ব্র্যাড পিট

মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক

উইলিয়াম ব্র্যাডলি "ব্র্যাড" পিট[১] (ইংরেজি: William Bradley "Brad" Pitt) (জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) একজন মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। তাকে পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় একজন ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়, আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তার পর্দার বাইরের জীবন সম্পর্কিত গণমাধ্যমের সংবাদগুলো।[২][৩] পিট দুইবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন, এবং চারবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে একবার তা জিতেছেন।

ব্র্যাড পিট
A Caucasian male in his mid-40s with brown hair. He is wearing a black suit and white shirt with a black bow-tie.
ব্র্যাড পিট - হলিউড ক্যালিফোর্নিয়া - জুলাই ২০১৯
জন্ম
উইলিয়াম ব্রাডলি পিট

(1963-12-18) ডিসেম্বর ১৮, ১৯৬৩ (বয়স ৬০)
জাতীয়তামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন
পেশাঅভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক
কর্মজীবন১৯৮৭–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীজেনিফার অ্যানিস্টন (বি. ২০০০২০০৫)
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (বি. ২০১৪২০১৬)
সঙ্গীঅ্যাঞ্জেলিনা জোলি (২০০৫–২০১৪)
সন্তান
আত্মীয়ডগলাস পিট (ভাই)

কর্মজীবন সম্পাদনা

টেলিভিশনে অতিথি উপস্থিতির মাধ্যমে পিট তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরকম একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক হচ্ছে ১৯৮৭ সালে সিবিএস থেকে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ডালাস-এ। ১৯৯১ সালে পথচলচ্চিত্র থেলমা এন্ড লুইস-এ জিনা ডেভিসের বিপরীতে একজন হিচ হাইকারের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি ভালো পরিচিত লাভ করেন। আ রিভার রান্‌স থ্রু ইট (১৯৯২) ও ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার বড় বাজেটের চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রোর সাথে খুব ভালো একটি সম্পর্কে জড়িয়ে থেকে. তিনি পরর্তীতে বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনকে। পাঁচ বছর বিবাহতি থাকার পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ২০০৯ পর্যন্ত তিনি অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সাথে একসাথে বাস করছেন, যা বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার নজর কেড়েছে।[৪] তার এবং জোলির ম্যাডক্স, জাহারা, প্যাক্স নামে তিনটি দত্তক নেওয়া সন্তান আছে, সেই সাথে রয়েছে নিজের জন্ম দেওয়া তিন সন্তান শিলোহ, নক্স, ও ভিভিয়ান। প্ল্যান বি এন্টারটেইনমেন্ট নামে পিটের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা ২০০৭ সালে সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি দ্য ডিপার্টেড প্রযোজনা করে। জোলির সাথে সম্পর্কে শুরু হবার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Dinh, Mai; Janet Murphy. "Brad Pitt Biography" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে People ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে. p. 2. Retrieved May 16, 2008.
  2. "Brad Pitt 'sexiest man alive'". BBC News Online. November 2, 2000. Retrieved November 15, 2008.
  3. Bryner, Jeanna (আগস্ট ২৩, ২০০৭)। "Study: Men With 'Cavemen' Faces Most Attractive to Women"Fox News। ১০ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১, ২০০৮ 
  4. "The Brangelina fever"The Age। Reuters। ফেব্রুয়ারি ৬, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা