ভিক্টর আলেক্সান্ডার ব্রুস, ৯ম আর্ল অব এলগিন, ১৩শ আর্ল অব কিনকার্ডাইন, KG, GCSI, GCIE, পিসি (১৬ মে ১৮৪৯ – ১৮ জানুয়ারি ১৯১৭), ১৮৬৩ সাল পর্য়ন্ত লর্ড ব্রুস হিসাবে পরিচিত, একজন ডান পন্থী ব্রিটিশ উদারপন্থী রাজনীতিক। ১৮৯৪ থেকে ১৮৯৯ পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০২-০৩ সালে তিনি আর্থার বেলফোর কর্তৃক বোয়ের যুদ্ধের তদন্তকারী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এলগিন কমিশন হল এধরনের প্রথম কমিশন যারা দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করে সরেজমিনে সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে মৌখিক প্রমাণ সংগ্রহ করেন। এই প্রয়াশ ছিল যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের জীবনের মূল্য বিবেচনায় তাদের আত্মীয় স্বজনের শোকের অনুভূতিকে সম্মান দিয়ে পরিচালিত প্রথম কোন সরকারী কার্য়ক্রম। সেসময় প্রথমবারের মতো যুদ্ধে নিহত সৈনিক ও অফিসারদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।[১]

আর্ল অব এলগিন
সেক্রেটারি অব স্টেট ফর দ্যা কলোনিজ
কাজের মেয়াদ
১০ ডিসেম্বর ১৯০৫ – ১২ এপ্রিল ১৯০৮
সার্বভৌম শাসকরাজা সপ্তম এডওয়ার্ড
প্রধানমন্ত্রীHenry Campbell-Bannerman
পূর্বসূরীAlfred Lyttelton
উত্তরসূরীরবার্ট ক্রিউই
ভারতের গভর্ণর-জেনারেল
কাজের মেয়াদ
১১ অক্টোবর ১৮৯৪ – ৬ জানুয়ারি ১৮৯৯
সার্বভৌম শাসকরাণী ভিক্টোরিয়া
পূর্বসূরীThe Marquess of Lansdowne
উত্তরসূরীThe Lord Curzon of Kedleston
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৬ মে ১৮৪৯
মন্ট্রিল, পূর্ব কানাডা,
কানাডা প্রদেশ
মৃত্যু১৮ জানুয়ারি ১৯১৭(1917-01-18) (বয়স ৬৭)
Dunfermline, Fife,
United Kingdom
জাতীয়তাব্রিটিশ
রাজনৈতিক দললিবারেল পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গী(1) Lady Constance Mary
(2) Gertrud Lilian Ashley Sherbrooke; died 1971)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীব্যালিয়ল কলেজ, অক্সফোর্ড

পটভূমি ও শিক্ষা সম্পাদনা

এলগিন কানাডার মন্ট্রিলে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জেমন ব্রুস, ৮ম আর্ল অব এলগিন, কানাডার গভর্ণর-জেনারেল। তিনি গ্লেনালমন্ড কলেজ, অক্সফোর্ডে অধ্যায়ন করেন।[১]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

এলগিন ব্রিটিশ লিবারেল পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৮৮৬ সালে তিনি পার্টির ট্রেজারার অব হাউজ হোল্ড এবং ফার্ষ্ট কমিশনার অব ওয়ার্কস হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভারতের ভাইসরয় সম্পাদনা

 
লর্ড এলগিন

১৮৯৪ সালে পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে তিনি ভারতবর্ষের ভাইসরয় নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার শাসনামলে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিলনা। লর্ড এলগিন ভাইসরয় পদের আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ করতেন না। তার রক্ষনশীল প্রবণতা সেসময়কার ভারতের আর্থ সামাজিক অস্থিরতার উপযোগি ছিল না। তার সময়ে ভারতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। দুর্ভিক্ষে ৪৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়।[২]

এলগিন কমিশন সম্পাদনা

লর্ড এলগিন ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করেন। তাকে অর্ডার অব দ্যা গার্টার প্রদান করা হয়। ১৯০২ থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয় বোয়ের যুদ্ধের তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২৬ মার্চ ১৯০২ সালে তাকে ১ম ফিফেশায়ার ভলান্টেয়ারি আর্টিলারি কোরের সম্মানসূচক কর্ণেল হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।[৩]

এলগিন কমিশন ১৯০৩ সালের বসন্তে অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে আলোচনায় বসে। বোয়ার যুদ্ধের সময় অনেক অশ্বারোহী বাহিনী তৈরী করা হয়। পদাতিক বাহিনীর সৈনিকদের অশ্বারোহী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়।

সম্মাননা সম্পাদনা

১৮৯৪ সালে ভারতের ভাইসরয় হিসাবে নিয়োগ পাবার সময় তাকে নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার অব দ্যা স্টার অব ইন্ডিয়া (জিসিএসআই) এবং নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার অব দ্যা অর্ডার অব দ্যা ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (জিসিআইই) হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৮৯৯ সালে ভারত থেকে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তনের পর তাকে অর্ডার অব দ্যা গার্টার (কেজি) প্রদান করা হয়।

মৃত্যু সম্পাদনা

লন্ড এলগিন ১৯১৭ সালে ডানফার্মলাইনের তার ব্যক্তিগত স্টেটে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ষাটষট্টি বছর। তার মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র এডওয়ার্ড তার সকল পদবীর উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Victor Bruce, 9th Earl of Elgin"Encyclopedia Britannica 
  2. Davis, Mike. Late Victorian Holocausts; 1. Verso, 2000. আইএসবিএন ১-৮৫৯৮৪-৭৩৯-০ pg. 158
  3. "নং. 27419"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 2081। ২৫ মার্চ ১৯০২। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা