মঈন আখতার (২৪ ডিসেম্বর ১৯৫০ – ২২ এপ্রিল ২০১১) ছিলেন পাকিস্তানি টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও মঞ্চ শিল্পী, কৌতুকবিদ, কৌতুকাভিনেতা, ছদ্মবেশী, আয়োজক, লেখক, গায়ক, পরিচালক এবং প্রযোজক; যিনি তার সহ-অভিনেতা আনোয়ার মকসুদ এবং বুশরা আনসারির সাথে রেডিও পাকিস্তানের যুগে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পর্দায় তার অভিনীত "রোজি" ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তিনি আইকনে পরিণত হয়েছিলেন এবং উপমহাদেশের চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হন।[১] শৈশব থেকে শুরু করে ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মজীবনে অবদান রেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের সক্রিয় ছিলেন।[২] তিনি ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান সরকার প্রদত্ত প্রাইড অব পারফরম্যান্স সম্মানে এবং ২০১১ সালে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ ভূষিত হন।

মঈন আখতার

معین اختر
মঈন আখতার
আখতার
জন্ম (1950-12-24) ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৭৩)
করাচী, সিন্ধু, পাকিস্তান
মৃত্যু২২ এপ্রিল ২০১১(2011-04-22) (বয়স ৬০)
করাচী, সিন্ধু, পাকিস্তান
জাতীয়তাপাকিস্তানি
পেশা
  • টেলিভিশন আয়োজক
  • কৌতুকাভিনেতা
  • লেখক
  • গায়ক
  • পরিচালক
  • প্রযোজক
কর্মজীবন১৯৬৬–২০১১
পুরস্কারপ্রাইড অব পারফরম্যান্স (১৯৯৬)
সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (২০১১)
প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রাপক
আখতার ছিলেন ১৯৯৬ সালের প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রাপক
তারিখ১৪ আগস্ট ১৯৯৬
দেশইসলামি প্রজাতন্ত্রের পাকিস্তান
পুরস্কারদাতাপ্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আখতারের জন্ম পাকিস্তানের সিন্ধুর করাচিতে[৩] তার জন্মের কয়েক মাস পরে ৯২ বছর বয়সে তার পিতা মুহাম্মদ ইব্রাহিম মেহবুব মারা যান। তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দেশভাগের ফলে মেহবুব করাচিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং নিজের ছাপাখানা এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ের ঠিকাদার হিসেবে জীবন কাটিয়েছেন।[৪] আখতার ইংরেজি, বাংলা, সিন্ধি, পাঞ্জাবি, মেমোনি, পশতু, গুজরাটি এবং উর্দু সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় সাবলীল ছিলেন।[৫]

পুরস্কার এবং সম্মাননা সম্পাদনা

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার সম্পাদনা

২০১১ সালের ২২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আখতার করাচিতে মারা যান। তার তিন কন্যা ও দুই পুত্র।[৩] আখতারের বাসভবনের নিকটস্থ তাওহীদ মসজিদে জুনায়েদ জামশেদের নেতৃত্বে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজিত হয়।[৭]

২০১১ সালে লন্ডনের বিশ্বখ্যাত মাদাম তুসো জাদুঘর আখতাতের মোমমুর্তী অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।[৮] একইসাথে প্রথমবাবের মতো একজন পাকিস্তানি বিনোদনশিল্পী জাদুঘরে স্থান পাবে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "I'm a huge fan of Moin Akhtar: Aamir Khan"দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৩ 
  2. "Fourth death anniversary of Moin Akhtar being observed today"। Dunya News। ২২ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২০ 
  3. "Interesting facts about Moin Akhter on his 5th death anniversary" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ মার্চ ২০১৮ তারিখে, The News Tribe, 22 April 2016. Retrieved 4 December 2016.
  4. সোহাইল, কাথাক (২৩ ডিসেম্বর ২০১১)। "Transitions: The late Moin Akhtar's father passes away" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২০ 
  5. "Moin Akhtar: in our hearts and minds" (ইংরেজি ভাষায়)। ডন নিউজ। ২৪ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২০ 
  6. "Moin Akhtar Interview by Shiraz Mithani- Dallas, TX in April 1996"। ২২ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  7. "Moin Akhtar laid to rest in Karachi"Pakwatan.com। ১৫ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১১  Retrieved 4 December 2016
  8. "Moin Akhtar's family says no to Tussauds?"দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ১৩ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা