মাই উইক উইথ মেরিলিন

মাই উইক উইথ মেরিলিন ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি নাট্য চলচ্চিত্র। সাইমন কার্টিজ ছবিটির পরিচালক ও আদ্রিয়ান হজেস চিত্রনাট্যকার। ছবির শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন মিশেল উইলিয়ামস, কেনেথ ব্র্যানা, এডি রেডমেইন, ডোমিনিক কুপার, জুলিয়া ওরমন্ড, এমা ওয়াটসনজুডি ডেঞ্চকলিন ক্লার্ক রচিত দুইটি বই অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত রয়েছে। ১৯৫৭ সালে লরন্স অলিভিয়েমেরিলিন মনরো অভিনীত দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল চলচ্চিত্র নির্মাণের কাহিনীই এখানে আলোচিত হয়েছে। ১৯৫৭ সালে উক্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় এক সপ্তাহ মেরিলিন মনরোর স্বামী আর্থার মিলার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলে ক্লার্ক মেরিলিনকে লন্ডন ভ্রমণে সাহায্য করেন। এ কথাই উক্ত চলচ্চিত্রে আলোচিত হয়েছে।

মাই উইক উইথ মেরিলিন
মাই উইক উইথ মেরিলিন পোস্টার.jpg
Theatrical release poster
পরিচালকসাইমন কার্টিজ
প্রযোজক
চিত্রনাট্যকারআদ্রিয়ান হজেস
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকার
চিত্রগ্রাহকবেন স্মিথার্ড
সম্পাদকঅ্যাডাম রেখট
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশক
মুক্তি
দৈর্ঘ্য৯৯ মিনিট[১]
দেশ
  • যুক্তরাজ্য[২]
  • যুক্তরাষ্ট্র[২]
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$১০ মিলিয়ন[৩]
আয়$৩৫ মিলিয়ন[৪]

পাইনউড স্টুডিওজ-এ ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর প্রধান দৃশ্যায়ন শুরু হয়। সল্টউড দুর্গ, হোয়াইট ওয়ালথাম বিমানঘাঁটি ও লন্ডনের নিকটবর্তী জায়গায় চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে যে স্টুডিওতে দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শো গার্ল এর চিত্রায়ন হয়েছিল, কার্টিস সেটিই ব্যবহার করেন। ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি মুক্তি পায়। দুই দিন পর মিল ভ্যালি চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হয়। ঐ বছরের ২৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে ছবিটির মুক্তি হয়।

মনরো চরিত্রে অভিনয়ের জন্য উইলিয়ামস গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান। তিনি একাডেমি পুরস্কারবাফটা পুরস্কারের জন্যও মনোনয়ন লাভ করেন।

কাহিনীসংক্ষেপসম্পাদনা

১৯৫৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক হওয়ার পর উচ্চাকাঙ্ক্ষী চলচ্চিত্রনির্মাতা কলিন ক্লার্ক লরন্স অলিভিয়ের পরবর্তী ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। প্রযোজনা ব্যবস্থাপক হিউ পার্সিভাল তাকে বলেন, কোনো কাজ আপাতত পাওয়া যাবে না। ক্লার্ক আর অলিভিয়ের আগেও একবার দেখা হয়েছিল। তিনি অলিভিয়ের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অলিভিয়ে ও তার স্ত্রী ভিভিয়েন লেই একসময় এসে পৌঁছান। ভিভিয়েন অলিভিয়েকে তার পরবর্তী ছবি দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল-এ ক্লার্ককে একটি কাজ দিতে বলেন। কলিনের প্রথম কাজ হলো লন্ডনে মনরো ও মিলারের বসবাসের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা। কিন্তু সংবাদমাধ্যম দ্রুতই সে বাড়িটি আবিষ্কার করে ফেলে। কলিন বলে, এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়- কারণ সে দ্বিতীয় আরেকটি বাড়ি তাদের জন্য সুরক্ষিত করে রেখেছে। এতে অলিভিয়ে ও মেরিলিনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আর্থার পি জ্যাকবস মুগ্ধ হন।

পাপারাজ্জির দল হিথ্রো বিমানবন্দর-এ মেরিলিনের আগমন সম্পর্কে অবহিত হয়। তারা সবাই বিমানঘাঁটিতে আগমন করে। মেরিলিনের সঙ্গে এসেছেন তার স্বামী আর্থার পি মিলার, অভিনয় প্রশিক্ষক পলা স্ট্রাসবুর্গ ও ব্যবসায়িক সহযোগী মিল্টন এইচ গ্রিন।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "My Week With Marilyn (2011)"BBFC। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯ 
  2. "My Week with Marilyn (2011)"LUMIERE। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. Kaufman, Amy (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "Movie Projector: 'Breaking Dawn' to devour three new family films"Los Angeles TimesTribune Company। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১১ 
  4. "My Week with Marilyn (2011)"Box Office MojoInternet Movie Database। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা