ভাঙার গান
ভাঙার গান’ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালের আগষ্ট মাসে (১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে)। ১১ নভেম্বর ১৯২৪ তারিখে তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার গ্রন্থটি বাজেয়াফত করে ও নিষিদ্ধ করে।[১] ব্রিটিশ সরকার কখনো এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেননি। "ভাঙার গান"-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায় ১৯৪৯-এ।
বিষয়বস্তু
সম্পাদনাএই কাব্যগ্রন্থে নিম্নলিখিত কবিতাগুলি ছিল।
- ভাঙার গান : কারার ঐ লৌহ-কপাট
- জাগরণী
- মিলন গান
- পূর্ণ-অভিনন্দন
- ঝোড়ো গান
- মোহান্তের মোহ-অন্তের গান
- আশু-প্রয়াণ গীতি
- ল্যাবেন্ডিশ বাহিনীর বিজাতীয় সঙ্গীত
- সুপার (জেলের) বন্দনা
- দুঃশাসনের রক্ত-পান
- শহীদী-ঈদ
"ভাঙার গান : কারার ঐ লৌহ-কপাট" সম্বন্ধে মুজ্জফর আহমদ তার "কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা" বইয়ে লিখেছেন:[২]
আমার সামনেই দাশ-পরিবারের শ্রীকুমাররঞ্জন দাশ ‘বাঙ্গালার কথা’র জন্যে একটি কবিতা চাইতে এসেছিলেন। শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী তাঁকে কবিতার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তখন জেলে। ... অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নজরুল তখনই কবিতা লেখা শুরু ক`রে দিল। সুকুমাররঞ্জন আর আমি আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে নজরুল আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তার সেই মুহূর্তে রচিত কবিতাটি আমাদের পড়ে শোনাতে লাগল। ...নজরুল ‘ভাঙার গান’ লিখেছিল ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের কোনো এক তারিখে। ‘ভাঙার গান’ ‘বাঙ্গালার কথা’য় ছাপা হয়েছিল।
গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে কবিতাগুলি আলাদা আলাদা করে প্রকাশিত হয়েছিল। নজরুল ‘ভাঙার গান’ ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে লিখেছিলন যা ‘বাঙ্গালার কথা’য় ছাপা হয়েছিল। "আশু-প্রয়াণ-গীতি" ১৩৩১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়ে বঙ্গবাণীতে ছাপা হয়। "দুঃশাসনের রক্তপান" ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১০ কার্তিক ধূমকেতুতে "দুঃশাসনের রক্ত" নামে ছাপা হয়। "শহিদী ঈদ" সাপ্তাহিক মোহাম্মদীতে ছাপা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাজেয়াপ্ত নজরুল"। প্রথম আলো। ২৫ মে ২০১৯। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "নজরুলের 'ভাঙার গান'"। banglanews24.com। ২৫ মে ২০১৩। ২১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২১।