মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এই নিবন্ধ অথবা অনুচ্ছেদটি সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ নিবন্ধের সাথে একত্রিত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। (আলোচনা করুন) |
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে মাভাবিপ্রবি) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত। ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাঙ্গাইলের সন্তোষে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের ১২তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৮০ |
শিক্ষার্থী | ৭০৭১ |
স্নাতক | ৫০০০ |
স্নাতকোত্তর | ২০৭১ |
অবস্থান | , ২৪°১৪′০৭″ উত্তর ৮৯°৫৩′৩০″ পূর্ব / ২৪.২৩৫২° উত্তর ৮৯.৮৯১৮° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | মূল ক্যাম্পাস ৭০.৬৯ একর (২৮.৬১ হেক্টর) এবং সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাস ১০ একর (৪.০ হেক্টর) |
ভাষা | ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | মাভাবিপ্রবি |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | mbstu |
প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৯০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকুল্যে ২৮০ জন।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনামজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। তিনিই ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেন নি, অবশেষে ১৯৭০ সালে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৭০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাওলানা ভাসানী "আমার পরিকল্পনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়" শিরোনামে লিখিত নিবন্ধের মাধ্যমে তাঁর প্রস্তাবিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত প্রস্তাব করেন। তিনি জীবদ্দশায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি, কিন্তু তিনিই মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কাজ শুরু করে যান।
১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ভাসানীর শিক্ষা বিস্তারের পরিকল্পনায় একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বের ১২ সদস্যবিশিষ্ঠ একটা কমিটি গঠন করে দেন। উক্ত কমিটি ১৯৮৩ সালে ২২ মে সদুরপ্রসারী সুপারিশ রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষাবিদ ডক্টর মীর ফকরুজ্জামানকে চেয়ারম্যান ও সৈয়দ ইরফানুল বারীকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ঠ সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সইবি) ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে দেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন জটিলতাই কার্যক্রম আর সামনে এগায় নি।
১৯৯৬ সালে সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারের প্ররিকল্পনা গ্রহণ করে। এর অংশ হিসাবে টাঙ্গাইলে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। ১৯৯৭ সালে এডিবির আর্থিক সহায়তায় তৎকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেয় পুরাতন জেলাগুলোতে (যেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় নেই) একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্থাপনের। এর পরিপ্রক্ষিতে সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সরকারের নিকট সন্তোষেই একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ট্রাস্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব আজিজ-উল-হক, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর এস এইচ কে ইউসুফজাই, সদস্যসচিব সৈয়দ ইরফানুল বারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মোঃ সামসুল হক ও অত্র এলাকার গণ্যমান্য বাক্তিদের প্রচেষ্টায় অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সন্তোষে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ পেশ করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[২] বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রকল্প পরিচালক ২০০০ সালে অধ্যাপক ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য নিয়োগ পান। পরবর্তীতে দ্বিতীয় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ড. আমিনুল হককে ৭ জানুয়ারি, ২০০১ সালে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়।[৩]
২০০২ সালের ২১ নভেম্বর অধ্যাপক ড. মোঃ ইউসুফ শরীফ আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে প্রথম নিয়োগ পান।[২] কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি - বিভাগ দুটি নিয়ে এর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়।[২]
২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর এর শিক্ষায়তনিক কার্যক্রম শুরু হয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের সর্বমোট ৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন শিক্ষক নিয়ে।[৪][৫] প্রায় ৮ মাসের শিক্ষায়তনিক সময় পর পরিবেশ বিজ্ঞান এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং অপরাধবিদ্যা এবং পুলিশ বিজ্ঞান নামক দুটি নতুন বিভাগ খোলা হয় জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল প্রকৌশলে ও জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে জৈবপ্রযুক্তি এবং জেনেটিক প্রকৌশল এবং খাদ্য প্রযুক্তি এবং পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়।[৬][৭][৮]
২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ও সাধারণ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে গণিত ও পরিসংখ্যান, রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়।[৯][১০][১১] ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অর্থনীতি বিভাগ যাত্রা করে। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে যুক্ত হয় ফার্মেসী ও জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিদ্যা বিভাগ দুটি।
ক্যাম্পাস
সম্পাদনাএই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ক্যাম্পাস টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে মাওলানা ভাসানীর স্মৃতিধন্য সন্তোষে অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসের আয়তন প্রায় ৭০.৬৯ একর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। এই জায়গার ভেতরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন, সাতটি আবাসিক শিক্ষার্থী হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, খেলার মাঠ ইত্যাদি অবস্থিত। এছাড়া ক্যাম্পাসের অধিভুক্ত জায়গার ভেতরই মাওলানা ভাসানীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঐতিহাসিক দরবার হল, প্রখ্যাত সুফি সাধক পীর শাহ্ জামানের নামানুসারে পীর শাহ্ জামান দিঘি, মাওলানা ভাসানীর মাজার, একটি মসজিদ, মন্দির, মাওলানা ভাসানী জাদুঘর, মাওলানা ভাসানী গবেষণা কেন্দ্রসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই অধিভুক্ত জায়গা ছাড়াও সন্তোষের অদূরে রথখোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি রয়েছে, যেখানে শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০২৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ— মাভাবিপ্রবি’র বহিঃক্যাম্পাস (দ্বিতীয় ক্যাম্পাস) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মাভাবিপ্রবি’র নতুন অনুষদ ভেটেরিনারি চিকিৎসা এবং পশুবিজ্ঞান-এর যাত্রা এই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি ১০ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। এই জায়গায় একাডেমিক ভবন, পশুচিকিৎসা হাসপাতাল, পশুর শেড, অডিটোরিয়াম, ছাত্র-ছাত্রী হল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে।
অনুষদ এবং বিভাগসমূহ
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিভাগগুলি ৭টি অনুষদের অধীনে ২০টি বিভাগে পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।[১২] সেগুলো হলো:
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ[৪]
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ[৫]
- বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগ[৬]
- যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ
- পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- অপরাধবিদ্যা ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগ
- খাদ্যপ্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ[৮]
- জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগ[৭]
- জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিদ্যা বিভাগ
- ফার্মেসী বিভাগ
- ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ
- হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- অর্থনীতি বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- ভেটেরিনারি সায়েন্স ও পশুপালন বিভাগ
শিক্ষায়তনিক পঞ্জিকা
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত। একটি সেমিস্টার ১৮.৪ সপ্তাহ ধরে চলে এবং প্রত্যেক সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হয়।[১৩] একটি নতুন শিক্ষাবর্ষ সাধারণত চলমান শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরেই শুরু হয়ে থাকে। প্রত্যেক সেমিস্টারের শেষে একটি সাধারণ পরীক্ষা (সেমিস্টার ফাইনাল) নেয়া হয়। এছাড়াও পুরো সেমিস্টার জুড়েই শিক্ষার্থীদের নানারকম ক্লাস টেস্টে অবতীর্ণ হতে হয়।
ভর্তি
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে কেউ ভর্তি হতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর আগ্রহী প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন করতে হয়, যাদের মধ্য হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
ক্যাম্পাস জীবন
সম্পাদনাসাপ্তাহিক ছুটির দিন (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) বাদে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস হয়ে থাকে। প্রায়শই শিক্ষার্থীদের জন্য নানান জায়গায় শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৭টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে ৪টি ছাত্রদের জন্য এবং বাকি ৩টি ছাত্রীদের জন্য। নানারকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আরো কয়েকটি হল স্থাপনার বিষয়গুলো বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরকম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে এর প্রশাসনিক কার্যালয়। প্রশাসনিক কার্যালয়ের অধীনস্থ আরো নানারকম উপবিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি শারীরিক শিক্ষা বিভাগ, যেটি শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় খেলাধুলার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক চর্চা কেন্দ্রটি পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার সুবিধাদি প্রদান করে।
বছরজুড়েই ক্যাম্পাসে নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলে এবং বিশেষ দিবস উদযাপিত হয়। যেমন - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাওলানা ভাসানীর জন্ম ও প্রয়াণ দিবস, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত বরণ ইত্যাদি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নানারকম সেমিনার বা কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজিত হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের জ্ঞান ভাগাভাগি করে নেবার সুযোগ পান।
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন সম্পূরক বিষয়ের ওপরেও পর্যাপ্ত বই রয়েছে। এর বাইরেও নানাবিধ বিষয়ের ওপর রয়েছে প্রচুর বই। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গ্রন্থাগারেই রয়েছে জেরক্স মেশিন। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ছাড়াও প্রত্যেকটি বিভাগেই রয়েছে সেমিনার লাইব্রেরী; যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দরকারি বইয়ের পর্যাপ্ত সংগ্রহ রয়েছে।
ক্যাফেটেরিয়া
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সুবিশাল ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বল্প মূল্যে মান-সম্পূর্ণ খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষকদের জন্য আলাদা ও উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাফেটেরিয়াটি ছাত্রছাত্রীদের মিলনকেন্দ্র পরিণত হয়েছে। এইখানে প্রায় সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়। ক্লাসের ক্লান্তি দূর করতে এবং বিরতির সময় ছাত্রছাত্রীরা ক্যাফেটেরিয়াতে আসেন।
চিকিৎসা কেন্দ্র
সম্পাদনামাল্টি পারপাস ভবনে মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত। তিনজন এমবিবিএস ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে মেডিক্যাল অফিসার ও কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে উঠা মেডিক্যাল সেন্টারটি ছাত্রদের সকল শারীরিক অসুস্থতার আরোগ্যসাধন করে থাকে। এখানে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে ঔষধ সরবরাহ করে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য মেডিক্যাল সেন্টারের নিজস্ব দুইটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
ব্যায়ামাগার
সম্পাদনাশরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগে সুসজ্জিত ব্যায়ামাগার আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষকরা নিয়িমত ব্যায়াম করার সুযোগ রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রীর জন্য খোলা থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টা -রাত ৯টা পর্যন্ত শিক্ষকদের খোলা থাকে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পাশে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত।একাডেমিক বিল্ডিং যাওয়ার রাস্তার পাশেই অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয়।২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়।[১৪] বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি বছরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।
যাতায়াত
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মাইক্রোবাসের এবং মিনিবাসের ব্যবস্থা। আর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস। যেগুলো প্রায় ১ ঘণ্টা পর পর ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াত করে।
আবাসন ব্যবস্থা
সম্পাদনাশিক্ষার্থীদের আবাসন এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সংযুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯টি হল (৭টি মূল ক্যাম্পাসে এবং ২টি সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসে) রয়েছে। প্রত্যেক হল পরিচালনার জন্য একজন প্রভোস্ট এবং একাধিক হাউজ টিউটর নিযুক্ত আছেন। হলগুলো হলো:
- ছাত্র হল
- জননেতা আব্দুল মান্নান হল
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
- শহীদ জিয়াউর রহমান হল
- শেখ রাসেল হল
- শহীদ এম মনসুর আলী হল (সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাস)
- ছাত্রী হল
- আলেমা খাতুন ভাসানী হল
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হল
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাস)
সংগঠন
সম্পাদনা- মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি[১৫]
- ভাসানী পরিষদ
- ধ্রুবতারা টেকনো কালচারাল ক্লাব
- প্রথম আলো বন্ধুসভা, মাভাবিপ্রবি
- বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, মাভাবিপ্রবি শাখা
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখা
- মাভাবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি)[১৬]
- মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি[১৭]
- সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাব (সিডিসি) [১৮]
- স্বপ্ন
- সমকাল সুহৃদ সমাবেশ - মাভাবিপ্রবি
- মাভাবিপ্রবি চলচ্চিত্র সংসদ
- সোসাইটি অফ ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স
- বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজি
- মাভাবিপ্রবি বায়োটেকনোলজি ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক
- মাভাবিপ্রবি সোসাইটি অব আইসিটি
- মাভাবিপ্রবি কম্পিউটার ক্লাব
- মাওলানা ভাসানী রোটার্যাক্ট ক্লাব, টাঙ্গাইল (রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮০, বাংলাদেশ)[১৯]
- মাভাবিপ্রবি লিও ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- মাভাবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি ছাত্র কল্যাণ পরিষদ
- রক্তদান সংগঠন বাঁধন
- নিউট্রিশন ক্লাব
- অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
২০১৭ সালে 'মাভাবিপ্রবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন'-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।[২০]
উপাচার্যবৃন্দ
সম্পাদনানিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন:
ক্রম | উপাচার্য | থেকে | পর্যন্ত |
---|---|---|---|
১ | অধ্যাপক ড. ইউসুফ শরীফ আহমেদ খান [২] | ২১-১১-২০০২ | ২১-০৯-২০০৪ |
২ | অধ্যাপক ড. মোঃ খলিলুর রহমান | ২২-০৯-২০০৪ | ০৬-০৫-২০০৭ |
৩ | অধ্যাপক ড. মোঃ মমিনুল হক | ০৭-০৫-২০০৭ | ০৩-০৫-২০০৯ |
৪ | অধ্যাপক ড. এম. নুরুল ইসলাম | ০৪-০৫-২০০৯ | ০৩-০৫-২০১৩ |
৫ | অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন | ০৪-০৫-২০১৩ | ০৩-০৫-২০১৭[৩] |
৬ | অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন | ২৯-০৭-২০১৭ | ২৮-০৭-২০২১ |
৭ | অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন | ১২-০১-২০২২[২১] | ০৫-০৮-২০২৪[২২] |
৮ | অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ | ২১-০৯-২০২৪[২৩] | বর্তমান |
উপ উপাচার্য
১. অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান
২. অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান
সমাবর্তন
সম্পাদনা১ম সমাবর্তন
সম্পাদনা৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। [২৪] সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সর্বমোট ১১৯০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। [২৫] যার মধ্যে ১০৬৯ জন স্নাতক সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১২১ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা জীবনে অন্যান্য কৃতিত্বের জন্য ৫১ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স , ভাইস চ্যান্সেলর’স, ডিন’স এই তিনটি ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক প্রদান পদক দেয়া হয়। [১] অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এম নুরুল ইসলাম।
২য় সমাবর্তন
সম্পাদনা১৩ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন। দ্বিতীয় সমাবর্তনে চারটি অনুষদের ১২টি বিভাগের বিএসসি সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫১টি ব্যাচের ৯৮৭ শিক্ষার্থীকে স্নাতক এবং ৫০১ শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তরসহ মোট ১ হাজার ৪৮৮ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষাজীবনে অনন্য কৃতিত্বের জন্য ২১ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর ও ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। [২৬]
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সর্বমোট ১১৯০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।[২৭]
এ ছাড়াও শিক্ষাজীবনে অনন্য কৃতিত্বের জন্য ২১ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও ডিন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
৩য় সমাবর্তন
সম্পাদনা৫ মার্চ, ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে মাভাবিপ্রবির উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন। তৃতীয় সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অংশগ্রহণ করতে পারেননি এবং তার পক্ষে সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-১ আসনের সংসদ সদস্য ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক। ২০১১-২০১২ সেশনের গ্র্যাজুয়েট থেকে ২০১৫-২০১৬ সেশনের গ্র্যাজুয়েটরা তৃতীয় সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মাভাবিপ্রবির কার্যক্রম আরো বিকশিত করা প্রয়োজন।[২৮]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
একাডেমিক ভবন
-
একাডেমিক ভবন
-
ভিত্তিপ্রস্তর স্মারক
-
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন"। নতুন বার্তা। ঢাকা। ৬ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ "MBSTU | History"। mbstu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৪।
- ↑ ক খ "উচ্চশিক্ষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। নভেম্বর ১৩, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Department of CSE"। cse.mbstu.ac.bd। ৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অগাস্ট ২৮, ২০১৭।
- ↑ ক খ "Welcome to Dept. of ICT"। ict.mbstu.ac.bd। ১১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অগাস্ট ২৮, ২০১৭।
- ↑ ক খ "Department of TE"। mbstu.ac.bd। ২০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১১।
- ↑ ক খ "Department of BGE"। mbstu.ac.bd। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১১।
- ↑ ক খ "Department of FTNS"। mbstu.ac.bd। ২০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১১।
- ↑ ক খ "Department of Chemistry"। mbstu.ac.bd। ২০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১১।
- ↑ ক খ "Department of Mathematics"। mbstu.ac.bd।
- ↑ ক খ "department of Physics"। mbstu.ac.bd। ২০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ "MBSTU | Education"। mbstu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৬।
- ↑ "Campus Life"। mbstu.ac.bd।
- ↑ "বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৭।
- ↑ "মাভাবিপ্রবির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শুভ দে, সম্পাদক নুহাশ"। www.ittefaq.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "মাভাবিপ্রবিতে সিআরসি শাখার কমিটি গঠন"। newstangail.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "মাভাবিপ্রবিতে নবীনদের বরণ করে নিল ডিবেটিং সোসাইটি - BhorerBarta.com"। BhorerBarta.com। ২০০০-০১-০১। ২০১৬-০৩-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-৩১।
- ↑ "টাঙ্গাইলে সেলিম আল দিনের নাটক মঞ্ছায়ন করছে সিডিসি - BhorerBarta.com"। BhorerBarta.com। ২০০০-০১-০১। ২০১৭-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-৩১।
- ↑ "Home"। Rotaract Club of Mawlana Bhashani Tangail। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "মাভাবিপ্রবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-৩১।
- ↑ "ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন"। কালের কণ্ঠ। ১৩ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৬ কর্মকর্তার পদত্যাগ"। প্রথম আলো। ৭ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "মাভাবিপ্রবিতে যোগদান করলেন নব নিযুক্ত ভিসি ড. আনোয়ারুল"। এশিয়ান অনলাইন টিভি। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ রিয়াজ উদ্দিন রিপন (এপ্রিল ১৭, ২০১৩)। "সমাবর্তন উৎসব ,ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"। দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত"। বিডিনিউজ২৪.কম। ঢাকা। ৬ এপ্রিল ২০১৩। ৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "অতীতে তাকিয়ে এগিয়ে নিতে হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: রাষ্ট্রপতি"। বিডিনিউজ২৪.কম। ঢাকা। ১৩ নভেম্বর ২০১৬। ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন কাল"। প্রথম আলো। ঢাকা। নভেম্বর ১২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ https://www.jaijaidinbd.com/todays-paper/education-arena/322119