ভৈরবী
ভৈরবী (সংস্কৃত: भैरवी) হলেন একজন হিন্দু দেবী যিনি দশমহাবিদ্যাদের অন্যতম হিসেবে বর্ণিত। মহাবিদ্যারা হলেন আদি পরাশক্তির দশটি রূপ। তিনি ভৈরবের সহধর্মিণী (যিনি শিবের এক বিশেষ রূপ)।[২]
ভৈরবী | |
---|---|
কুণ্ডলিনীর দেবী[১] | |
দশমহাবিদ্যারং অন্যতম গোষ্ঠীর সদস্য | |
![]() ভৈরবীর একটি লিথোগ্রাফ | |
অন্তর্ভুক্তি | আদি পরাশক্তি, দশমহাবিদ্যা, মাতৃদেবী, এবং মহাকালী |
আবাস | কৈলাশ পর্বত এবং মণিদ্বীপ |
মন্ত্র | ঔঁ হাস'ম হাসাকার্ম' হাস'ম ভৈ ,রবি নমো নমঃ |
অস্ত্র | ত্রিশূল, খট্বাঙ্গ, তলোয়ার, কপালা, কাস্তে এবং ডমরু |
বাহন | পদ্ম |
সঙ্গী | ভৈরব (শিবের এক বিশেষ রূপ) |
শব্দের উৎপত্তি
সম্পাদনাভৈরবী নামের অর্থ হলো "ভীতিকর" বা "বিস্ময়কর"।[৩]
প্রতিকৃতি
সম্পাদনাদেবীমাহাত্ম্যম্-এ তার ধ্যানের শ্লোকে তার রূপ বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি লাল বস্ত্র পরিধান করেন এবং গলায় কাটা মাথার মালা পরেন। তার তিনটি চোখ রয়েছে এবং মস্তকে অর্ধচন্দ্র শোভা পায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ত্রিপুরসুন্দরী ও ত্রিপুরাভৈরবী ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও তারা ভিন্ন দেবী।[৪]
পৌরাণিক
সম্পাদনাভৈরবী হলেন কুণ্ডলিনী ও তন্ত্র )@0ঞ অফসাধনার এক দক্ষ নারী সাধিকা। একজন যোগিনী হলেন তন্ত্রের শিক্ষার্থী বা একাগ্র সাধক। ভৈরবী সেই সাধিকা, যিনি ৬৪ জন যোস হয়গিনীর সহায়তায় তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি অর্জন করেছেন। যোগিনী বা যোগিনীরা মোট ৬৪ জন, যারা ভৈরবীর সহায়ক দেবী। ভৈরবী এই ৬৪ যোগিনীর প্রধান। অন্যদিকে ভৈরবের ৫২টি সহায়ক শক্তি রয়েছে যাদের বলা হয় ৫২ ভৈরব। পুরাণ ও তন্ত্রগ্রন্থে বলা হয়েছে, ভৈরবী হলেন ভৈরবের সহধর্মিণী। তন্ত্রশাস্ত্রে ৬৪ যোগিনী, ৫২ ভৈরব ও ৫৬ কালভে একসঙ্গে কাজ করেন।
ভৈরবীকে শুভঙ্করী নামেও অভিহিত করা হয়। এই নামের অর্থ হলো তিনি তার ভক্তদের জন্য শুভকারিণী, যারা তার সন্তানের মতো। অর্থাৎ, তিনি এক স্নেহশীল মাতা। তবে তিনি অন্যায়কারী ও নিষ্ঠুরদের প্রতি রুদ্র ও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেন। তাদের প্রতি তিনি শাস্তি ও রক্তস্নানের পক্ষপাতী। এই কারণে তিনি যেমন স্নেহময়ী জননী তেমনই শাস্তিদাতা দেবী। যদিও তিনি ভয়ংকর ও প্রলয়মূর্তি বলে বিবেচিত হন তবে তার ভক্তদের কাছে তিনি করুণাময়ী মা।[৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ David Frawley, Inner Tantric Yoga, Lotus Press, 2008, পৃষ্ঠা 163-164
- ↑ Magee, Mike। "Todala Tantra"।
- ↑ Sukul, Kubernath. Vārānasī Vaibhava. Patna, India: Bihar Rastrabhasa Parisad, 1977
- ↑ Ravi V। "Tripura Bhairavi"। Mahavidyas। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১৬।
- ↑ "ত্রিপুরা ভৈরবী – শিবশক্তি"।
- ↑ "প্রজ্ঞার দেবী, উগ্র মাতৃকা ভৈরবীর আধ্যাত্মিক দিক"। সংস্কৃতি - হিন্দুধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতি ওয়েবসাইট। ৪ মে ২০১৬। ৯ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- Kinsley, David (1988). Hindu Goddesses: Vision of the Divine Feminine in the Hindu Religious Traditions. University of California Press. আইএসবিএন ০-৫২০-০৬৩৩৯-২.
- Maity, P. K (১৯৬২), Historical Studies in the Cult of the Goddess Manasa, Calcutta
- R. D. Trivedi: Iconography of Parvati (Delhi, 1981)