মাইকেল সোমারে

পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী

গ্র্যান্ড চীফ স্যার মাইকেল সোমারে জিসিএল, জিসিএমজি, সিএইচ, সিএফ, কেএসটিজে, পিসি, এমপি (জন্ম ৯ই এপ্রিল ১৯৩৬) ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন; এর পূর্বেও তিনি স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত এবং পুনরায় ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রধামন্ত্রী ছিলেন। প্রথম দুইবার তিনি পেঙ্গু পার্টির সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কিন্তু পরবর্তীতে ন্যাশনাল এলায়েন্স পার্টির প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পূণনির্বাচিত হন কিন্তু তার পরিবার ২০১১ সালের জুনে স্বাস্থ্য অবনতির জন্য তার পদত্যেগের কথা ঘোষণা করে।

গ্র্যন্ড চীফ স্যার মাইকেল সোমারে
পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৭ই জানুয়ারি ২০১১ – ৪ই এপ্রিল ২০১১
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
গভর্নর জেনারেলস্যার মাইকেল ওগিও
পূর্বসূরীস্যাম অ্যাবাল (ভারপ্রাপ্ত)
উত্তরসূরীস্যাম অ্যাবাল (ভারপ্রাপ্ত)
কাজের মেয়াদ
৫ই আগস্ট ২০০২ – ১৩ই ডিসেম্বর ২০১০
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
গভর্নর জেনারেলস্যার সিলাস এতোপারে
বিল স্কাটে (ভারপ্রাপ্ত)
জেফরে নেপ (ভারপ্রাপ্ত)
স্যার পলিয়াস মাটানে
পূর্বসূরীস্যার মোরাউতা
উত্তরসূরীস্যাম অ্যাবাল (ভারপ্রাপ্ত)
কাজের মেয়াদ
২রা আগস্ট ১৯৮২ – ২১শে নভেম্বর ১৯৮৫
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
গভর্নর জেনারেলস্যার তোরে লোকোলোকো
স্যার কিংসফোর্ড দিবেলা
পূর্বসূরীস্যার জুলিয়াস চ্যান
উত্তরসূরীপাইয়াস উইংটি
কাজের মেয়াদ
১৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ – ১১ই মার্চ ১৯৮০
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
গভর্নর জেনারেলস্যার জন গাইসে
স্যার তোরে লোকোলোকো
পূর্বসূরীপদ সৃষ্টি
উত্তরসূরীজুলিয়াস চ্যান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৬-০৪-০৯)৯ এপ্রিল ১৯৩৬
রাবাউল, টেরিটোরি অফ নিউ গিনি
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
পোর্ট মোরেসবি
রাজনৈতিক দলন্যাশনাল এলায়েন্স পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীভেরনিকা সোমারে
ধর্মরোমান ক্যাথলিক[১]

২০১১ সালের ১২ই ডিসেম্বরে পাপুয়া নিউগিনির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সোমারেকেই পুনর্বহাল করা হয় এবং তার উত্তরসূরী পিটার ও’নীলকে অবৈধ ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয় পিটারের নিয়োগ আইনসিদ্ধ ছিল না।[২]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

সোমারের পিতার নাম লাদউইগ সোমারে সানা ও মাতার নাম ক্যাম্বে সোমারে। লাদউইগ সোমারে ১৯২২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত পুলিশে চাকরি করেন, পরবর্তীতে তিনি সার্জেন্ট পদে উন্নীত হয়েছিলেন। তিনি লিখতে ও পড়তে পারতেন, পরবর্তীতে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করে ও সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি অ্যাঙ্গোরাম কো-আপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন ও ১৯৭২ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ব্যবসাতে জড়িত ছিলেন। লাদউইগ সোমারে সানার চার স্ত্রী ও ৬ সন্তান ছিল যার মধ্যে মাইকেল সোমারে সবার চেয়ে বড়।

লাদউইগ সোমারে রাবাউল পুলিশ স্টেশনে কর্মরত ছিলেন ও সেখানেই মাইকেল সোমারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব এস্পিক প্রদেশের মারিক লেকের তার পারিবারিক গ্রাম কারাউয়ে বেড়ে উঠেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে প্রাথমিক বিদ্যা সমাপ্ত করেন জাপানিদের দ্বারা পরিচালিত কারাউয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে তিনি জাপানি সংখ্যা লিখতে ও পড়তে শিখেন। একই সময়ে তার পিতা লাদউইগ জাপানিদের ভয়ে পালিয়ে থাকতেন।

১৯৪৬ সাল থেকে সোমারে বোরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেন। পরবর্তীতে ড্রেগেরহাফেন শিক্ষা সেন্টার ও সোগেরি উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করে ১৯৫৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াতে স্নাতক শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভ্রমণ করেন। সেখানে থেকেই তিনি কয়েকটি প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ৈ শিক্ষকতা করে সোগেরি উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরে এসে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত পরবর্তী প্রশিক্ষণ লাভ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jeffrey Clark, "Imagining the State, or Tribalism and the Arts of Memory in the Highlands of Papua New Guinea", in Ton Otto & Nicholas Thomas (eds.), Narratives of Nation in the South Pacific, Amsterdam:Harwood Academic Publishers, 1997, আইএসবিএন ৯০-৫৭০২-০৮৬-৬, p.82
  2. "PNG Supreme Court rules O'Neill election illegal, orders Somare reinstatement"Radio New Zealand International। ১২ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা