মাহবুবুর রহমান (সেনাপ্রধান)
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান হলেন বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে তিনি দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহবুবুর রহমান | |
---|---|
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য | |
সেনাবাহিনী প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ২০ মে ১৯৯৬ – ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৭ | |
রাষ্ট্রপতি | আবদুর রহমান বিশ্বাস শাহাবুদ্দিন আহমেদ |
পূর্বসূরী | আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম |
উত্তরসূরী | মুস্তাফিজুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বিরল উপজেলা, দিনাজপুর |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাগিনা মাহবুব |
পিতামাতা | লতিফা বেগম (মাতা) [১] |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি |
জীবিকা | সামরিক অফিসার, রাজনীতিবিদ |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ![]() |
শাখা | ![]() |
পদ | লেফট্যানেন্ট জেনারেল |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
মাহবুবুর রহমান দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার জগতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৩]
সেনাবাহিনীতে কর্মজীবনসম্পাদনা
শিক্ষাজীবন শেষ করে মাহবুবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। কিছুকাল কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৭ সালে তাকে সামরিক প্রকৌশলে প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের রিসালপুর মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রেরণ করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ঝিলাম সেনানিবাসে যোগদান করেন।[৩] বাংলাদেশের স্বাধীতা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত অরও অনেক বাঙালি সামরিক কর্মকর্তার সাথে আটক হন। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সহায়তায় স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।[৩]
মাহবুবুর রহমান ১৯৯৬ সালের ২০ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।[২][৪]
রাজনীতিসম্পাদনা
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর মাহবুবুর রহমান বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে দিনাজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।[৬]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "মাহবুবুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে বিএনপির শোক"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১২।
- ↑ ক খ "List of Chief of Army Staff"। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসে ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "সেনা জীবনের সেই রোমাঞ্চিত দিনগুলো"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসে ২০১৮।
- ↑ "১৮ মেয়াদে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ১৭ জন"। ঢাকাটাইমস নিউজ। ১৮ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসে ২০১৮।
- ↑ "লে জে (অব) মাহবুবুর রহমান"। BBC News বাংলা। ১৪ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসে ২০১৮।
- ↑ "মাহবুবুর রহমান (দিনাজপুর)"। প্রথম আলো। ১০ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]