মুখের দিকে দেখি
মুখের দিকে দেখি বাংলাদেশী লেখক শহীদুল জহির রচিত উপন্যাস। এটি ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। জীবদ্দশায় এটি জহিরের সর্বশেষ এবং ৩য় প্রকাশিত উপন্যাস। উপন্যাসটির উৎসর্গপত্রে লেখা হয়েছে: pour elle / si je lui vois encore।[১]
লেখক | শহীদুল জহির |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | কাইয়ুম চৌধুরী |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | ফেব্রুয়ারি ২০০৬ |
প্রকাশক | মাওলা ব্রাদার্স |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৪৩ (তৃতীয় মুদ্রণ) |
আইএসবিএন | ৯৮৪৪১০৪৮০৭ |
ওসিএলসি | ৭১৩৩০৪৭৪ |
এলসি শ্রেণী | PK1730.25.A445 |
পূর্ববর্তী বই | সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (১৯৯৫) |
পরবর্তী বই | আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু (২০০৯) |
বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় কিভাবে ধর্মপ্রচারে এসে বাঙালী নারীর সাথে বিবাহ সম্বন্ধেের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনপ্রবাহে মিশে গেছে, মুলত এই প্রেক্ষাপট উপন্যাসের মূল বিষয়।[২]
চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- মামুনুল হাই ওরফে মামুন
- মিসেস জোবেদা রহমান - মামুনের মা
- চানমিঞা
- খৈমন - চানমিঞার মা
- জুলি
- মেরি জয়েস - জুলির মা
- রবার্ট ফ্রান্সিস - জুলির পিতা
- যোসেফ ইউজিন - জুলির ভাই
- শাকিলা বানুর - যোসেফের সহকর্মী
- আলবার্ট চার্লস ডিসুজা - মেরি জয়েসের পর্তুগিজ ঠাকুর্দা
- কুমারী বিদ্যুন্মালা দাসী - মেরি জয়েসের ঠাকুর্মা
- ফখরুল আলম লেদু
- আসমানতারা হুরে জান্নাত
- ডলি আক্তার - আসমানতারার মা
- বিধুভূষণ দাস - বিদ্যুন্মালার বাবা
- জগত্তারিনী দাস - বিদ্যুন্মালার মা
- লাবণ্যপ্রভা দাস - বিদ্যুন্মালার বড়বোন
সারাংশ
সম্পাদনাউপন্যাসে একটি চরিত্র, মামুন মিঞা তার বালক বয়সে করাতকলে কাঠের ভূষি আনতে গিয়ে চোরাই ট্রাকে করে চট্টগ্রামে পাচার হয়ে যায়। এরপর শিশু আসমানতারার খরগোশ হিসেবে তার খাঁচায় বন্দী নতুন জীবন শুরু হয়।[৩] আবার একই সময়ে একই চরিত্র মামুন মিঞা, তার পুরান ঢাকার বাড়িতে ফিরে এসে স্বাভাবিক জীবন কাটাতে শুরু করে।[৪] উপন্যাসটিতে মূল চরিত্র চানমিঞার বেড়ে ওঠার কাহিনি বিবৃত হয়েছে, যার জন্ম ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে।[৫] উপন্যাসে একই ব্যক্তিকে দুইটি ভিন্ন বাস্তবতায় দুজন ভিন্ন মানুষ হিসেবে বড় হতে দেখা যায়। সেখানে তাদের জীবনযাপন ও মানসগঠন ভিন্ন বাস্তবতার কারণে আলাদাভাবে গড়ে ওঠে। ঢাকার মামুন ন্ম্র স্বভাবের, যে একটি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতো। জুলি নামক এক মেয়ের প্রেমে সে কাতর।[৩] অন্যদিকে সাতকানিয়ার মামুন খাঁচার মধ্যে বন্দী জীব হিসেবে বেড়ে ওঠের কারণে সে কামুক ও হিংস্র।[৩]
অনুবাদ
সম্পাদনাউপন্যাসটি হারপার পেরেননিয়াল ইন্ডিয়া থেকে ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ আই সি দ্য ফেস: অ্যা নভেলা শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।[৬] যেটি বাংলা ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন ভারতীয় অনুবাদক ভি. রামস্বামী।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ শহীদুল জহির; জহির (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। মুখের দিকে দেখি। মাওলা ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 978-984-410-480-8। এলসিসিএন 2006413734। ওএল 24143427W। ওসিএলসি 71330474। Wikidata Q96872670।
- ↑ ফাল্গুনী, অদিতি। "লেখকের প্রয়াণ: শহীদুল জহির ও আমাদের কথাশিল্পের ভুবন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২৩।
- ↑ ক খ গ কামাল, আহমাদ মোস্তফা (২১ মার্চ ২০১৪)। "অনন্য শহীদুল জহির"। অন্যআলো। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ কামাল, আহমাদ মোস্তফা (৩০ নভেম্বর ২০১২)। "মুখের দিকে দেখি : অভিনব উপন্যাস, আনন্দময় পাঠ"। কালের কন্ঠ। ১০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ মাহফুজ, অনন্ত (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "অন্তরে বাহিরে দেখি"। দৈনিক সংবাদ। ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "I See The Face : A Novel"। harpercollins.co.in (ইংরেজি ভাষায়)। হার্পারকলিন্স। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Book Excerpt: I See The Face"। outlookindia। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২৩।