ভারতে সংরক্ষিত রাজনৈতিক পদ

ভারতের কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পদ তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে মহিলা সহ জনসংখ্যার নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত।

সংসদীয়রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই কয়েকটি সংরক্ষিত কেন্দ্র রয়েছে। তফসিলি জাতি (ত.জা.) ও তফসিলি উপজাতি (ত.উ.) হল সেই সব বর্ণউপজাতি যেগুলিকে সরকার প্রকাশিত তফসিলে সেগুলির অনগ্রসর অবস্থা ইঙ্গিত করার জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কোনও কেন্দ্র থেকে ত.জা. ও ত.উ. প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে সেই কেন্দ্রের ত.জা. ও ত.জা. সম্প্রদায়-বহির্ভূত ভোটদাতা সহ সকল ভোটারেরই তাঁদের ভোট দেওয়ার অধিকার থাকে। ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ ত.জা./ত.উ. সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সংসদে সম অনুপাতে এই দুই শ্রেণির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সাধারণ জনসংখ্যা ও ত.জা./ত.উ. জনসংখ্যার শতাংশের অনুপাতের উপর। স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে (যেমন পুরভোট ইত্যাদি) ত.জা./ত.উ. সম্প্রদায় ছাড়াও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্যও আসন সংরক্ষিত থাকে। সংরক্ষিত আসনগুলি বণ্টন করা হয় লটারি ব্যবস্থার মাধ্যমে। পৌর ও অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলি ওয়ার্ড নামে পরিচিত। এই কারণে একটি নির্বাচিত সংস্থায় নির্বাচিত আসনের সমসংখ্যক ওয়ার্ড বা কেন্দ্র থাকে। সংরক্ষিত আসনগুলি হল সেই সব কেন্দ্র যেগুলির আসন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের জনসংখ্যার হিসেব অনুযায়ী তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।

ব্রিটিশ শাসনকালে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী বলতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনই বোঝাতো না, বরং সংরক্ষিত আসনের ভোটাধিকার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোটদাতাদেরই ছিল। উদাহরণস্বরূপ, মুসলমান প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলিতে শুধুমাত্র মুসলমান ভোটদাতারাই ভোট দিতেন।

সংজ্ঞা সম্পাদনা

একটি নির্বাচকমণ্ডলী হল ভোটদাতাদের একটি গোষ্ঠী, যা একটি নির্দিষ্ট দেশে বা এলাকায় অথবা একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের জন্য সরকারিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন ভোটদাতাদের দ্বারা গঠিত হয়। একটি যৌথ নির্বাচকমণ্ডলী হল সেটিই যেখানে একটি দেশের বা অঞ্চলের সমগ্র ভোটদানকারী জনসংখ্যা হল একটি একক নির্বাচকমণ্ডলীর অংশ এবং সমগ্র নির্বাচকমণ্ডলী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের ভোট দিয়ে থাকে।

পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর ক্ষেত্রে একটি দেশের বা অঞ্চলের সমগ্র ভোটদানকারী জনসংখ্যা দু'টি নির্বাচকমণ্ডলীতে বিভক্ত থাকে। এই বিভাজন করা হয় ধর্ম, বর্ণব্যবস্থা, লিঙ্গপেশার ভিত্তিতে। এখানে প্রত্যেক নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরা শুধুমাত্র নিজ নিজ নির্বাচকমণ্ডলীর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই ভোট দেন। সাধারণত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর দাবি জানান; তাঁরা অন্য উপায়ে সরকারে ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব অর্জন কঠিন মনে করেন। উদাহরণস্বরূপ, মুসলমানদের জন্য এক পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর অর্থ এই যে মুসলমানেরা তাঁদের জন্য পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁদের পৃথক নেতা নির্বাচন করবেন।[১] ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দেয়। সংবিধান-রচয়িতারা অবশ্য এই ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন যে, মুক্ত নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীগুলিকে জাতীয় ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিবারিত করবে।

ব্রিটিশ শাসনকালে সম্পাদনা

১৯০৬ সালে মুসলমানেরা হিন্দুদের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারে ক্ষমতার ন্যায্য ভাগাভাগির দাবিতে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর দাবি তোলেন। ব্রিটিশ সরকারও ১৯১৯ সালের ভারত সরকার আইনে মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী প্রদান করে। ফলত বাংলা আইনসভায় মোট ২৫০টি আসনের মধ্যে ১১৭টি মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত হয়। অনুরূপভাবে সম্প্রসারিত পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলায় শুধুমাত্র মুসলমানেরা ১১৭টি আসনে ভোট দিয়েছিলেন।

১৯৩০-৩২ সালে গোলটেবিল বৈঠকে বি. আর. আম্বেডকর অস্পৃশ্যদের (বর্তমানে ত.জা.) জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর ধারণাটি উত্থাপন করেন, যাতে সরকারে সংখ্যালঘু ত.জা. সম্প্রদায়ের যথেষ্ট-সংখ্যক প্রতিনিধি নিশ্চিত করা যায়। মহাত্মা গান্ধী এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি মনে করেছিলেন যে এতে হিন্দু সমাজের মধ্যে অনৈক্য বৃদ্ধি পাবে। ত.জা. সম্প্রদায়কে যদি পৃথিক নির্বাচকমণ্ডলী দেওয়া হয়, তাহলে নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলি তাদের প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হবে এবং সেখানকার ত.জা. সম্প্রদায়ের ভোটদাতারাই শুধু সেখানে ভোট দেবে। এর ফলে অন্যান্য হিন্দুদের নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে দূরে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ঘটনাক্রমে আম্বেডকর ও গান্ধীর মধ্যে পুনা চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি বলে দুই পক্ষই মেনে নেয় যে, নির্দিষ্ট কিছু আসন ত.জা. সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং প্রতি কেন্দ্রে ত.জা. সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেরা চার জন করে প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন। এই প্রার্থীরা যৌথ নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা নির্বাচনের প্রার্থী হবেন।

নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা সম্পাদনা

অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্পাদনা

অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ই ভারতের একমাত্র সম্প্রদায় যাদের ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় মনোনীত প্রতিনিধি রয়েছে। অল ইন্ডিয়া অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম ও দীর্ঘকালীন সভাপতি ফ্র্যাংক অ্যান্টনি জওহরলাল নেহেরুর থেকে এই অধিকার অর্জন করেছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সদস্যদের লোকসভায় মনোনীত করতেন। চোদ্দটি রাজ্য (অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডপশ্চিমবঙ্গ) সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভা বা বিধান পরিষদে একজন করে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সদস্য মনোনীত করতে পারেন।[২]

ভারতীয় সংবিধানের ৩৩৪ নং ধারায় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা স্বীকৃত হয়েছিল। প্রথমে স্থির হয়েছিল এই ব্যবস্থা ২০ বছর পর বিলুপ্ত হবে। কিন্তু একাধিকবার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়: ৫ম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত, ২৩শ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত, ৪৫শ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত, ৬২শ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ২০০৬ সাল পর্যন্ত, ৭৯শ সংশোধনীর মাধ্যমে ২০১০ সাল পর্যন্ত এবং ৯৫শ সংশোধনীর মাধ্যমে ২০২০ সাল পর্যন্ত।[৩] ২০১৯ সালের ১০৪তম সংবিধান সংশোধন আইন বলে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সংসদ ও রাজ্য আইনসভাগুলিতে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি অবলুপ্ত হয়।[৪][৫] বিলটি লোকসভায় উত্থাপনকারী কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন যে, ২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের সংখ্যা মাত্র ২৯৬। অবশ্য এই সংখ্যাটি বিতর্কিত।[৬] অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের প্রকৃত জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তা ১৫০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। আবার কোনও কোনও সূত্রের মতে, এই সংখ্যা ৭৫,০০০ থেকে ১০০,০০০-এর মধ্যে।[৭][৮]

তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সম্পাদনা

ভারতীয় সংসদ, রাজ্য বিধানসভা, পৌরগ্রামীণ স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থাগুলিতে তফসিলি জাতি (ত.জা.) ও তফসিলি উপজাতি (ত.উ.) সম্প্রদায়ভুক্ত প্রার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি আসন সংরক্ষিত থাকে। তবে এই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট আসনের সকল ভোটারই ভোট দেন, কোনও পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী নয়। তবে ত.জা./ত.উ. সম্প্রদায়ভুক্ত প্রার্থীদের অসংরক্ষিত আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও কোনও বাধা নেই। ১৯৫০ সালে ভারতীয় সংবিধানে এই ব্যবস্থাটি প্রথম দশ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল দুর্বল, প্রান্তিক, কম-প্রতিনিধি বিশিষ্ট এবং বিশেষ সুরক্ষার প্রত্যাশী গোষ্ঠীগুলির রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে। ১০৪তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা ২০৩০ সাল অবধি সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আরও সম্প্রসারিত করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।[৯]

সামগ্রিক জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে ত.জা. জনসংখ্যার সম্পর্ক ১৯৭১ সালের জনগণনায় ছিল ১৪.৬ শতাংশ, সেখান থেকে বেড়ে ২০০১ সালের জনগণনায় হয় ১৬.২ শতাংশ। অনুরূপভাবে ত.উ. জনসংখ্যা ১৯৭১ সালে ৬.৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০১ সালে হয় ৮.২ শতাংশ। ২০০৮ সালে ত.জা. ও ত.উ. জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশন লোকসভায় তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সঙ্গে ৭৯ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ এবং তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সঙ্গে ৪১ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ করা হয়।

অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সম্পাদনা

মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ ক্রমে, গ্রামীণ ও পৌর স্বায়ত্ত্বশাসন সংস্থাগুলিতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (অ.অ.শ্রে.) প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সামগ্রিক অ.অ.শ্রে জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয়।

মহিলা সম্পাদনা

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদপৌর প্রশাসনে এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভা পর্যন্ত প্রসারিত করার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।

২০০৮ সালে প্রস্তাবিত মহিলা সংরক্ষণ বিলে লোকসভা ও সকল রাজ্য বিধানসভার ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ৯ মার্চ বিলটি রাজ্যসভায় পাস হয়।[১০] লোকসভায় বিলটি নিয়ে কখনও ভোটাভুটি হয়নি।[১১]

১৯৫৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত ৮৯ সদস্যের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২টি আসন মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।

সিক্কিমে সংঘ ও ভুটিয়া-লেপচা আসন সম্পাদনা

১৯৭৫ সালে সিক্কিম ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। ৩২ সদস্যের সিক্কিম বিধানসভায় একটি আসন বৌদ্ধ সংঘ-সদস্যদের জন্য জন্য সংরক্ষিত থাকে। কেবলমাত্র ১১১টি নথিবদ্ধ বৌদ্ধ মঠের ভিক্ষু ও ভিক্ষুণিরাই এই আসনে প্রার্থী হতে বা ভোটদান করতে পারেন।[১২][১৩] এছাড়া সিক্কিম বিধানসভার ১২টি আসন ভুটিয়া-লেপচা জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত।[১৪]

অন্যান্য সংরক্ষিত আসন সম্পাদনা

নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসন ছাড়াও কয়েকটি আসন সরকারের অন্যান্য শাখা কর্তৃক মনোনীত হয়।

পুদুচেরি বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকার-মনোনীত সদস্য সম্পাদনা

৩৩ সদস্য-বিশিষ্ট পুদুচেরি বিধানসভায় ৩ জন সদস্যকে কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত করে।[১৫]

রাজ্য বিধান পরিষদে রাজ্যপাল-মনোনীত সদস্য সম্পাদনা

অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানাউত্তরপ্রদেশ - এই ছয় রাজ্যের রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদের এক-ষষ্ঠাংশ সদস্যকে রাজ্যপাল মনোনীত করতে পারেন। এই সদস্যেরা হলেন শিল্পকলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সমাজসেবামূলক কাজকর্মে জড়িত বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।

রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি-মনোনীত সদস্য সম্পাদনা

রাজ্যসভায় ১২ জন সদস্যকে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে পারেন। এই বারোজন সদস্যেরা হলেন শিল্পকলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সমাজসেবামূলক কাজকর্মে জড়িত বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।[১৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. pakistan studies by dr. M. Azam Chaudhary
  2. Abantika Ghosh, Pradeep Kaushal। "Explained:Anglo-Indian quota,its history,MPs Constitution Amendment passed by Parliament effectively does away with reservation for Anglo-Indian members in LokSabha,Assemblies"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০ 
  3. "Centre notifies constitutional amendment doing away with a quota for Anglo Indian"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০ 
  4. "Anglo Indian Representation To Lok Sabha, State Assemblies Done Away; SC-ST Reservation Extended For 10 Years: Constitution (104th Amendment) Act To Come Into Force On 25th Jan"www.livelaw.in। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২০ 
  5. "Anglo Indian Members of Parliament (MPs) of India - Powers, Salary, Eligibility, Term"www.elections.in। ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২২ 
  6. Kaul, Sumeet। "Who are the Anglo-Indians and why do they have a quota in Lok Sabha and some state legislatures?"। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২০ 
  7. https://www.onmanorama.com/news/kerala/2019/12/13/kerala-anglo-indian-community-ernakulam-kollam-kannur টেমপ্লেট:Bare URL inline
  8. "Anglo-Indians yearn for the magical past"। ১৭ ডিসেম্বর ২০১১। 
  9. NETWORK, LIVELAW NEWS। "Anglo Indian Representation To Lok Sabha, State Assemblies Done Away; SC-ST Reservation Extended For 10 Years: Constitution (104th Amendment) Act To Come Into Force On 25th Jan"Live Law (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৭ 
  10. "Rajya Sabha passes Women's Reservation Bill"The Times of India। ৯ মার্চ ২০১০। ১১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০ 
  11. "Lok Sabha Speaker Meira Kumar calls for women's empowerment"The Times of India। ৯ মার্চ ২০১৩। ৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০ 
  12. "32-Sangha Assembly Constituency - One of its kind in the country"ceosikkim.nic.in। ২০১৯-০৮-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২১ 
  13. Joydeep Sen Gupta। "Sikkim's Sangha Assembly seat is a perfect example of the state's unique political process to protect minority rights"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০ 
  14. "Sikkim - Delimitation"Election Commission of India। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২১ 
  15. Tripathi, Ashish (৬ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Centre can nominate 3 MLAs to Puducherry Assembly: SC"। Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২০ 
  16. Tanna, Kartikeya (১৯ মার্চ ২০২০)। "Justice Gogoi is best placed to be a non-partisan conduit between legislature, judiciary"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০