মিয়া জর্জ

ভারতীয় অভিনেত্রী

জিমি জর্জ (জন্ম: ২৮শে জানুয়ারি ১৯৯২; মঞ্চ নাম মিয়া দ্বারা বেশি পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল, যিনি মূলত মালয়ালম চলচ্চিত্রে এবং কয়েকটি তামিল ও তেলুগু চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[১] তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে একজন অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ডক্টর লাভ এবং ই আদুথা কালাথু নামক চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ২০১২ সালে তিনি কেরালার "মিস ফিটনেস" নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং একই বছর মালয়ালম চলচ্চিত্র চেট্টায়িস-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[২]

মিয়া জর্জ
জন্ম (1992-01-28) ২৮ জানুয়ারি ১৯৯২ (বয়স ৩২)[১]
জাতীয়তাভারতীয়
পেশা
  • অভিনেত্রী
  • মডেল
  • নৃত্যশিল্পী
  • গায়িকা
কর্মজীবন২০০৮–বর্তমান
উচ্চতা১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মিয়া জর্জ ১৯৯২ সালের ২৮শে জানুয়ারি তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের ডোম্বীভিলীর একটি মালয়ালি খ্রিস্টান পরিবারে জর্জ এবং মিনির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বাবা মায়ের দ্বিতীয় কন্যা। তাঁর বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে, তিনি পালৈ থেকে কোট্টায়মে চলে আসেন।[৩] তিনি ভরানাঙ্গনমের সেক্রেড হার্ট গার্লস হাই স্কুল এবং সেন্ট মেরির উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। তিনি পালৈ-এর আলফোনসা কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি এবং সেন্ট থমাস কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।[৪][৫] তাঁর বড় বোনের নাম গিনি, তিনি লিজা জর্জের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছেন।

পেশা সম্পাদনা

মিয়া জর্জ টেলিভিশন ধারাবাহিক আলফোনস্মাকুঞ্জলি মারাক্কর-এর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন।[৬] তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ডক্টর লাভ এবং ই আদুথা কালাথু নামক চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি কেরালার মিস ফিটনেস ২০১২ নামে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা জয়লাভ করার মাধ্যমে সকলের নজরে এসেছিলেন।[৭] তিনি এত্তেকাল সেকেন্ড নামক চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তবে এই চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছে।[৮] এই চলচ্চিত্রে মিয়া'র মা চরিত্রে উর্মিলা উন্নি অভিনয় করেছেন, যিনি পরিচালক শাজুন কারিয়ালের কাছে গিয়ে মিয়া জর্জকে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কৌতুক বিষয়ক চলচ্চিত্র ছেট্টায়িসে অভিনয় করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি উক্ত চলচ্চিত্রে বিজু মেননের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসা অর্জন করেছিল। তারপরে মিয়াকে মোহনলাল অভিনীত রেড ওয়াইন-এ অভিনয় করতে দেখা গেছে; যেখানে তিনি আসিফ আলির সাথে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি জীতু জোসেফের মেমোরিস-এ একটি তদন্তকারী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, এই চলচ্চিত্রটি ২০১৩ সালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ছিল। [৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'Mia George'- The Blue Eye Girl"। ১১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ 
  2. "With Love Miya"Mangalam Publications। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  3. "Manorama Online – Home"Malayala Manorama। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  4. "Mangalam – Varika 21-Oct-2013"Mangalam Weekly। ২১ অক্টোবর ২০১৩। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  5. Pillai, Radhika C (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "I was on cloud nine when Nayanthara complimented me: Mia George"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৫ 
  6. "ജിമിയല്ല ഇനി മിയ" (Malayalam ভাষায়)। ১৫–৩১ ডিসেম্বর ২০১২: 112, 113। 
  7. Karthikeyan, Shruti (১৭ ডিসেম্বর ২০১২)। "Mia opposite Manoj in 6B..."। Deccan Chronicle। Kozhikode। পৃষ্ঠা 25 (Kozhikode Chronicle)। 
  8. "Underwater song in Ettekaal Second"Sify.com। ১০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ 
  9. Deepa Gauri (26 December 2013). The best of Malayalam cinema in 2013 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে. Khaleej Times. Retrieved 28 January 2015.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা