ভারতে বাংলাদেশ-বিরোধী অপপ্রচার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ঘটে, এরপর ভারতের গণমাধ্যম ও ভারত-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করতে শুরু করে।[১][২] অপপ্রচারের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বা অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন, এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের পটভূমি বা কার্যকলাপকে অবমূল্যায়ন করা।[৩][৪][৫] সংবেদনশীল গণমাধ্যম, বিশেষত ভারতের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সংবাদ মাধ্যমগুলো অভ্যুত্থানটিকে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান (তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে) এবং চীন দ্বারা কথিত পরিকল্পিত ইসলামপন্থী সমর্থিত সামরিক অভ্যুত্থান হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল।[৬][৭]
পটভূমি
সম্পাদনা২০২৪ সালের ৫ আগস্টের কার্যকর গণ–অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তিনি ভারতে নির্বাসনে যান। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বহুবার অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষতির বিনিময়ে ভারতের স্বার্থে কাজ করেছেন। হাসিনার বিদায়ের পরপরই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে।[৮][৯][১০]
অপতথ্য
সম্পাদনাহিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা
সম্পাদনাশেখ হাসিনার বিদায়ের পর, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বরাত দিয়ে মিথ্যা দাবি করে যে, এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশী হিন্দু ভারতে আশ্রয়ের জন্য পালাচ্ছে, এবং বাংলাদেশকে "ইসলামী রাষ্ট্র" হিসেবে পরিণত হওয়ার অভিযোগ তোলে।[১]
একটি মিথ্যা প্রতিবেদনে দাবি করা হয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, যা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়।[১১][১২] লিটন দাস নিজেই একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই দাবি অস্বীকার করেন।[১৩] বিভিন্ন টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেল মিথ্যা শিরোনাম ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতাকে "গণহত্যাযজ্ঞ" হিসেবে দাবি করে; এছাড়াও আওয়ামী লীগের একটি অফিসে ঘটা অগ্নিসংযোগকে নিকটস্থ হিন্দু মন্দিরে কথিত অগ্নিসংযোগের ঘটনা হিসেবে দাবি করে।[১৪]
অসংখ্য ভারত-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট #AllEyesOnBangladeshiHindus ও #SaveBangladeshiHindus নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বাংলাদেশী হিন্দুদের ওপর হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও ও ছবি প্রচার করে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি তথ্য-যাচাইকারী সংস্থা এই দাবিগুলোকে ভুয়া প্রমাণিত করে।[২]
অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে প্রতিবেদন
সম্পাদনা২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদপত্র দি ইকোনমিক টাইমস–এর সম্পাদক দীপঞ্জন রায় চৌধুরী একটি মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যাতে বলা হয় ইউনূস সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য ছিলেন।[১৫] পরবর্তীতে আলম তার যাচাইকৃত ফেসবুক পাতায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, তিনি কখনোই উক্ত সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না এবং সবসময় তাদের মতাদর্শের বিরোধী। তিনি প্রতিবেদনটিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের "উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার" হিসেবে চিহ্নিত করেন।[১৬]
রিপাবলিক বাংলা ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে, যেখানে সংবাদ উপস্থাপক দাবি করেন ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃর্নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্সে পালিয়ে গেছেন। এরপর চ্যানেলটির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক অনির্বাণ সিনহা উপস্থাপকের মিথ্যা দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইউনূস দেশ ছেড়েছেন এবং এখন প্যারিসে রয়েছেন।[১৭][১৮]
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা
সম্পাদনা২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের পর ফার্স্টপোস্ট, দি ইকোনমিক টাইমস, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড ও অপইন্ডিয়া সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করে, আলিফ হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী ছিলেন, যাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।[১৯] ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো আলিফকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে মিথ্যা দাবি করে।[২০] তবে, প্রতিবেদন অনুসারে আলিফকে প্রকৃতপক্ষে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা হত্যা করেছে।[২১]
বিশ্লেষণ
সম্পাদনাবিশ্লেষক ফরিদ এরকিজিয়া বখত ও সিদ্ধার্থ বরদরাজনের মতে, ভারত শেখ হাসিনার মতো মূল্যবান মিত্র হারানোর হতাশা এবং ভারতীয় বিরোধী মনোভাব পোষণকারী দেশে নতুন সরকার সম্পর্কে শঙ্কার কারণে এই বিভ্রান্তিমূলক তথ্য-প্রচার অভিযান দ্বারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশী রাজনীতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমানের মতে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশে হাসিনা-সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানকে "তাদের ইসলামভীতির দৃষ্টিকোণ" থেকে দেখছে, তবে এটি সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় আন্দোলন ছিল।[১][২২]
বিবিসি নিউজ, ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স ২৪ ও কিছু তথ্য–যাচাইকারী ওয়েবসাইট এক্স ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গুজব চিহ্নিত করে।[২৩][২৪][২৫] বিবিসি ভেরিফাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত অতিরঞ্জিত বা প্রকৃত ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কিছু ভুয়া তথ্য চিহ্নিত করে।[২৩][২৬][২৭][২৮]
রিউমর স্ক্যানারের তদন্ত অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট থেকে অন্তত ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রচার করেছে।[২৯] তন্মধ্যে রয়েছে: হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ, লাইভ মিন্ট, রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ, আজ তক, এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, এনডিটিভি, ওয়ার্ল্ড ইস ওয়ান নিউস ইত্যাদি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে রিপাবলিক বাংলা, যা সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুয়া সংবাদ প্রচার করেছে।[২৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Mahmud, Faisal; Sarker, Saqib। "'Islamophobic, alarmist': How some India outlets covered Bangladesh crisis"। আল জাজিরা (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে ভারতে অপতথ্যের প্রচার"। দৈনিক প্রথম আলো। ১১ আগস্ট ২০২৪। ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh's New Democracy Under Threat From Flood of Misinformation"। দ্য ডিপ্লোমেট। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Misinformation over Hindus being targeted in Bangladesh fuels Islamophobia fears"। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ আগস্ট ২০২৪। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Disinformation About Attacks on Minorities Threaten Stabilization Efforts in Bangladesh"। দ্য ডিপ্লোমেট। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ Mojumdar, Aunohita (২০২৪-০৮-২৪)। "How India's majoritarian politics drive its lazy and dismissive commentary on Bangladesh"। স্ক্রল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৭।
- ↑ Bajpai, Shailaja (২০২৪-০৮-০৮)। "Indian TV news blame US, China, Pakistan for Bangladesh, call it 'Islamist takeover'"। দ্য প্রিন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১।
- ↑ "Bangladeshis launch 'India Out' campaign over alleged meddling linked to Hasina"। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "What does Sheikh Hasina's resignation mean for India-Bangladesh relations?"। আল জাজিরা (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ Ellis-Petersen, Hannah (২ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "'A myopic policy': India's backing of ousted Bangladesh leader Sheikh Hasina leaves it in a bind"। দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Did protesters set Hindu Bangladesh cricketer Liton Das' house on fire?"। ডেকান ক্রনিকল। ৭ আগস্ট ২০২৪। ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Fact check: False claims fuel ethnic tensions in Bangladesh"। টাইমস অব ওমান। ৮ আগস্ট ২০২৪। ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Litton denies rumors of attack on his home"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "The violence in Bangladesh after Hasina's ouster stirs fear within the country's Hindu minority"। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১৪ আগস্ট ২০২৪। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ Chaudhury, Dipanjan Roy (২০২৪-০৯-১১)। "Outlawed radical outfit Hizb ut Tahrir pressurises Bangladesh interim government to lift ban"। দি ইকোনমিক টাইমস। আইএসএসএন 0013-0389। ২০২৪-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৭।
- ↑ "Mahfuz forced to issue clarifications on his belief system, ideology, role in movement"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে রিপাবলিক বাংলা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "দেশেই আছেন প্রধান উপদেষ্টা, মার্কিন নির্বাচন ঘিরে তাঁকে নিয়ে ভারতের আর বাংলার গুজব"। আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Fact Check: Lawyer Killed In Bangladesh Was Not Defending Arrested Former ISKCON Priest"। এনডিটিভি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "নিহত সাইফুলকে চিন্ময় দাসের আইনজীবী দাবি করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাচার"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "ইসকন সমর্থকদের হাতে খুন আলিফ চিরনিদ্রায় শায়িত"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Pak's Spy Agency Accused Of Spreading False Anti-India Info Amid Bangladesh Unrest"। www.ndtv.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-০৮।
- ↑ ক খ "Far-right spreads false claims about Muslim attacks in Bangladesh"। বিবিসি নিউজ। ১৮ আগস্ট ২০২৪। ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ Ghaedi, Monir (৭ আগস্ট ২০২৪)। "Fact check: False claims fuel ethnic tensions in Bangladesh"। ডয়চে ভেলে। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Attacks and online misinformation frighten Bangladeshi Hindus"। ফ্রান্স ২৪। ১১ আগস্ট ২০২৪। ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Attacks on minorities: BBC, dismislab debunk fake news"। দ্য ডেইলি স্টার। ১২ আগস্ট ২০২৪। ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "BBC Verify uncovers misinformation about Hindu persecution in Bangladesh"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Old video of student rally falsely shared as Hindus protesting in Bangladesh after PM ouster"। এএফপি। ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "49 Indian media outlets spread at least 13 fake reports about Bangladesh since 12 Aug: Rumor Scanner"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১১।