মল্লিকা সেনগুপ্ত
মল্লিকা সেনগুপ্ত (১৯৬০–২০১১) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একজন কবি ও লেখক। তার লেখা নারীবাদী ও সংবেদনশীল, সমসাময়িক ও ইতিহাস মুখী। তিনি কুড়িটি বই রচনা করেন। পেশায় তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন।
মল্লিকা সেনগুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | ২৭ মার্চ ১৯৬০ |
মৃত্যু | ২৮ মে ২০১১[১] |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
শিক্ষা | ডক্টরেট |
পেশা | কবি, প্রাবন্ধিক, ঔপনাসিক |
নিয়োগকারী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | কবির বৌঠান, সীতায়ন, কথা মানবি,স্ত্রীলিঙ্গ নির্মাণ, পুরুষ নয়, পুরুষতন্ত্র |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুবোধ সরকার |
পুরস্কার | সুকান্ত পুরস্কার, বাংলা একাদেমি এ্যাওয়ার্ড |
জীবন
সম্পাদনামল্লিকা সেনগুপ্ত ১৯৬০ খ্রি. ২৭ মার্চ ভারতের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর কবি-জীবন শুরু ১৯৮১ খ্রি. এবং সেই থেকে তিনি ১১টি কবিতার বই, দুটি উপন্যাস এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজের সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ৯০ এর দশকে তিনি অপর্ণা সেন সম্পাদিত 'সানন্দা' পত্রিকার কবিতা বিভাগের সম্পাদনা করতেন। স্বামী সুবোধ সরকারের সাথে তিনি 'ভাষানগর' নামক একটি সাংস্কৃতিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
সৃষ্টিকর্ম
সম্পাদনামল্লিকার কবিতা আপষহীন রাজনৈতিক ও নারীবাদী হিসেবে পরিচিত। তার লেখনির গুণে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তার লেখা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাকে সুকান্ত পুরস্কার, বাংলা একাদেমি এ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ ফর লিটারেচার দিয়ে সম্মানিত করেছেন। ইতিহাসের ব্রাত্য নারী চরিত্ররা প্রায়ই তার লেখায় পুনর্জীবিত হয়েছেন। সমসাময়িক কবি সংযুক্তা দাসগুপ্তের ভাষায় "তার কবিতায় নারীস্বত্বা কেবলমাত্র অন্তর্ভূতি সচেতনতা হিসেবেই থেকে যায় না, সেটা প্রস্ফুটিত হয় সমস্ত প্রান্তিক নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদ।"
বিশেষ বই
সম্পাদনা- কথামানবী কবিতা
- পুরুষকে লেখা চিঠি
- আমাকে সারিয়ে দাও ভালবাসা
- সীতায়ন উপন্যাস
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা- ১৯৯৮ ভারত সরকারের জুনিয়র রাইটার ফেলোশিপ।
- ১৯৯৮ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুকান্ত পুরস্কার।
- ২০০৪ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি অনীতা-সুনীল বসু পুরস্কার।