ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন

ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন বা ভারতের স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন বা বিপ্লবী আন্দোলন সাধারণ ভাবে গুপ্ত সমিতি দ্বারা পরিচালিত হতো। এই বিপ্লবী আন্দোলন বাংলা, মহারাষ্ট্রপাঞ্জাবে গড়ে উঠেছিল।

ঢাকা অনুশীলন সমিতি সম্পাদনা

বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ১৯০৫ সালে ঢাকায় বিপিনচন্দ্র পালের জ্বালাময়ী বক্তৃতার পরেই ১৯০৬ সালে ঢাকা সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা 'ন্যাশনাল স্কুল' এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ৮০ জন্য হিন্দু যুবক গঠন করে 'ঢাকা অনুশীলন সমিতি'। অনুশীলন সমিতির প্রতিটি শাখা সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল, তবে অনুশীলন সমিতির সাথে ঢাকার শাখার প্রতিষ্ঠাতা পুলিনবিহারী দাসের সরাসরি সংযোগ ছিল। ভারতবর্ষের প্রখ্যাত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকারী যশোরের শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ঢাকা অনুশীলন সমিতির পরিদর্শক ছিলেন।

ধারাবাহিকতা সম্পাদনা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে সম্পাদনা

আলিপুর বোমা মামলা সম্পাদনা

 
পোর্ট ব্লেয়ারে সেলুলার জেলের একটি অংশ,
ছবিতে কেন্দ্রীয় টাওয়ার দেখা যাচ্ছে।

অরবিন্দ ঘোষসহ যুগান্তর দলের কয়েকজন নেতা কলকাতায় বোমা তৈরির কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্দী হন। কয়েকজন কর্মীকে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠানো হয়।

ডালহৌসী স্কোয়ার বোমা মামলা সম্পাদনা

২৫ আগস্ট, ১৯৩০ তারিখে অনুজাচরণ সেনদীনেশচন্দ্র মজুমদার অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট সাহেবের গাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করেন। টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু দীনেশ মজুমদার ধরা পড়েন। অনুজাচরণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। এই উপলক্ষে পুলিস বহু বাড়ি খানাতল্লাশ করে এবং বহু লোককে গ্রেপ্তার করে। এই সম্পর্কে শোভারানি দত্ত, কমলা দাশগুপ্ত, শৈলরাণী দত্ত, ডা. নারায়ণ রায়, ভূপালচন্দ্র বসু, অদ্বৈত দত্ত, অম্বিকা রায়, রসিকলাল দাস, সতীশ ভৌমিক, সুরেন্দ্র দত্ত, রোহিণী অধিকারীসহ অনেকে ধৃত হন। বিচারে নারায়ণ রায় ও ভূপাল বসু ১৫ বছরের দ্বীপান্তর, সুরেন্দ্র দত্ত ১২ বছর, রোহিণী ৫ বছর ও সতীশ ২ বৎসর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং অন্যান্য সকলে মুক্তি পান। তারা সকলেই তরুণ বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৪।