মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাজিল
মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) চট্টগ্রাম জেলার হালিশহর থানায় অবস্থিত একটি আলিয়া মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে মাদ্রাসাটি তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসা নামেও পরিচিত। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আলিয়া মাদ্রাসা আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসাটি উচ্চ ডিগ্রির জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি মাদ্রাসা।
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১৬ জানুয়ারি ১৯৭৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ |
মূল প্রতিষ্ঠান | আনজুমান ট্রাস্ট |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
সভাপতি | মুহাম্মদ মনজুর আলম মনজু |
অধ্যক্ষ | মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী |
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষার্থী | ১৪৫০ জন |
ঠিকানা | মধ্য হালিশহর , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি, আরবি |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
ওয়েবসাইট | http://www.mtisf.edu.bd/ |
অবস্থান
সম্পাদনামাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা চট্টগ্রাম শহরের মধ্য হালিশহর থানা এলাকায় অবস্থিত।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাইসলামি শিক্ষা ও যুগোপযোগী জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মুহাম্মাদ তৈয়ব শাহের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।[২]
প্রাথমিকভাবে এই মাদ্রাসা ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসাবে কার্যক্রম চালু করে। ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সরকারীভাবে অনুমতি লাভ। এরপরে ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি দাখিল শ্রেণীর স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৯৪ সালের ১ জুলাই আলিম শ্রেণীর স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০১ সালের ১ জুলাই ফাযিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি লাভ করে। এরপরে ২৯ মে ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের অধিভুক্তি প্রতিষ্ঠান হয়। ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে মাদ্রাসাটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়।
অবকাঠামো
সম্পাদনাঅত্র মাদ্রাসায় ৪ তলা বিশিষ্ট ১টি আবাসিক ভবন, ৫ তলা বিশিষ্ট ১টি একাডেমিক ভবন ও ৫ তলা বিশিষ্ট ১টি আবাসিক ভবন রয়েছে। মাদ্রাসার সম্মুখে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ। এছাড়াও ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ২টি আইসিটি কক্ষ, ১টি সুপরিসর লাইব্রেরি ও হিফজখানা, ১টি ডাইনিং হল, ২টি শিক্ষক ও কর্মচারী আবাসন, ২০টি ছাত্রাবাস কক্ষ রয়েছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সম্পাদনাছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইসলামের সঠিক রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মৌলিক আক্বিদা-বিশ্বাস, ইতিহাস-ঐতিহ্য, যুগোপযোগী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে যথার্থ শিক্ষাদানের মাধ্যমে আদর্শবান দেশপ্রেমিক, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, উপরন্তু আল্লাহ এবং তার প্রিয় মুহাম্মাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনা১. ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) স্তরঃ শিশু শ্রেণি পর্যন্ত।
২. জুনিয়র দাখিল (নিম্ন মাধ্যমিক) স্তরঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত।
৩. দাখিল বা (মাধ্যমিক) স্তরঃ নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত।
৪. আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) স্তরঃ আলিম ১ম, ২য় বর্ষ।
৫. ফাযিল (ডিগ্রী) স্তরঃ (৩ বছর মেয়াদী) ১ম,২য়,৩য় বর্ষ।
শিক্ষকবৃন্দ
সম্পাদনাএই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বরত আছেন মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী। তৎকালীন অধিভুক্ত কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৩৬ জন সুযোগ্য ও সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দায়িত্বরত আছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Madrasha-E-Tayabia Islamia Sunnia Fazil, Bandar, Chittagong"। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Madrasha-E-Tayabia Islamia Sunnia Fazil, Bandar, Chittagong"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮।