মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট

যোগাযোগের মাধ্যম

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট মাইক্রোসফটের তৈরি একটি স্লাইড শো উপস্থাপনা প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের অংশ হিসাবে এটি চালু হয় ২২ মে, ১৯৯০।

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট
Microsoft PowerPoint 2013-2019 logo.svg
উন্নয়নকারীমাইক্রোসফট
স্থিতিশীল সংস্করণ
2013 (15.0.4420.1017) / ২ অক্টোবর ২০১২; ১০ বছর আগে (2012-10-02)
যে ভাষায় লিখিতC++[১]
অপারেটিং সিস্টেমমাইক্রোসফট উইন্ডোজ
ধরনউপস্থাপনা
লাইসেন্সবাণিজ্যিক
ওয়েবসাইটoffice.microsoft.com/powerpoint
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট (ম্যাক)
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর লোগো.png
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট (ম্যাক) ২০১১
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট (ম্যাক) ২০১১
উন্নয়নকারীমাইক্রোসফট
স্থিতিশীল সংস্করণ
২০০০ (14.1.2.110505 SP1) / ১৪ জুন ২০১১; ১১ বছর আগে (2011-06-14)
অপারেটিং সিস্টেমম্যাক ওএস এক্স
ধরনউপস্থাপনা
লাইসেন্সমালিকানা, বাণিজ্যিক
ওয়েবসাইটwww.microsoft.com/mac/powerpoint

ইতিহাসসম্পাদনা

ডেনিশ অস্টিন ও থমাস রুডকিন মাকিন্টোশ পিসির জন্য প্রথম একটি উপস্থাপনা প্রোগ্রাম তৈরি করেন,[২] ফরথট ইঙ্ক কম্পানির হয়ে।[৩] ১৯৮৭ সালে ট্রেডমার্কজনিত কারণে এর পুনঃনামকরন করা হয় পাওয়ারপয়েন্ট, নামটির ধারণা দেন রবার্ট গাস্কিন্স[৪] একই বছরের আগস্ট মাসে মাইক্রোসফট এটি ১৪ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। (বর্তমান বাজারমুল্যে ২৯.১ মিলিয়ন ডলার), এবং মাইক্রোসফটের প্রথম গ্রাফিকাল ব্যবসায়ী ইউনিট যাত্রা শুরু করে এবং সফটওয়্যারটির আরও উন্নতি শাধন করে। ২২ মে ১৯৯০, পাওয়ারপয়েন্ট আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে, একই দিনে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৩.০ মুক্তি দেয়।

ব্যবহারবিধিসম্পাদনা

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। যেটা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, উপস্থাপনা ও প্রচারমাধ্যম থেকে শুরু করে সকল প্রকার দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামটি ওপেন করলেই এই পাওয়ার পয়েন্ট অপশনের দেখা মিলবে। "MS Word" এর প্রতিটি ফাইলকে যেমন "Document" বলা হয়, তেমনি পাওয়ার পয়েন্টের ফাইল "Presentation" নামে পরিচিতি পাবে। তাছাড়া "MS Word" এ যেমন Page থাকে, পাওয়ার পয়েন্ট ঠিক তেমনি "Slide" থাকে। একটি স্লাইডে লেখা শেষ হলে "Ctrl+M" টিপলে পরবর্তী স্লাইড নেয়া যাবে। প্রতিটি স্লাইডের সাধারণ মাপ হচ্ছে ৩৫mm.

পাওয়ার পয়েন্টের প্রতিটি স্লাইডে বাক্সের আকারে দুটি অংশের দেখা মিলবে। উপরেরটিতে "Click to add title" লেখা থাকে, এখানে প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুর শিরোনাম বা হেডলাইন লিখতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বড় আকারে আকর্ষণীয় ফন্টে শিরোনাম লিখতে হবে। আর নিচের অংশে লেখা থাকে "Click to add subtitle", এখানে বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্যারাগ্রাফ আকারে বা বুলেট পয়েন্টের আকারে লিখতে হয় অথবা ছবি সংযোজন করতে হয়। প্রয়োজনভেদে এই অংশে শর্ট ভিডিও ক্লিপ অথবা অডিও ফাইল যোগ করা যায়। সেভ করার জন্যে প্রতিবার "Ctrl+S" টিপতে হবে।

পাওয়ার পয়েন্টের Ribbon অংশে কয়েকটি প্রয়োজনীয় অপশন রয়েছে। যথা-

  • HOME- এখানে লেখার ফন্ট স্টাইল, কালার ও সাইজ সেট করতে হয়। প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি বুলেট পয়েন্ট আকারে লেখার ব্যবস্থা এখানে পাওয়া যাবে।
  • INSERT- লেখার পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, অডিও ফাইল, গ্রাফচিত্র এসব ব্যবহারের জন্যে এর প্রয়োজন হয়।
  • DESIGN- এখানে স্লাইডগুলির রঙ ও ডিজাইন সিলেক্ট করার প্রয়োজনীয় অপশন থাকে।
  • TRANSITIONS এবং ANIMATION- এই দুটি অপশনের কাজ প্রায় কাছাকাছি। স্লাইডগুলিকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্যে উপরোক্ত অপশনদুটির সাহায্যে অ্যানিমেশন অথবা ইফেক্ট সৃষ্টি করা যায়। যেমন-স্ক্রিনে কালো পর্দাটি সরে গিয়ে প্রথম স্লাইড দেখতে পাওয়া গেলো অথবা স্লাইডটি পাখির মতো বা প্লেনের মতো উড়ে গিয়ে পরবর্তী স্লাইড চলে এলো, আবার পরবর্তী স্লাইডটি ভেসে এসে আগের স্লাইডটিকে সরিয়ে দিলো... এমনই এসব নান্দনিক ইফেক্ট এখানে তৈরি করা সম্ভব।

প্রেজেন্টেশন তৈরির সমস্ত কাজটি শেষ হবার পর ধাপে ধাপে পরবর্তী স্লাইড দেখার জন্যে Right navigation key টিপতে হবে। অথবা কীবোর্ডের F5 টিপলে Auto slide show শুরু হবে, শেষ হলে Esc টিপতে হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শনের জন্যে কম্পিউটারের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, প্রোজেক্টর, সাদা পর্দা এবং সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন হবে। তার পাশাপাশি একজন দক্ষ বক্তা-যার সরস সাবলীল ও নির্ভীক বাচনভঙ্গি এবং উপস্থাপনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Lextrait, Vincent (জানুয়ারি ২০১০)। "The Programming Languages Beacon, v10.0"। ৩০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১০ 
  2. Austin, Dennis। "Beginning of PowerPoint: A Personal Technical Story"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৪ 
  3. Gaskins, Robert (১৪ আগস্ট ১৯৮৪)। "Sample Product Proposal: presentation graphics for overhead projection" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০০৯ 
  4. Atkinson, Max (১৯ আগস্ট ২০০৯)। "The problem with PowerPoint"। BBC News। 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

Microsoft
Third-party