মিশেল ইয়ো

ইয়াং বার্বাহাইয়া তান স্রি দাতো সেরি

মিশেল ইয়ো

পিএসএম এসপিএমপি ডিপিএমপি
ইয়াং বার্বাহাইয়া তান স্রি দাতো সেরি; মিশেল ইয়ো; পিএসএম এসপিএমপি ডিপিএমপি
楊紫瓊
	২০০৯ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইয়ো
জন্ম	ইয়ো চু খেং; ৬ আগস্ট ১৯৬২ (বয়স ৬১); আইপো, পেরাক, মালয় ফেডারেশন (বর্তমান মালয়েশিয়া)
অন্যান্য নাম	মিশেল খান
শিক্ষা	রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব ডান্স (বিএ)
পেশা	অভিনেত্রী
কর্মজীবন	১৯৮৩-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী	ডিকসন পুন (বি. ১৯৮৮; বিচ্ছেদ. ১৯৯২)
সঙ্গী	জিন টোড (২০০৪-বর্তমান)
পুরস্কার	পূর্ণ তালিকা
চীনা নাম
সরলীকৃত চীনা	杨紫琼
ঐতিহ্যবাহী চীনা	楊紫瓊
হান-ইউ ফিনিন
প্রতিলিপিকরণ
প্রমিত চীনা
হান-ইউ ফিনিন	Yáng Zǐqióng
বোপোমোফো	ㄧㄤˊ ㄗˇㄑㄩㄥˊ
Gwoyeu Romatzyh	Yang Tzyychyong
আধ্বব	[jɑ́ŋ tsɨ̀.tɕʰjʊ́ŋ]
য়ুএ: ক্যান্টনীয়
ইয়েল রোমানীকরণ	Yèuhng Jíkìhng
আধ্বব	[jœ̏ːŋ tsǐː.kʰȅŋ]
জাউটপিং	Joeng4 Zi2-king4
দক্ষিণ মিন
হোকিয়েন পিওযে	Iôⁿ Chú-khêng
তাই-লো	Iônn Tsú-khîng

মিশেল ইয়ো চু খেং পিএসএম (জন্ম: ইয়ো চু খেং; ৬ আগস্ট ১৯৬২) একজন মালয়েশীয় অভিনেত্রী। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে হংকংয়ের ইয়েস, ম্যাডাম (১৯৮৫), ম্যাগনিফিসেন্ট ওয়ারিয়র্স (১৯৮৭), পুলিশ স্টোরি থ্রি: সুপারকপ (১৯৯২), দ্য হিরোইক ট্রিও (১৯৯৩) ও হলি ওয়েপন (১৯৯৩)-এর মত জনপ্রিয় মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্রগুলোতে মিশেল খান নামে অভিনয় ও নিজেই তাতে স্টান্ট হিসেবে কাজ করে খ্যাতি অর্জন করেন।

মালয়েশিয়ার আইপোতে জন্মগ্রহণকারী ইয়ো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে জেমস বন্ড গোয়েন্দা চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের টুমরো নেভার ডাইজ এবং অ্যাং লির মার্শাল আর্ট চলচ্চিত্র ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন-এ অভিনয় করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেন এবং দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি ২০০০ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এভরিথিং এভরিওয়েআর অল অ্যাট ওয়ান্স (২০২২) চলচ্চিত্রে মাল্টিভার্সে পরিভ্রমণকারী মা চরিত্রে^[২] অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।^[৩] তিনি একাডেমি পুরস্কারে এই বিভাগে পুরস্কার জয়ী প্রথম এশীয় এবং যে কোন বিভাগে পুরস্কার জয়ী প্রথম মালয়েশীয় ব্যক্তি।^[৪]^[৫]

ইয়ো অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল মেমোয়ার্স অব আ গেইশা (২০০৫), সানশাইন (২০০৭), দ্য মমি: টুম্ব অব দ্য ড্রাগন এম্পেরার (২০০৮), রেইন অব অ্যাসাসিনস (২০১০), কুংফু পান্ডা ২ (২০১১)। তিনি দ্য লেডি (২০১১) চলচ্চিত্রে অং সান সু চির ভূমিকায় অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ক্রেজি রিচ এশিয়ান্স (২০১৮) ও লাস্ট ক্রিসমাস (২০১৯) এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের চলচ্চিত্র শাং-চি অ্যান্ড দ্য লেজেন্ড অব দ্য টেন রিংস (২০২১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। টেলিভিশনে তিনি স্টার ট্রেক: ডিসকভারি (২০১৭-২০২০) ও দ্য উইচার: ব্লাড অরিজিন (২০২২) ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।

১৯৯৭ সালে পিপল সাময়িকী তাকে "বিশ্বের ৫০ সুন্দরতম ব্যক্তি" তালিকায় স্থান দেয় এবং ২০০৯ সালে একই সাময়িকীর "রূপালি পর্দার সর্বকালের সেরা ৩৫ সুন্দরী" তালিকায় স্থান দেয়। তিনি একমাত্র এশীয় অভিনেত্রী হিসেবে দ্বিতীয় তালিকায় স্থান করে নেন।^[৬] ২০০৮ সালে চলচ্চিত্র সমালোচনাভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস তাকে সর্বকালের সেরা মারপিঠধর্মী অভিনেত্রীর স্বীকৃতি দেয়।^[৭] ২০১৬ সালের ১৫ই মার্চ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমর্থন জোরদারের জন্য তাকে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।^[৮]

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা

ইয়ো ১৯৬২ সালের ৬ই আগস্ট পেরাকের আইপো শহরে^[৯] হক্কীয় ও ক্যান্টনীয় উপজাতির মালয়েশীয় চীনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।^[১০]^[১১] তার মাতা জ্যানেট ইয়ো এবং পিতা ইয়ো কিয়ান-টেইক (মৃ. ৫ নভেম্বর ২০১৪) একজন আইনজীবী ও মালয়েশিয়ান চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) রাজনীতিবিদ ছিলেন।^[১২]^[১৩] তিনি মালয় ও ইংরেজি ভাষী হিসেবে বেড়ে ওঠেন এবং ক্যান্টনীয় ভাষা পড়তে বা বলতে পারতেন না।^[১৪] ২০২২ সালে তিনি এই না পারাকে তার "সবচেয়ে বড় অনুশোচনা" বলে উল্লেখ করেন।^[১৫] তা স্বত্ত্বেও তিনি ১৯৮০-এর দশকে সাবলীলভাবে ক্যান্টনীয় ভাষা বলতে শিখেন এবং ২০০০-এর দশকে কিছু মান্দারিন ভাষা শিখেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ NBR Gala 2023 — NBR Best Actress Winner Michelle Yeoh (plus Awkwafina introduction). Youtube clip of the NBR Gala on 8 January 2023 at 4:00 mins
↑ সান, রেবেকা (৮ মার্চ ২০২৩)। "What Michelle Yeoh Taught Me About Motherhood"। দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ পালভার, অ্যান্ড্রু (১৩ মার্চ ২০২৩)। "Michelle Yeoh wins best actress Oscar for Everything Everywhere All at Once"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ কাভা, মার্কো ডেলা। "Michelle Yeoh wins best actress, making Oscars history: 'A beacon of hope and possibilities'"। ইউএসএ টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।
↑ গ্রুম, নিকোলা (১৩ মার্চ ২০২৩)। "Michelle Yeoh wins best actress Oscar for 'Everything Everywhere All at Once'"। রয়টার্স (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ হেফা, কিরণ; হোগ্যান, কেট (২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "35 All-Time Screen Beauties"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।
↑ "Total Recall: The 25 Best Action Heroines of All Time"। রটেন টম্যাটোস (ইংরেজি ভাষায়)। ফ্যানড্যাঙ্গো। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।
↑ "Michelle Yeoh | UNDP"। ইউএনডিপি (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।
↑ লুক, মিশেল (১৭ আগস্ট ২০১৮)। "Michelle Yeoh Has Kicked Ass for Three Decades"। জিকিউ। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ "The Greatest Show on Earth"। চায়নাটাউন কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট সেন্টার। ৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ "Michelle Yeoh | Biography, Movies, Oscar, & Facts | Britannica"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ "Michelle Yeoh Biography (1962–)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ Chan Li Leen (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Michelle Yeoh's father passes away"। The Star (Malaysia)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।
↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; hollywoodreporter নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
↑ "Proust Questionnaire: Michelle Yeoh"। ভ্যানিটি ফেয়ার। জুলাই–আগস্ট ২০২২। পৃষ্ঠা 128। ২০২২-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

ইন্সটাগ্রামে মিশেল ইয়ো
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মিশেল ইয়ো (ইংরেজি)
রটেন টম্যাটোসে মিশেল ইয়ো (ইংরেজি)

টেমপ্লেট:মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৮৩-এর প্রতিনিধি টেমপ্লেট:কমান্ডার অব দি অর্ডার অব লয়্যালিটি টু দ্য ক্রাউন অব মালয়েশিয়া

[NBR-1] NBR Gala 2023 — NBR Best Actress Winner Michelle Yeoh (plus Awkwafina introduction). Youtube clip of the NBR Gala on 8 January 2023 at 4:00 mins

[2] সান, রেবেকা (৮ মার্চ ২০২৩)। "What Michelle Yeoh Taught Me About Motherhood"। দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[3] পালভার, অ্যান্ড্রু (১৩ মার্চ ২০২৩)। "Michelle Yeoh wins best actress Oscar for Everything Everywhere All at Once"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[4] কাভা, মার্কো ডেলা। "Michelle Yeoh wins best actress, making Oscars history: 'A beacon of hope and possibilities'"। ইউএসএ টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।

[5] গ্রুম, নিকোলা (১৩ মার্চ ২০২৩)। "Michelle Yeoh wins best actress Oscar for 'Everything Everywhere All at Once'"। রয়টার্স (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[6] হেফা, কিরণ; হোগ্যান, কেট (২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "35 All-Time Screen Beauties"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।

[7] "Total Recall: The 25 Best Action Heroines of All Time"। রটেন টম্যাটোস (ইংরেজি ভাষায়)। ফ্যানড্যাঙ্গো। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।

[8] "Michelle Yeoh | UNDP"। ইউএনডিপি (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৮।

[9] লুক, মিশেল (১৭ আগস্ট ২০১৮)। "Michelle Yeoh Has Kicked Ass for Three Decades"। জিকিউ। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[10] "The Greatest Show on Earth"। চায়নাটাউন কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট সেন্টার। ৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[11] "Michelle Yeoh | Biography, Movies, Oscar, & Facts | Britannica"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[filmreference-bio-12] "Michelle Yeoh Biography (1962–)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[13] Chan Li Leen (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Michelle Yeoh's father passes away"। The Star (Malaysia)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[hollywoodreporter-14] উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; hollywoodreporter নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

[vf-15] "Proust Questionnaire: Michelle Yeoh"। ভ্যানিটি ফেয়ার। জুলাই–আগস্ট ২০২২। পৃষ্ঠা 128। ২০২২-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৩।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]

[১২]

[১৩]

[১৪]

[১৫]