মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল

মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'মোংলা ইপিজেড', বা, 'খুলনা ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের দক্ষিণের শহর খুলনার অদূরে মোংলা এলাকায় অবস্থিত।[১] এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২৫৫.৪১ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।

অবস্থানসম্পাদনা

এই ইপিজেডটি ঢাকা শহর থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থিত। এটি যশোর বিমানবন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।[১]

প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাসম্পাদনা

এটি একটি শুল্কমুক্ত এলাকা যেখানে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে কাঁচামাল আমদানী করতঃ উৎপাদিত পণ্য সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে বিদেশে রপ্তানী করা যায়।[২] শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহের জন্য এখানে 'বেপজা' কর্তৃপক্ষের নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও নিজস্ব পাওয়ার প্লান্ট এবং ১১ কেভির একটি সাব স্টেশন রয়েছে; তবে এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ নেই।[১]

শিল্প প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা

এখানে কলকারখানাগুলোতে তিন ধরনের বিনিয়োগ আছে:

  1. শতভাগ বিদেশী পুজিঁ
  2. বিদেশী ও দেশী পুজিঁর যৌথ বিনিয়োগ এবং
  3. শতভাগ দেশীয় পুজিঁ।

এই ইপিজেডে সর্বমোট শিল্প-প্লটের সংখ্যা ১৯০ টি।[১]

উৎপাদিত পণ্যসম্পাদনা

এখানে উৎপাদিত পণ্যগুলো[১] হচ্ছে:

  • তৈরি পোশাক
  • খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি।

রপ্তানিসম্পাদনা

২০১২-১৩ অর্থবছরের ইপিজেডগুলো থেকে মোট ৪,৮৫৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের[৩] পণ্য রপ্তানী করা হয় যা মোট জাতীয় রপ্তানীতে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং এসময় মোংলা ইপিজেড থেকে মোট ৭৪.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।[৪] ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ৫,৫২৫.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[৩] মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইপিজেডগুলো এবং মোংলা ইপিজেড থেকে রপ্তানি হয়েছে ৭৭.২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।[৫]

বিগত ৬ বছরে বেপজা বিনিয়োগে ১২৯.৫৫%, রপ্তানিতে ১৫৫.৯৫% এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ১১২.৩০% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।[৬]

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

বহি:সংযোগসম্পাদনা

  • বেপজা - বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।