মাযহাব কী ও কেন?

মুহাম্মদ তাকি উসমানির বই

মাযহাব কী ও কেন? (উর্দু: تقلید کی شرعی حیثیت‎‎) পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ তাকি উসমানির রচিত মাযহাব বিষয়ক একটি গবেষণা গ্রন্থ।[১] এটি ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির উর্দু নাম "তাকলিদ কি শরয়ি হাইসিয়াত" যার অর্থ শরিয়তের দৃষ্টিতে তাকলিদ। এই গ্রন্থে লেখক শরিয়তের আলোকে মাযহাব ও তাকলিদের বাস্তবতা, প্রামাণ্যতা ও এ সম্পর্কে বিভিন্ন সন্দেহের নিরসন করেছেন।[২] "মাযহাব কী ও কেন?" নামে গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেছেন আবু তাহের মিসবাহ। বাংলা ভাষায় এধরনের প্রামাণ্য গ্রন্থ এটিই প্রথম।[৩] গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ "The Legal Status of Following a Madhab"। এর ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আমিন খোলভাদিয়া।[৪]

মাযহাব কী ও কেন?
বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকমুহাম্মদ তাকি উসমানি
মূল শিরোনামউর্দু: تقلید کی شرعی حیثیت‎‎
অনুবাদকআবু তাহের মিসবাহ
দেশপাকিস্তান
ভাষাউর্দু
বিষয়মাযহাব
প্রকাশিত১৯৭৬
প্রকাশকদারুল উলুম করাচি
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা১৬০
আইএসবিএন৯৭৮৯৬৯৪২৮৪৭৩৬ ইংরেজি সংস্করণ
ওসিএলসি৫৫১৪৫৮৪৫
ওয়েবসাইটmuftitaqiusmani.com

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানে মাযহাব ও তাকলিদ বিষয়ে একটি বিতর্কের সূচনা হয়। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রকাশিত ফারান সাময়িকীর সম্পাদক মাহের আল কাদেরী মুহাম্মদ তাকি উসমানিকে এই বিষয়ে একটি তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখার অনুরোধ করেন। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে উসমানি এই বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেন যা ফারান সাময়িকীর মে সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে প্রবন্ধটি আরও বিভিন্ন প্রকাশনায় স্থান লাভ করে। প্রবন্ধটি প্রকাশের ১৩ বছর পর মুহাম্মদ তাকি উসমানি প্রবন্ধটি নিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করেন এবং প্রবন্ধটিকে আরও পূর্ণাঙ্গ অবয়বে বই আকারে প্রকাশ করেন।[২]

গঠন সম্পাদনা

গ্রন্থটির শুরুতে তাকলিদের বর্ণনা দিয়ে শরিয়তের উৎস থেকে তাকলিদ প্রমাণে কুরআন থেকে ৪টি ও হাদিসের ৫টি উদ্ধৃতি টেনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। এরপর সাহাবা যুগের ১০টি উদাহরণ এবং তাবেয়ী যুগ থেকে ৪টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যক্তি তাকলিদের প্রয়োজনীয়তা, চার মাযহাব, তাকলিদের স্তর তারতম্য ও উদাহরণ দিয়ে তাকলিদ বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থের শেষ অংশে লেখক হানাফি মাযহাব, আধুনিক সমস্যা ও তাকলিদ এবং অন্ধ তাকলিদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সর্বশেষে লেখক শেষ আবেদন শিরোনামে মাযহাব নিয়ে বিতর্কের অবসানে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে গ্রন্থটির ইতি টেনেছেন।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. আব্দুল মালেক, মুহাম্মদ (২০১৬)। নির্বাচিত প্রবন্ধ-২। ৩০/১২, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬: মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া। পৃষ্ঠা ৪১৫–৪২২। 
  2. লোকমান হাকীম, মাওলানা (২০১৪)। জাস্টিস মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী জীবন ও কর্ম। বাংলাবাজার, ঢাকা: মাকতাবাতুল হেরা। পৃষ্ঠা ৯৮। আইএসবিএন 9789849112310 
  3. ছরোয়ার, মুহাম্মদ গোলাম (২০১৩)। বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার (পিডিএফ) (গবেষণাপত্র)। বাংলাদেশ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৮১। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. জিল হুমা, ডক্টর (৩০ জুন ২০১৯)। "مفتی محمد تقی عثمانی کی معروف تصنیفات و تالیفات کا تعارفی جائزہ:" [মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির বিখ্যাত লেখাগুলির একটি পরিচিতিমূলক পর্যালোচনা]। রাহাতুল কুলুব (ইংরেজি ভাষায়): ২০৪। আইএসএসএন 2521-2869ডিওআই:10.51411/rahat.3.1.2019.66 
  5. এএসআইএন B005RT29XU

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা