মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা
মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও খ্যাতনামা কামিল মাদরাসা।[১] মাদ্রাসাটি এর আগে ১৯৯৬, ২০০২ ও ২০১৬ সালে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা নির্বাচিত হয়।[২] এই মাদ্রাসাটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।[৩]
![]() মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার লোগো | |
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১ জানুয়ারি ১৯৮৮ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি |
|
অধ্যক্ষ | মোকাদ্দাসুল ইসলাম |
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষার্থী | আনু. ১০০০ |
ঠিকানা | দেবীশিংপাড়া, ভদ্রা , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ইআইআইএন | ১২৬৪৭৭ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
ওয়েবসাইট | www |
অবস্থান
সম্পাদনামদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্রে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর স্মরণী গ্রেটার রোডের পার্শ্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং রেলওয়ে স্টেশন ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ০.৭৫ কিলোমিটার পূর্বে অভিজাত ইসলামপুর দেবীশিংপাড়া (উপরভদ্রা) এলাকায় শান্ত পরিবেশে অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনারাজশাহী বিভাগের ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তার করার লক্ষ্যে ১৯৮৮[৪] সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সালাম আল-মাদানীর পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় রাজশাহী শহরে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পর্যায়ক্রমে মাদরাসাটি আলিম (এইচএসসি) এবং কামিল (মাস্টার্স) পর্যায়ে উন্নীত হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনামদীনাতুল উলুম মাদরাসায় ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদরাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনারাজশাহী শহরে অবস্থিত এই মাদরাসা আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি মাদ্রাসা।[৫][৬] শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরি থেকে শুরু করে গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, এবং মেয়েদের জন্য কমন রুম, মেয়েদের অভ্যন্তরীণ সময় কাটানোর জন্য খেলাধুলার সুযোগ প্রভৃতি।
- খেলার মাঠ
মদীনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় সাক্ষরতার প্রমান রেখেছে। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। বেশিরভাগ সময় ছাত্ররা ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল খেলে থাকে। শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে বিভিন্ন ভাগ হয়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খেলাধুলা করে থাকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে মাঠের উন্নয়ন ও খেলাধুলার সামগ্রী বহন করা থাকে।
- গ্রন্থাগার
মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে।[৭] দাখিল থেকে শুরু করে কামিল পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। মাদ্রাসার গ্রন্থাগারে আল কুরআন, আল হাদিস, তাফসীর, আল ফিকহ, ইসলামের ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ের উপর বহু মূল্যবান বই রয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই লাইব্রেরীতে এসে পড়াশোনাও করতে পারে।
- বিজ্ঞানাগার
মাদরাসার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের গবেষণা ও ল্যাব ক্লাস করার জন্য মাদরাসায় উন্নতমানের বিজ্ঞানানার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে ছাত্ররা পাঠদান সময়ে ও অবসর সময়ে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে। ২০২০ সালে এই মাদরাসা বিজ্ঞানাগার উন্নয়নের জন্য ৬৫০০০ টাকা বাজেট পায়।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা"। সরকারি ওয়েবসাইট। ১২ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২১।
- ↑ Dainikshiksha। "মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সাফল্য - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১২।
- ↑ {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://126477.ebmeb.gov.bd/99900/mad-info-gen.html
- ↑ https://mukm.edu.bd/brief-history।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Dhakatimes24.com। "'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণে ধীর গতি চলবে না'"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১২।
- ↑ "রাজশাহীতে মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিম ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন"। ২০২১-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১২।
- ↑ "মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় গ্রন্থাগরিক আবশ্যক -"। ২০২১-০৫-০২। ২০২১-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১২।
- ↑ "বিজ্ঞানাগার বাজেটের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসার তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২১।