ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান ছিল বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বেস ক্যাম্প যেখান থেকে তারা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে।[১][২][৩]
ভারত-বাংলা মুক্তি মৈত্রী পার্ক | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
ধরন | বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চোত্তাখোলায় নির্মিত উদ্যান |
অবস্থান | চোত্তাখোলা, ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৩°০৭′২.৯″ উত্তর ৯১°২২′৩৭.২″ পূর্ব / ২৩.১১৭৪৭২° উত্তর ৯১.৩৭৭০০০° পূর্ব |
খোলা হয় | ১১ নভেম্বর ২০১০ |
অবস্থা | সম্পূর্ণ |





অবস্থান
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক সীমান্তের নিকট অবস্থিত মৈত্রী উদ্যান হল চোত্তাখোলায় নির্মিত একটি উদ্যান যা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন উৎসর্গকারী বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। একটি যুদ্ধ জাদুঘর, টিলা, সবুজ উপত্যকা, হ্রদ, গাছপালা, ভাস্কর্য, বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান এবং অন্যান্য উপাদান সম্বলিত এটি কেবল একটি উদ্যান নয় এর চেয়েও অনেক বেশি।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনামুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকায় স্মৃতি উদ্যানটি ত্রিপুরাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত দাবি ছিল। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে ও প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়, যা রাজ্যের তৎকালীন জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। চোত্তাখোলা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে যা ১৯৭১ সালে ত্রিপুরার ১১টি যুদ্ধ ক্যাম্পের অন্যতম হিসাবে কাজ করেছিল। সুন্দর এই অবস্থানটি ২০ হেক্টর জমির উপর একটি প্রাকৃতিক হ্রদ দ্বারা আংশিকভাবে পৃথক করা সাতটি টিলা নিয়ে গঠিত। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় তীব্র তৎপরতার স্বাক্ষী ও এখনও ১৯৭১ সালে এটির উপর নির্মিত বেশ কয়েকটি বাঙ্কার ও পরিখার ধ্বংসাবশেষের আকারে এর স্মারক বহন করে।[৫][৬]
উদ্বোধন
সম্পাদনাত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতীয় ও বাংলাদেশী শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে স্মৃতিসৌধ ও পার্কের উদ্বোধন করেন। ১১ নভেম্বর ২০১০ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি উদ্যানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভাষ্কর্য
সম্পাদনা- প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী
- বাংলাদেশের জাতির জনক - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- বিজয় ১৯৭১
- গণহত্যা ১৯৭১
- টেরাকোটা
শিল্পী ও ভাস্কর
সম্পাদনাত্রিপুরা ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা তাদের সৃষ্টি - মূর্তি থেকে চিত্রকল্প এই প্রকল্পের অংশ যা স্মৃতিসৌধের আকর্ষণে যোগ করেছে।
বাংলাদেশী শিল্পী ও ভাস্কর
সম্পাদনাতারা পার্কের জন্য ভাস্কর্য তৈরি করে।
স্মারক উদ্যানটি বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে তাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস ও কীভাবে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশকে স্বাধীনতা আনতে বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল তা শিখতে সাহায্য করবে।[১০][১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Indo-Bangladesh Friendship Park to be opened in Tripura on Vijay Diwas"। UNI।
- ↑ "Renowned artists from Tripura and Bangladesh join hands to build a war memorial"। www.theweekendleader.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "Chottakhola Maitree Udyan to be inaugurated on Bangladesh Victory Day"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৭-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "Bangladesh PM likely to iugurate memorial park in Tripura - Sentinelassam"। www.sentinelassam.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "চোত্তাখোলা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান বন্ধুত্বের নতুন ঠিকানা"। Janakantha। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "A memorial to celebrate the Bangladesh Liberation War"। Free Press Journal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "ত্রিপুরার চোত্তাখোলা উদ্যান আমাদের যুদ্ধকালের ঠিকানা"। Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান একটি মহৎ উদ্যোগ"। Amar Sangbad। ২০১৬-০৪-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ রায়চৌধুরী, বাপি। "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে সাজছে চোত্তাখোলা"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন ত্রিপুরা"। Jago News 24। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।
- ↑ "Quader, Shringla visit Feni bridge"। The Independent। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭।