মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক

মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক[১]  একটি নারকেল গাছ, একটি অর্ধচন্দ্র এবং ক্রস আকারের দুইটি জাতীয় পতাকার সমন্বয়ে রাষ্ট্রের প্রথাগত শিরোনাম দিয়ে গঠিত।

মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক
আর্মিজারRepublic of Maldives
প্রতীকচিহ্নের বিবরণএকটি নারকেল গাছ, একটি অর্ধচন্দ্র এবং ক্রস আকারের দুইটি জাতীয় পতাকার সমন্বয়ে গঠিত মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক
নীতিবাক্যAd-Dawlat Al-Mahaldheebiyya ("State of the Mahal Dibiyat")

ব্যাখ্যা সম্পাদনা

নারকেল পাম  মালদ্বীপ জাতির লোকসাহিত্য ও ঐতিহ্য অনুযায়ী এখানকার বাসিন্দাদের জীবিকার উপকরণ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে। এটাকে তারা সবচেয়ে উপকারী গাছ হিসাবে বিশ্বাস করে কারণ তারা  ওষুধ ও চিকিৎসা থেকে শুরু করে নৌকা বানানো পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে গাছের প্রতিটি অংশ ব্যবহার করতে পারে। অর্ধচন্দ্র (একটি সার্বজনীন ইসলামী প্রতীক) এবং তার ভিতরকার তারকা চিহ্ন রাষ্ট্রের ইসলামী বিশ্বাস ও রাষ্ট্রের সরকার তথা কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিধিত্ব করে।

স্ক্রলের শব্দ আদ-দাওলাত আল-মাহাল্ধিবেইয়া আরবি নাসখ শৈলীতে লেখা হয় । এগুলো সুলতান আল-গাজী মোহাম্মদ তাকুরুফানু আল-আজম ব্যবহার করেছেন যিনি ছিলেন মালদ্বীপ জাতির প্রসিদ্ধ নায়ক।  শিরোনাম আদ-দাওলাত আল-মাহাল্ধিবেইয়া (আরবি: الدولة المحلديبية ) যার অর্থ "মাহাল্ধিবেইয়াতের রাষ্ট্র" যা ইবনে বতুতা এবং অন্যান্য মধ্যযুগীয় আরব ভ্রমণকারীরা মালদ্বীপকে বোঝাতে ব্যবহার করতেন।

আধুনিক ব্যবহার সম্পাদনা

পতাকার হাতল মালদ্বীপের সরকারের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে এবং অফিসিয়াল নথি (বিসমিল্লাহর ডানে নিচে) এবং অন্যান্য সরকারি উপস্থাপনায় প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

পূর্বের সংস্করণ সম্পাদনা

পতাকার হাতলের মাঝখানে অর্ধচন্দ্র এবং তারকাটি ১৯৪০ সালে মুহাম্মদ আমিন দসিমেনা কালেগেফানুর প্রতিনিধিত্বের সময় এর প্রথম নকশায় ফ্যাকাশে নীল এবং সাদা (রুপা) রং ব্যবহার করা হয় । পরে ১৯৯০ সালে অর্ধচন্দ্র এবং তারকার রং পরিবর্তন করে সোনালী করা হয়। 

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৬