ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ

ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ ঘটে যখন দূষণকারী পদার্থ মাটি থেকে ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে। ভূগর্ভস্থ পানিতে ক্ষুদ্র এবং অবাঞ্ছিত উপাদান, দূষণকারী পদার্থের উপস্থিতির ফলে এই ধরনের দূষণ প্রাকৃতিকভাবেই ঘটতে পারে, এ ক্ষেত্রে এটি দূষণের পরিবর্তে অবিশুদ্ধি হিসাবে উল্লেখ করাই শ্রেয়।

লুসাকা, জাম্বিয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের একটি উদাহরণ। পিছনের পায়খানা সামনের অগভীর ইঁদারার পানি জীবাণু এবং নাইট্রেট দ্বারা দূষিত করছে।

দূষণকারী পদার্থের ধরন সম্পাদনা

ভূগর্ভস্থ পানিতে পাওয়া দূষণকারী পদার্থ দৈহিক, অজৈব রাসায়নিক, জৈব রাসায়নিক, ব্যাকটেরিয়াগত এবং তেজস্ক্রিয় ধরনের হতে পারে। মূলত, ভূ-পৃষ্ঠীয় পানি দূষণকারী পদার্থগুলো ভূগর্ভস্থ পানিতেও পাওয়া যেতে পারে, যদিও তাদের গুরুত্ব ভিন্ন হতে পারে।

আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইড সম্পাদনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইড বিশ্বজুড়ে পানির দূষণকারী অজৈব পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে। [১]

উপধাতু আর্সেনিক প্রাকৃতিকভাবেই ভূগর্ভস্থ পানিতে দেখা দিতে পারে, যেমন চীন, ভারত ও বাংলাদেশ সহ এশিয়ায় প্রায়ই দেখা যায়। [২] উত্তর ভারতের সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং বাংলাদেশের ২৫% অগভীর জলকূপে প্রাকৃতিকভাবেই আর্সেনিক-দূষণ ঘটে।

ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক ছাড়াও যেখানে খনন প্রক্রিয়া চলে বা আর্সেনিক নিঃসরণকারী খনি বর্জ্যের ভাগাড় থাকে সেখানকার পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকতে পারে ।

ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে পানিতে প্রাকৃতিক ফ্লোরাইডের উপস্থিতি উদ্বেগের কারণ হিসাবে হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কারণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ উচ্চতর ঘনত্বের পানি পান করার ঝুঁকিতে রয়েছে।[৩] বিশেষত জল খরতা কম হলে, আম্লিক আগ্নেয়গিরির পাথর থেকে মুক্তি এবং বিক্ষিপ্ত আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে ফ্লোরাইড নিঃসরণ হতে পারে। আর্জেন্টিনার পাম্পাস, চিলি, মেক্সিকো, ভারত, পাকিস্তান, পূর্ব আফ্রিকান রিফ্ট এবং কিছু আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জে ( টেনারিফ ) [৪] ভূগর্ভস্থ পানিতে উচ্চ মাত্রার ফ্লোরাইড একটি গুরুতর সমস্যা।

স্বাভাবিকভাবেই পানির পানির জন্য ফ্লোরাইডের উচ্চ স্তরের ফ্লোরাইড যা ঘটেছে সেগুলিতে, দাঁতের এবং কঙ্কাল ফ্লুরোসিস উভয়ই প্রচলিত এবং গুরুতর হতে পারে। [৫]

জীবাণু সম্পাদনা

 
ল্যাট্রিন থেকে মলের জীবাণু ভূগর্ভস্থ কূপে মিশতে পার যার ফলে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে

নাইট্রেট সম্পাদনা

জৈব রাসায়নিক উপাদান সম্পাদনা

ধাতব পদার্থ সম্পাদনা

ঔষধ দ্রব্যাদি সম্পাদনা

অন্যান্য সম্পাদনা

কারণসমূহ সম্পাদনা

সার এবং কীটনাশক সম্পাদনা

অন্যান্য সম্পাদনা

কৌশল সম্পাদনা

প্রতিরোধ সম্পাদনা

আইন সম্পাদনা

যুক্তরাষ্ট্র সম্পাদনা

ব্যবস্থাপনা সম্পাদনা

ভূগর্ভস্থ পানি প্রতিকার সম্পাদনা

সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পাদনা

উদাহরণ সম্পাদনা

হিনক্লে, ইউএস সম্পাদনা

ক্যালিফোর্নিয়ার হিনক্লে শহরের ভুগর্ভস্থ পানি ১৯৫২ সাল থেকে ষড়যোজী ক্রোমিয়াম দ্বারা দূষিত হওয়া শুরু হয়। এর জন্য প্যাসিফিক গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিক কোম্পানি (পিজিঅ্যান্ডই) এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং ১৯৯৬ সালে কয়েক মিলিয়ন ডলারের মধ্যস্থতা হয়। এই আইনি মামলাটি ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এরিন ব্রোকোভিচ সিনেমায় দেখানো হয়েছে।

ওয়াকার্টন, কানাডা সম্পাদনা

লুসাকা, জাম্বিয়া সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. World Health Organization (WHO) (২০০৬)। "Section 1:Managing the Quality of Drinking-water Sources" (পিডিএফ)Protecting Groundwater for Health: Managing the Quality of Drinking-water। IWA Publishing for WHO। 
  2. Ravenscroft, P (২০০৭)। "Predicting the global extent of arsenic pollution of groundwater and its potential impact on human health" (পিডিএফ)। UNICEF। ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯ 
  3. Spring - managing groundwater sustainably (পিডিএফ)। IUCN। ২০১৬। আইএসবিএন 978-2-8317-1789-0 
  4. Trends in groundwater pollution: Loss of groundwater quality & related services - Groundwater Governance (পিডিএফ)। Global Environmental Facility (GEF)। ২০১৩। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯ 
  5. Fawell, J; Bailey, K (২০০৬)। Fluoride in drinking-water (পিডিএফ)। IWA for WHO। আইএসবিএন 978-9241563192