মাধবরম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার উত্তর দিকে অবস্থিত একটি লোকালয়। এটি তিরুভেলুর জেলার একটি তালুক এবং বৃহত্তর চেন্নাই পৌরসংস্থার একটি জোন ছিল। এটি পেরম্বুরকোদুঙ্গাইয়ুর লোকালয় দুটির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

মাধবরম
மாதவரம்
চেন্নাইয়ের অঞ্চল
মাধবরম চেন্নাই-এ অবস্থিত
মাধবরম
মাধবরম
মাধবরম তামিলনাড়ু-এ অবস্থিত
মাধবরম
মাধবরম
স্থানাঙ্ক: ১৩°০৯′ উত্তর ৮০°১৪′ পূর্ব / ১৩.১৫° উত্তর ৮০.২৪° পূর্ব / 13.15; 80.24
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলাচেন্নাই
মহানগরচেন্নাই
চেন্নাই নগর নিগম অঞ্চল
বিভাগতণ্ডাইয়ারপেট
উচ্চতা১৩ মিটার (৪৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,১৯,১০৫
ভাষা
 • দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৬০০০৬০
যানবাহন নিবন্ধনTN-18 (টিএন-১৮)

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট তারিখে চেন্নাই শহর জেলার আশেপাশের বেশকিছু তালুক ও পৌরসভা ওই জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয় তারমধ্যে তিরুভেলুর জেলার মাধবরম ছিল অন্যতম।[১][২] লোকালয়টিতে ১৩০০ বছরের পুরাতন একটি শিব মন্দির[৩] এবং একটি বিষ্ণু মন্দির[৪] রয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা জুলাই তারিখে আয়তন ও জনসংখ্যার বৃহত্তর অম্বাত্তুর তালুক থেকে মাধবরম তালুক গঠন করা হয়। পরে প্রশাসনিকভাবে এটি চেন্নাই শহরের বৃহত্তম অঞ্চল হয়ে দাঁড়ায়। এটি পাঁচটি ফিরকায়ে বিভক্ত ছিল। পূর্বতন মাধবরম তালুকের যে অংশ চেন্নাই জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয় তা‌ ছিল দুটি ফিরকা (মাধবরম ও সেঙ্গুন্দ্রম) ও ৩৬ টি গ্রাম।[৫] রাজাজী রোডে অবস্থিত গণেশ মন্দির এর মুখোমুখি একটি পাথরের ফলকে ওপর এই স্থানের নাম লেখা রয়েছে মাধবপুরম, যা মাধবরমের পূর্ব নাম ধরা যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ভূগোল সম্পাদনা

মাধবরমের অবস্থান ১৩°০৯′ উত্তর ৮০°১৪′ পূর্ব / ১৩.১৫° উত্তর ৮০.২৪° পূর্ব / 13.15; 80.24 স্থানাঙ্কে।[৬] লোকালয়টির গড় উচ্চতার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ মিটার বা ৪২ ফুট উঁচুতে।

জনতত্ত্ব সম্পাদনা

ধর্মভিত্তিক জনগণনা-২০১১[৭]
ধর্ম শতাংশ(%)
হিন্দু
  
৮২.৭৩%
মুসলিম
  
৪.০৮%
খ্রিষ্টান
  
১২.৪৮%
শিখ
  
০.০৫%
বৌদ্ধ
  
০.০৪%
জৈন
  
০.১৬%
অন্যান্য
  
০.৪৬%
অবিবৃত
  
০.০১%

২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে মাধবরম লোকালয়ের জনসংখ্যা ছিল ১,১৯,১০৫ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৮৯ জন নারী বাস করতেন।[৮] মোট শিশু সংখ্যা ১৩,০৪০ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ৬,৭০৩ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ৬,৩২৭ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি শতাংশ যথাক্রমে ১২.৪০ ও ০.২৮। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৯০.৫১ শতাংশ যা জাতীয় সাক্ষরতার হারের তুলনায় বেশি।[৮] শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ২৯,৭৯২ টি। মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৪৩,৩৮৫ জন, যার মধ্যে কৃষক ১৪৮ জন, মূল কৃষিজীবী ২৩৩ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৭৬৫ জন, অন্যান্য শ্রমজীবী ৩৬,৮৭১ জন। মোট প্রান্তিক শ্রমজীবী সংখ্যা ৫,৩৬৮ জন, যার মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৮৯ জন, প্রান্তিক কৃষিজীবী ৬৫ জন, প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ২৮৩ জন, অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী ৪,৯৩১ জন।[৯] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লোকালয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৫৬ শতাংশ।[১০]

পরিবহন সম্পাদনা

মাধবরম মফঃস্বল বাস টার্মিনাস, চেন্নাইয়ের অন্যতম স্যাটেলাইট টারমিনি। এই বাস টার্মিনালটি মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে চেন্নাই অভিমুখে আসা বাসের প্রান্তিক গন্তব্য। চিত্তুর, তিরুপতি, নেল্লোর, বিজয়ওয়াড়া, কর্নুল, পুট্টপর্তি, বিশাখাপত্তনম, ভদ্রাচলমহায়দ্রাবাদ থেকে আসা বাস গুলি এই টার্মিনাসে আসে।[১১]

উদ্ভিদ উদ্যান সম্পাদনা

২০১০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ২৮ একর জমির ওপর পরিকল্পিতভাবে মাধবরম উদ্ভিদ উদ্যান তৈরীর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ৫৭.৩ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা ব্যয় তৈরি এই প্রকল্পটি ২০১৩ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ হয়। এখানে রয়েছে ৪০০ প্রজাতির গাছ, ভেষজ গাছ এবং চারাসহ একটি উদ্ভিদ প্রতিপালন ক্ষেত্র। এছাড়াও রয়েছে একটি গ্লাস হাউস, ঝর্না, পাখির বাসা, ছোটদের খেলার জায়গা এবং পুষ্প উদ্যান।[১২]

মাধবরমে অনুমানিক ৩৯ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা ব্যয়ে উদ্ভিদ প্রতিপালনবিদ্যা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে।[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Kabirdoss, Yogesh (১৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "Chennai district boundaries likely to be redrawn on April 1"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৯ 
  2. Kabirdoss, Yogesh (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Withsuburbs, Chennai district officially doubles in size"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৯ 
  3. Kailasanathar Temple
  4. Kari Varadharaja Perumal Koil
  5. The Hindu (2 February 2010) (২ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Bifurcation of the large Ambattur taluk"। Chennai, India। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১০ 
  6. Falling Rain Genomics, Inc - Madavaram
  7. "Population By Religious Community - Tamil Nadu" (XLS)। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  8. "Census Info 2011 Final population totals"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ 
  9. "Census Info 2011 Final population totals - Madhavaram"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ 
  10. Kalyanaraman, M. (২৫ অক্টোবর ২০১১)। "Migration Spurs Suburban Sprawl"The Times of India, epaper। Chennai। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১১ 
  11. Kabirdoss, Yogesh (২৫ মার্চ ২০১৮)। "Madhavaram bus terminus ready for launch but Kilambakkam facility still in limbo"The Times of India। Chennai। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  12. "Botanical Garden at Madhavaram"। Agriculture Department, Government of Tamil Nadu। ১১ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  13. "Stone laid for ornamental garden at Madhavaram"The Hindu। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬