মফিজুল ইসলাম (সচিব)

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক চেয়ারপার্সন

মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন প্রাক্তন সিনিয়র সচিব। তিনি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]

মফিজুল ইসলাম
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন
কাজের মেয়াদ
২০১৯ – ২০২২
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীইকবাল খান চৌধুরী
উত্তরসূরীপ্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী
সিনিয়র সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
২০১৮ – ২০১৯
রাষ্ট্রপতিআব্দুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীশুভাশীষ বসু
উত্তরসূরীড. মোঃ জাফর উদ্দীন
সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ
কাজের মেয়াদ
২০১৭ – ২০১৮
রাষ্ট্রপতিআব্দুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীফরিদ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী
উত্তরসূরীআবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবাড্ডা, ঢাকা, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসরকারি কর্মকর্তা, সিনিয়র সচিব

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা

মফিজুল ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার সাতারকুলে জন্মগ্রহণ করেন।[২] বর্ণাঢ্য শিক্ষা জীবনের অধিকারী জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম বাড্ডা আলাতুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।।[৩] তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল থেকে 'Leadership for the 21st Century' কোর্স সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

মফিজুল ইসলাম বিসিএস ১৯৮৪ নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন মৌলভীবাজার জেলায়।[১] তিনি সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিব ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪][৫]

তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের কার্যক্রমের সাথে নিজেকে দীর্ঘদিন আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের স্পেশাল ইভেন্টস বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্জন সম্পাদনা

তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ই-গভর্নেস, আর্থিক বিধিবিধান প্রতিপালন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং উদ্ভাবনী মনোবৃত্তি, শুদ্ধাচার অনুশীলন, সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখা য় তিনি সকল সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৪ জুলাই ২০১৮ জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার গ্রহণ করেন।

২০১৬-২০১৭ সালে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাঝে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (APA) বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ স্কোর লাভ করে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

একই সাথে দুটি পুরস্কার বাংলাদেশের প্রশাসন ইতিহাসে প্রথম।

তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস এর সর্বোচ্চ পদক "রৌপ্য ব্যাঘ্র" পদকে ভূষিত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "প্রতিযোগিতা কমিশনে নতুন চেয়ারম্যান"বাংলা ট্রিবিউন। ২৯ অক্টোবর ২০১৯। ৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২ 
  2. "সিনিয়র সচিব হলেন মফিজুল ইসলাম"রাইজিংবিডি.কম। ১৪ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২ 
  3. "চেয়ারপার্সন"বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। ১৫ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২ 
  4. "সিনিয়র সচিব হলেন মফিজুল ইসলাম"জাগোনিউজ২৪.কম। ১৪ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২ 
  5. "প্রতিযোগিতা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান"সময়ের আলো। ৩১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২২