ভুবন মাঝি
ভুবন মাঝি ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত নাট্য-চলচ্চিত্র। ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করছেন ফাখরুল আরেফিন খান। এটি তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের অপর্ণা ঘোষ। ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৩ সালের কিছু সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ছবির গল্প সাজানো হয়েছে।[১]
ভুবন মাঝি | |
---|---|
পরিচালক | ফাখরুল আরেফিন খান |
রচয়িতা | ফাখরুল আরেফিন খান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য |
চিত্রগ্রাহক | রানা দাশগুপ্ত |
সম্পাদক |
|
মুক্তি | ৩ মার্চ ২০১৭ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
২০১৭ সালের ১ মার্চ ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়[২] এবং ৩ মার্চ সারা বাংলাদেশে ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৩][৪]
কাহিনি সংক্ষেপ
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি একজন সাধারণ সংগ্রামী মানুষের জীবনে বিদ্রোহী হয়ে ওঠার গল্প। গল্পের শুরু ১৯৭০ সাল, শেষ ২০১৩। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের অল্প কিছুদিন পূর্বে নহির গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া শহরে ডিগ্রি পড়তে আসে। দেশজুড়ে নির্বাচন আর স্বাধীনতার আন্দোলন তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনি। বরং চাচাত বোনের বান্ধবী ফরিদা বেগম আর থিয়েটার ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের জন্মের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় সে। ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ইতিহাস ও প্রেম, বিদ্রোহ ও সংস্কৃতি এসব নিয়ে গড়ে উঠেছে ভুবন মাঝির গল্প।
১৯৭০ সাল। নহির গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসে ডিগ্রি(গ্রাজুয়েশন) পড়তে। কুষ্টিয়া শহরে তার চাচার বাড়িতে পৌছে চাচাত বোনের বান্ধবী ফরিদার সাথে দেখা হয়। তাদের মধ্যে থিয়েটারের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়। কুষ্টিয়া শহরের বইয়ের দোকান থেকে এক কপি সঞ্চিতা এক টাকা চার আনায় কেনে নহির। রেললাইনের ওপর ফরিদা ও নহিরের মধ্যে দেশের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়। ফরিদা নহিরকে বীরের মতো লড়াই করার পরামর্শ দেয়। আরও বলে, রবি ঠাকুরের গান বন্ধ করে দেবে পশ্চিমা শাসকরা, যদি এই নির্বাচনে আমরা(বাঙালি) হেরে যাই। ১৯৭০ সালের নির্বাচন প্রচার উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ফরিদা নহিরকে সভায় যাওয়ার কথা বললে নহির যেতে অস্বীকার করে। যেখানে লোকের সমাগম বেশি সেখানে নহিরের মোটেই ভালো লাগে না।
১৯৭১ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি ফরিদার দাদা হাসান ভাইকে পুলিশরা গ্রেফতার করে। কয়েকদিন পর ফরিদা নহিরের চিঠি পায়। তা থেকে ফরিদা জানতে পারে যে, শেষ পর্যন্ত তার(ফরিদা) কথাই সত্যি হলো। ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন বন্ধ করায় এটাই প্রমাণ হয় যে ওরা(পশ্চিম পাকিস্তান) আর আমরা(পূর্ব পাকিস্তান/বাংলাদেশ) সত্যিই আলাদা। ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন ও স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠ করা হয়। তেমনি নহির, মিজান ও অন্যান্যরা স্কুল মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এই প্রথম নহিরের মনে হয় যে, রাজনীতিতে শুধু অস্থিরতা নেই, একটা আনন্দও আছে। এই প্রথম নহিরের মনে হলো,"বাংলা আমার দেশ, এই পতাকা আমার। যেমন তুমি(ফরিদা)। জয় বাংলা"।
৬ই মার্চ গভীর রাতে নহির বাড়ি ফেরে। চাচাত বোন ইয়াসমিন নহিরের জন্য ভাত ও ডাল-তরকারি পরিবেশন করে। হঠাৎ দাঙ্গা ও গুলির শব্দ শুনে ছাদে যায় নহির ও ইয়াসমিন। "কী হচ্ছে" এই কথা ইয়াসমিন জিজ্ঞাসা করতেই নহির বলে "দাঙ্গা"। ৯ই মার্চ ফরিদাকে নহির চিঠিতে জানায় যে, ৬ই মার্চের দাঙ্গায় সে(নহির) বিশাল ভয় পায়। কাশেম চাচা সকলকে আত্মহত্যা করতে বলে। ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে না পারলেও এবার সে ভাষণ শুনতে পায়। গতকাল আকাশবাণীতে যা প্রচার করলো, তা সে কোনোদিনও ভুলবে না। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নহির ও মিজানকে ভিজিল্যান্সের দায়িত্ব দেয়।
২৫শে মার্চ সকালে নহির ও মিজান মোটরবাইকে করে কুষ্টিয়া শহরে যাচ্ছিল। পথে তিনজন লোকের কাছ থেকে জানতে পারে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে কুষ্টিয়া শহরের দিকে যাচ্ছে। ওরা ঝিনাইদহ থানায় যায়। বাঙালি ইপিআর(ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) এসডিপি মাহবুব সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুত হতে বলেন। পুরো শহর ব্লাকআউট করে মহাসড়কে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
রাতের বেলা পাক আর্মি আসলে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনামাফিক লুকিয়ে পড়ে। কুষ্টিয়া শহরে এসে গোলাগুলি শুরু করলে নহিরের চাচা,চাচী,ইয়াসমিন সহ সকলেই ভয়ে আতঙ্কিত হতে থাকে।
২৮শে মার্চ সকালে রেল স্টেশনে চা খেয়ে নহির, মিজান, মাহবুব ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার ইপিআর দপ্তরে যায়। মেজর ওসমান পাকিস্তানিদের গ্রেফতার করার অনুমতি কেউ দিয়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গ তাদের জিজ্ঞাসা করেন। পার্লামেন্টের শেষ নির্বাচিত সদস্য ড. আসাফকে বলতে বলেন। ড. আসাফ, তৌফিক ও মাহবুবকে বিদ্রোহের নির্দেশের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এ প্রশ্নে নহির বলে, নির্দেশ ঢাকা থেকে দেওয়া আছে। এরপর নহির টেপ রেকর্ডার বের করে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শোনায়। বাইরে সকল মুক্তিযোদ্ধারা 'জয় বাংলা' স্লোগান দিতে থাকে। মেজর ওসমান তাৎপর্য বুঝতে পেরে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে এবং সম্মান জানায়। সেখান থেকেই অজব এবং মাহবুবকে কুষ্টিয়া অপারেশন করার নির্দেশ দেন মেজর ওসমান।
রাতের বেলা অপারেশন হয়। ইপিআর সেনারা রাইফেল ও মুক্তিযোদ্ধারা বাঁশ দিয়ে যুদ্ধ করে। পাকিস্তানি সেনাদের ভারী অস্ত্রের কারণে ইপিআর এগোতে পারছিল না। শেষে এক তরুণ যুবক ইপিআরের কাছ থেকে গ্রেনেড নিয়ে স্কুল ভবনের দোতলায় যায়। দোতলায় ওঠার সাথে সাথে এক পাক সেনা টের পেয়ে ওর দিকে তাক করে। কিন্তু তার আগেই যুবক হাত থেকে গ্রনেড ফেলে দেয়। যার ফলে পাক সেনারা সহ যুবক শহীদ হয়। পরে নহির ও মিজান যুবককে উদ্ধার করতে আসে। যুবকটি অস্ফুট স্বরে, "মা, মাগো। আমাকে বাঁচাও" বলে মৃত্যুবরণ করে। নহির যুবকের লাশ স্কুল ভবনের বাইরে মাটি রেখে দেয়।
অপারেশন শেষে নহির বাসায় ফিরছিল। পথে মনির সাথে দেখা হয়। মনি রাইফেল পিঠে ঝুলিয়ে সাইকেল করে যাচ্ছিল। নহির "কোথায় যাস?" জিজ্ঞাসা করতেই মনি বলে "জিলা স্কুল মাঠে"। নহিরের শার্টে রক্ত দেখে বিচলিত মনে মনি জিজ্ঞাসা করে,"রক্ত কীসের?"। নহির বলে,"ও কিছু না"। মনি নহিরকে জানায়, নহিরের চাচারা নদী পার হয়েছে। বিচলিত মনে অপ্রত্যক্ষভাবে ফরিদাদের কথা জিজ্ঞাসা করলে মনি বলে যে, ওরা যায়নি।
বাসায় পৌছে নহির মোমবাতি জ্বালায়। টেবিলে ইয়াসমিনের চিঠি পায়। তা থেকে জানতে পারে, শেষপর্যন্ত ওরা(নহিরের চাচা,চাচী,ইয়াসমিন) বাড়ি ছেড়ে হরিপুর চলে গেছে। ও(ইয়াসমিন) জানতো সে(নহির) আসবি। তাই বাবার অগোচরে পিছনের দরজার ছিটকিনি খুলে রেখে গেছে। গতকাল রাত থেকে কারফিউ ছিল। বিকাল ৪টায় ৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ তুলে নেয়। ও(ইয়াসমিন) তার(নহির) জন্য অপেক্ষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা মনে ওর(ইয়াসমিন) জন্য তাড়াহুড়ো করলো। ফরিদার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিল। বাবা ওদেরকে প্রাগপুরে চলে যেতে বললো। কিন্তু রাজি করানো গেলো না। সে(নহির) যেন পারলে ওদের বলে। চিঠি পড়া শেষে বিষন্ন মনে শার্ট গুছিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে উঠে মিজানের ডাক পায় নহির। মিজান ওকে চারিদিকে দেখতে বলে। চশমা পরে নহির দেখে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মিজান ওকে নেমে আসতে বলে। পথে বাচ্চাদের 'জয় বাংলা' ধ্বনি শোনে ওরা। সেই ধ্বনির প্রতিধ্বনি করে মিজান। দেখতে পায় ফরিদার বাসার ছাদে ফরিদা স্বাধীন বাংলাদেশে পতাকা টানাচ্ছে। রাতে হাসান ভাইয়ের মিটিংয়ে আসে ওরা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ওরা পরিকল্পনা করে। মিটিংয়ে চা নিয়ে আসে ফরিদা। ফরিদা ওর বোনকে দিয়ে নহিরের কাছে চা ও চিঠি দেয়। চিঠি বুকপকেটে রেখে দেয় নহির।
সকালে গরাই নদীর তীর দিয়ে ভ্যানে করে যায় নহির ও ফরিদা। ফরিদা নহিরকে অস্ত্র ধরার কথা জিজ্ঞাসা করে। ইসলামিয়া কলেজ মাঠে ট্রেনিং হচ্ছে এ কথা বলতেই নহির বলে, সে(ফরিদা) তাকে মানুষ হত্যা করতে বলে। তীরে পৌছে ফরিদা বলে, কতদিন তারা এভাবে মুক্ত থাকবে। নহির বলে, ওরা মুক্ত নয়। যেকোনো সময় পাকিস্তান আর্মি কুষ্টিয়া ঢুকে পড়তে পারে। ঢাকা থেকে ডেল্টা ফোর্স রওয়ানা দিয়েছে। ফরিদা বলে, ওরা কাল নানাবাড়ি যাচ্ছে দাদাকে রেখে। পাশ দিয়ে কিছু দূরে লাশ নিয়ে যেতে দেখে নহিরের দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করে, সে ভারত যাবে না? যুদ্ধে যাবে না? এর উত্তরে নহির বলে, তার মরতে ভয় করে। যেখানে কিছু নেই, সেখানে যেতে ভালো লাগে না। কিছুক্ষণ পর ফরিদা নিজের দুই কানের দুল খুলে দাদীর দেওয়া কানের দুল নহিরকে দিয়ে বলে পরিয়ে দিতে। ওর দাদীর দেওয়া কানের দুল। ওর বিয়ের দিন পরার কথা। এরপর নহির দুটোই পরিয়ে দেয়।
সেদিন রাতে ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি বিমান কুষ্টিয়া শহরের ওপর বোমাবর্ষণ করে।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- নহির চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
- ফরিদা চরিত্রে অপর্ণা ঘোষ
- মিজান চরিত্রে মাজনুন মিজান
- এলি চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদ
- সুমিত সেনগুপ্ত
- শিপ্রা চরিত্রে সুষমা সরকার
- বড় হুজুর চরিত্রে মামুনুর রশীদ
- আসলাম রাজাকার চরিত্রে শুভাশীষ ভৌমিক
- সোহেল চরিত্রে ওয়াকিল আহাদ
- আনন্দ সাঁই চরিত্রে লালিম হক
নির্মাণ
সম্পাদনাভুবন মাঝি চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সরকার এর অনুদান লাভ করার পর ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মহরত হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ছায়াছবিটির চিত্রগ্রহণ শুরু হয়।[৫]
সঙ্গীত
সম্পাদনাভুবন মাঝি চলচ্চিত্রের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। এই চলচ্চিত্র দিয়ে তার সঙ্গীত পরিচালনায় অভিষেক হয়।[৬] ছবি মুক্তি পর ৭ মার্চ এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেলে ছবিটি তাকে উৎসর্গ করা হয়।[৭] ছবিটিতে ছয়টি গান রয়েছে, যার গীত রচনা করেছেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও আকাশ চক্রবর্তী। এছাড়া দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর "ধনধান্য পুষ্পভরা" গানটিও এই ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সপ্তর্ষি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শিমুল ইউসুফ, বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, বুশরা শাহরিয়ার, কোনাল, সালমা, ও সাব্বির।
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | রচয়িতা | কণ্ঠশিল্পী(রা) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "আমি তোমারই নাম গাই" | কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য | সপ্তর্ষি | ৫:১৬ |
২. | "পদ্মা নদীর নৌকা ভিড়লো" | আকাশ চক্রবর্তী | পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় | ২:৩৯ |
৩. | "ধনধান্য পুষ্পভরা" | দ্বিজেন্দ্রলাল রায় | শিমুল ইউসুফ, বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, বুশরা শাহরিয়ার, কোনাল, সালমা, সাব্বির | ৩:৪৫ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের 'ভুবন মাঝি' ছবিতে পরমব্রত"। এনটিভি অনলাইন।
- ↑ "'ভুবন মাঝি'র বিশেষ প্রদর্শনী"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ আনিসুর (২ মার্চ ২০১৭)। "শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে দুই ছবি 'ভুবন মাঝি' ও 'মিসড কল'"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "'মিসডকল' ৬৭ 'ভুবন মাঝি' ১৫!"। বাংলা ট্রিবিউন। ৩ মার্চ ২০১৭। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "শুরু হলো 'ভুবন মাঝি'"। দৈনিক প্রথম আলো।
- ↑ হক, রুদ্র (৭ মার্চ ২০১৭)। "'ভুবন মাঝি' উৎসর্গ করা হলো কালিকাপ্রসাদকে"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "কালিকাপ্রসাদকে মুক্তিযুদ্ধের ছবি 'ভুবন মাঝি' উৎসর্গ"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ৭ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে ভুবন মাঝি
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ভুবন মাঝি (ইংরেজি)