মধ্ব ব্রাহ্মণ
মধ্ব ব্রাহ্মণ বা মাধব ব্রাহ্মণ বা সাধ-বৈষ্ণব[১] হল ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, যারা মধ্বাচার্যের দ্বারা উত্থাপিত সাধ বৈষ্ণবধর্ম এবং দ্বৈত দর্শন অনুসরণ করে। এদের বেশিরভাগই ভারতের কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, তামিলনাড়ু, কেরালা, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পাওয়া যায়।[২]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
ভারত কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, কেরালা, গোয়া, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ | |
ভাষা | |
কন্নড়, কোঙ্কণী, মারাঠি, তেলুগু, তুলু, তামিল, মালয়ালম | |
ধর্ম | |
হিন্দুধর্ম (বৈষ্ণববাদ) |
ইতিহাস
সম্পাদনামাধব সম্প্রদায় তার দার্শনিক উৎস মধ্বাচার্যের কাছে খুঁজে পায়, প্রথম বলেছিলেন সাধ বৈষ্ণব আচার্য, যিনি ১৩ শতকের কাছাকাছি বসবাস করতেন। উডুপির অষ্ট মঠ মাধবাচার্য তাঁর শিষ্যদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মাধবাচার্যের পরে মঠ স্থাপনকারী অন্যান্য আচার্যদের মধ্যে রয়েছে পদ্মনাভতীর্থ, নরহরিতীর্থ, অক্ষোভ্যতীর্থ, জয়তীর্থ, শ্রীপাদরাজ, ব্যাসতীর্থ, বদীরাজতীর্থ, বিজয়েন্দ্রতীর্থ, রাঘবেন্দ্রতীর্থ।[৩] মাধব দর্শনের অনুষঙ্গ দক্ষিণ ভারতের উড়ুপি থেকে পশ্চিম ভারতের দ্বারকা থেকে পূর্ব ভারতের গয়া থেকে উত্তর ভারতের বদ্রীনাথ পর্যন্ত মন্দির ও মঠের আকারে বিস্তৃত।[৪]
উড়ুপি শহরটি ১৩শ শতাব্দীর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। মাধবরা বিশ্বাস করে যে মানুষের আত্মা ঈশ্বরের কৃপায় রক্ষা পায় এবং ঈশ্বর সত্য ভক্তদের দান করেন। ভক্তিমূলক উপাসনা মাধবদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bansi Dhar Tripathi (১৯৭৮)। Sadhus of India: The Sociological View। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 32।
The followers of Madhwa are called Sad- Vaishnavas in contra-distinction to the Vaishnavas of Sri Sampradaya.
- ↑ The Illustrated Weekly of India, Volume 93। Bennett, Coleman & Company, Limited, at the Times of India Press। ১৯৭২। পৃষ্ঠা 18–22।
Page 18:The followers of Madhvacharya (especially Vaishnavas) are found all over Mysore, Tamil Nadu, and Andhra, apart from Maharashtra (Savase brahmins of Sangli, Tasgoan, Karad, Satara, etc) and Central Kerala (Gaud Saraswats)....Page 22:The institutions established by Madhva and his successors for the propagation of the system are found in different parts of the country. A large community of Madhva-Vaishnavas drawn mostly (not exclusively) from the brahmin fold has grown round these institutions. It is not a homogenous community on account of the barriers of language, manner's and customs, food habits and restrictions about intermarriages, etc. The largest number of the community are to found in the North Karnataka areas. Next comes The old Mysore areas, Tamil Nadu, Andhra Pradesh, parts of Maharashtra proper, Tulunad (South Kanara) and U.P. Barring the Karnatak area and Tamil Nadu , the largest community of Madhvas is to be found among the Gaud Saraswats.
- ↑ O. P. Bhatnagar, India. University Grants Commission, University of Allahabad. Dept. of Modern Indian History (১৯৬৪)। Studies in social history: modern India। St. Paul's Press Training School। পৃষ্ঠা 133–135।
- ↑ Nataraja Guru (১৯৯০)। Life and Teachings of Narayana Guru: In Two Parts। Narayana Gurukula Foundation। পৃষ্ঠা 200।
- ↑ Yamuna Lingappa, Banadakoppa T. Lingappa (১৯৯২)। Wholesome nutrition for mind, body, and microflora: the goal of lacto-vegetarianism (recipes of Udipi cuisine included)। Ecobiology Foundation International। পৃষ্ঠা 320। আইএসবিএন 9780963499905।
উৎস
সম্পাদনা- Sharma, B. N. Krishnamurti (২০০০)। A History of the Dvaita School of Vedānta and Its Literature, 3rd Edition। Motilal Banarsidass (2008 Reprint)। আইএসবিএন 978-8120815759।
- Hebbar, B.N (২০০৫)। The Sri-Krsna Temple at Udupi: The History and Spiritual Center of the Madhvite Sect of Hinduism। Bharatiya Granth Nikethan। আইএসবিএন 81-89211-04-8।