দিতে চায়। কাকার উপর মুন্নার একটি ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে। মুন্না নিজে কাকারই পরিত্যক্ত সন্তান। মুন্নার মাকে (কাবেরী) কাকা বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল। শুধু তাই নয়, মুন্নার মা ও ছোটো বোনের মৃত্যুর কারণও এই কাকাই। শ্রীনিবাস রাও (কোট শ্রীনিবাস রাও) নামে এক সৎ রাজনীতিবিদ কাকার অপকীর্তিগুলি ফাঁস করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে গিয়ে খুন হয়ে যান। এদিকে মুন্নার সহপাঠিনী নিধি (ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ) মুন্নার প্রেমে পড়ে যায়। শহরের আরেক ডন আত্মা (রাহুল দেব) কাকার বিরোধী। সে মুন্নাকে নিজের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মুন্না তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কাকার দলের সঙ্গে মারপিটে বারবার মুন্না জিততে শুরু করে এবং সেই সঙ্গে দুই পক্ষের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন শুরু হয়। কাকার দ্বিতীয়া স্ত্রী (সুকন্যা), ছেলে ও মেয়ে কাকাকে ছেড়ে মুন্নার পক্ষ অবলম্বন করে। এরপর মুন্নার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যু সহ একাধিক ঘটনার পর মুন্না জানতে পারে, আসলে আত্মা প্রথম থেকেই কাকার হয়ে কাজ করে আসছিল। আত্মার দৃঢ় সমর্থকেরাও জানত না যে সে কাকার হয়েই কাজ করে। তাদের মধ্যে দু’জন আত্মাকে একটি কারখানায় খুন করার পরিকল্পনা করে। ঠিক সেই সময় আত্মা কাকা ও মুন্না দু’জনেরই বিরুদ্ধাচারণ করে ওঠে। কাকা বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিতে আত্মাকে হত্যা করে। এদিকে সব প্রতিপত্তি খুইয়ে কাকাও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এইভাবে মুন্না কাকার উপর প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হয়।

অভিনেতা-অভিনেত্রী

সম্পাদনা

মুক্তি

সম্পাদনা

২০০৭ সালের ২৭ এপ্রিল মুন্না ছবিটি মুক্তি পায়।

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

নিউজ ওয়েবসাইট আইডল ব্রেইন এই ছবিটিকে ৩/৫ রেট দেয়। এই ওয়েবসাইটে প্রভাসের অভিনয়ের প্রশংসা করা হলেও সামগ্রিক ভাবে ছবিটির নেতিবাচক সমালোচনাই করা হয়েছে।[] অপর এক নিউজ ওয়েবসাইট ফুলহাইড ছবিটিকে উত্তেজনা-অনুসন্ধানকারীদের দর্শনযোগ্য বলে উল্লেখ করে।[] সিনেগোর.কম ছবিটিকে ২.৭৫/৫ রেট দেয় এবং নিষ্প্রাণ ও দেখার অনুপযুক্ত বলে চিহ্নিত করে।[] তেলুগু সিনেমা ছবিটিতে ২.৫/৫ রেট দেয় এবং ছবিটির বিনোদন মূল্য, নায়ক-নায়িকার প্রণয় সম্পর্কটি উপস্থাপনার দুর্বলতা ও অতিরিক্ত অ্যাকশন দৃশ্যের নেতিবাচক সমালোচনা করে।[]

মুন্না
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ২৮ মার্চ, ২০০৭ (ভারত)
ঘরানাফিচার ফিল্ম সাউন্ডট্র্যাক
সঙ্গীত প্রকাশনীসুপ্রিম মিউজিক
প্রযোজকহ্যারিস জয়রাজ
হ্যারিস জয়রাজ কালক্রম
উন্নালে উন্নালে
(২০০৭)
মুন্না
(২০০৭)
ভীমা
(২০০৮)

মুন্না ছবির ছয়টি গানে সুরারোপ করেন হ্যারিস জয়রাজবিশ্ব, কন্ডিকোন্ডা, অনন্ত শ্রীরাম ও ভাস্করভটল গানগুলি রচনা করেন। এই ছবির সাউন্ডট্র্যাক সমালোচকদের প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়। "মনসা" গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। হ্যারিস জয়রাজ এই ছবিতে সংগীত পরিচালনা করে ২০০৭ সালে তেলুগু চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।[][]

গান শিল্পী
"বাগা বাগা" শঙ্কর মহাদেবন
"চাম্মাক্কুরো" কার্তিক, অনুষ্কা মনচন্দা, ব্লাজ
"কাদুলু কাদুলু " কেকে, বিশ্ব
"কোঞ্চাম কোঞ্চা " কৈলাস খের, সুজাতা মোহন
"মনসা" সাধনা সরগম, মহালক্ষ্মী আইয়ার (হামিং ও ব্যাকআপ), নরেশ আইয়ার, কৃষ
"বস্তাব বস্তাব" কেকে, বেনি দয়াল, পপ শৈলিনী, অনন্ত, শ্রীরাম পার্থসারথি
"মনসা (চলচ্চিত্র সংস্করণ)" মহালক্ষ্মী আইয়ার, নরেশ আইয়ার ও কৃষ

পুরস্কার

সম্পাদনা

"মনসা" গানটির জন্য সাধনা সরগম তেলুগু ছবিতে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়িকা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Munna - Telugu cinema Review - Prabhas & Ileana" (ইংরেজি ভাষায়)। Idlebrain.com। ২০০৭-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২২ 
  2. "Munna review: Munna (Telugu) Movie Review - fullhyd.com" (ইংরেজি ভাষায়)। Movies.fullhyderabad.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২২ 
  3. "Telugu Movie Reviews - Munna" (ইংরেজি ভাষায়)। CineGoer.com। ২০০৭-০৫-০২। ২০১৪-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২২ 
  4. "Reviews : Movie Reviews : Munna - Movie Review" (ইংরেজি ভাষায়)। Telugucinema.com। ২০১৩-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২২ 
  5. "cinegoer.com"Catchy Numbers, Good Vocals (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০০৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "idlebrain.com"Munna – Catchy but commonplace (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০০৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা