মিলাউ ভায়াডাক্ট
মিলাউ ভায়াডাক্ট (ইংরেজি: Millau Viaduct, ফরাসি: le Viaduc de Millau) হল এক ধরনের তার সংযুক্ত সেতু যা দক্ষিণ ফ্রান্সের মিলাউ অঞ্চলের কছাকাছি টার্ন নদীর উপত্যকার উপর দিয়ে যায়।অ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ অংশীদারত্বে এটির নকশা করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ অবকাঠামো প্রকৌশলী মাইকেল ভিরলোগেক্স ও ইংরেজ স্থপতি নরম্যান ফোস্টারের দ্বারা।এটি হলো একই সাথে পৃথিবীর উচ্চতম পিলারের সেতু এবং উচ্চতম তার সংযুক্ত সেতু যার উচ্চতা ৩৩৬.৪ মিটার (১১০৪ ফুট)।যেখানে আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা ৩২৪ মিটার (১০৬৩ ফুট)।
মিলাউ ভায়াডাক্ট | |
---|---|
400px | |
স্থানাঙ্ক | ৪৪°০৪′৪৬″ উত্তর ০৩°০১′২০″ পূর্ব / ৪৪.০৭৯৪৪° উত্তর ৩.০২২২২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ৪৪°০৪′৪৬″ উত্তর ০৩°০১′২০″ পূর্ব / ৪৪.০৭৯৪৪° উত্তর ৩.০২২২২° পূর্ব |
বহন করে | A75 অটোরাউটের ৪ লেন |
অতিক্রম করে | টার্ন নদীর উপত্যকা |
স্থান | মিলাউ-ক্রেইসেলস,অ্যাভেইরন, ফ্রান্স |
অফিসিয়াল নাম | le Viaduc de Millau |
রক্ষণাবেক্ষক | Compagnie Eiffage du Viaduc de Millau |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | বহুসংখ্যক স্প্যানযুক্ত তার সংযুক্ত সেতু |
উপাদান | কংক্রিট , স্টিল |
মোট দৈর্ঘ্য | ২,৪৬০ মি (৮,০৭০ ফু) |
প্রস্থ | ৩২.০৫ মি (১০৫.২ ফু) |
উচ্চতা | ৩৩৬.৪ মি (১,১০৪ ফু) (ভূমির উপর সর্বোচ্চ পিলারের) mainspan = ৩৪২ মি (১,১২২ ফু) |
স্প্যানের সংখ্যা | ২০৪ মি (৬৬৯ ফু), 6×৩৪২ মি (১,১২২ ফু), ২০৪ মি (৬৬৯ ফু) |
নিন্মে অনুমোদিত সীমা | ২৭০ মি (৮৯০ ফু) |
ইতিহাস | |
নকশাকার | অবকাঠামো প্রোকৌশলী মাইকেল ভিরলোগেক্স ও ইংরেজ স্থপতি নরম্যান ফোস্টার। |
নির্মাণ শুরু | ১৬ অক্টোবর ২০০১ |
নির্মাণ ব্যয় | € 394,000,00 |
![]() | |
এর নির্মাণকার্জে ব্যায় হয় প্রায় ৩৯৪ মিলিয়ন পাউন্ড।এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভদন করা হয় ১৪ইঈ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে।আর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৬ই ডিসেম্বরে।এই ব্রিজটি ধারাবাহিকভাবে পদমর্যাদা পেয়ে যাচ্ছে অন্যতম মহান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অর্জন হিসেবে, ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্রিজ অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সেতু ও অবকাঠামোগত ইঞ্জিনিয়ারিং এর আন্তর্জাতিক সংঘ) থেকে আউটস্ট্যান্ডিং স্ট্রাকচারাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৮০ সালের দিকে মিলাউর কাছের টার্ন উপত্যকার উচ্চস্তরের যানবাহন চলাচল বেশি যানজট সৃষ্টি করছিল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ছুটির দিনের কারণে প্যারিস থেকে স্পেনের যানচলাচল যানজট সৃষ্টি করত। বাইপাস বা পার্শ্বপথের পদ্ধতিটি মিলাউতে দীর্ঘকাল ধরে বিবেচনা করা হচ্ছিল, তা শুধু বাধাহীন চলাচলের ও দীর্ঘ যানচলাচলের সময় কমানোরর জন্য নয় বরং মিলাউর আঞ্চলিক ব্যাবসা ও বাসস্থান গুলার কারণে এতে প্রবেশের গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য।তখন নদী ও জর্জ উপত্যকার উপর দিয়ে একটা ব্রিজ বানানোকেই অন্যতম সমধান হিসেবে ধরা হয়েছিল। ব্রিজটির প্রথম পরিকল্পনা CETE কর্তৃক আলোচনা করা হয় ১৯৮৭ সালে।১৯৯১ সালে দিদ্ধান্তে উপনিত হয় ২৫০০ মিটারের (৮২০০ ফুট) দীর্ঘ অবকাঠামো তৈরীর যা টার্ন নদীর উপর দিয়ে পার করবে।১৯৯৩-১৯৯৪ যাবত সরকার ৭জন স্থপতি ও ৮জন অবকাঠামো ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ করেছে এটি নিয়ে।
১৯৯৫ সালে সরকার এটির নকশা প্রতিযোগিতা জন্য জনগনের আগ্রহের একটি ঘোষণা জারি করে। ১৯৯৬ সালে বিচারক একটি বহু স্প্যানসহ ক্যাবল স্টেইড ব্রিজের নকশার ঘোষণা দেয়।এটি মাইকেল ভিরলোগেক্স ও নরম্যান ফোস্টার দ্বারা চালিত সোগেলার্গ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক প্রস্তাবিত ছিল।