ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | |
---|---|
পৌরসভা | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা | |
বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৭′৪৬″ উত্তর ৯১°৬′২০″ পূর্ব / ২৩.৯৬২৭৮° উত্তর ৯১.১০৫৫৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
উপজেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা |
সরকার | |
• পৌর মেয়র | নায়ার কবির (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৪০০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
সম্পাদনাব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়তন ৪,৩৪৩ একর (১৭.৫৮ বর্গ কিলোমিটার)।
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মোট জনসংখ্যা ১,৭২,০১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৫,৩২৩ জন এবং মহিলা ৮৬,৬৯৪ জন। মোট পরিবার ৩৩,৫১৭টি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯,৭৮৫ জন।[১]
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মধ্যাংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অবস্থান। এ পৌরসভার পশ্চিমে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ও নাটাই উত্তর ইউনিয়ন, উত্তরে নাটাই উত্তর ইউনিয়ন ও সুহিলপুর ইউনিয়ন, পূর্বে সুহিলপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্বে মাছিহাতা ইউনিয়ন, দক্ষিণে রামরাইল ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে তিতাস নদী ও নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৫৮ সালের ২ আগষ্ট বৃটিশ পালামেন্ট কর্তৃক ভারত উপমহাদেশে ‘‘সুশান আইন’’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শত বছরের শাসন ব্যবস্থার অবসানের পর উপমহাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা বৃটিশের উপর ন্যাস্ত হলে ১৮৬০খ্রীঃ থেকে ১৮৬৮ খ্রীঃ পর্যন্ত বাংলায় মিউনিসিপ্যালটি প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। সে সময় ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মিউনিসিপ্যালটি। প্রতিষ্ঠাকালীন ১২ সদস্যের একটি বোর্ডের উপর এর পরিচালনার ভার ছিল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মিউনিসিপ্যালটির পরিবতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নামকরণ করা হয়। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ এর ৬ মে পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মহকুমা প্রশাসকগণই পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের মধ্য থেকে ভাইস চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে অনেকেই দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে ৬ মে প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে মরহুম মাহবুবুল হুদা এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুসলিম মিয়া দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে ১৪ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক আদেশ বলে চেয়াম্যানের পরিবর্তে পৌরসভায় মেয়র পদ সৃষ্টি করেন এবং বর্তমান মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন হচ্ছে প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তিনি ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে এ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে ১২টি ওয়ার্ডে ১২ জন কাউন্সিলর এবং ৪ টি সংরক্ষিত আসনে ৪জন নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে পৌরপরিষদের দায়িত্বপালন করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মিউনিসিপ্যালটি সাড়ে পাঁচ বর্গমাইল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তখন এর লোকসংখ্যা ছিল ১৯,৯১৫ জন। বর্তমানে এর আয়তন ১৮ বর্গকিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার।
নামকরণ
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠাকাল
সম্পাদনাপ্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা একটি 'ক' শ্রেণীর পৌরসভা। এ পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৫নং নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর অংশ। এ পৌরসভায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক এ পৌরসভার এলাকাসমূহ হল:[২]
ওয়ার্ড নং | আওতাধীন এলাকা |
---|---|
১নং ওয়ার্ড | মধ্য মেড্ডা, পুলিশ লাইন, পশ্চিম মেড্ডা, শরীফপুর |
২নং ওয়ার্ড | পাইকপাড়া (অংশ), পূর্ব মেড্ডা (মেরুড়া অংশ) |
৩নং ওয়ার্ড | খৈয়াসার, পশ্চিম পাইকপাড়া, ফুলবাড়িয়া, শেরপুর, জেলখানা |
৪নং ওয়ার্ড | বাজার এলাকা, পূর্ব পাইকপাড়া |
৫নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ মধ্যপাড়া, উত্তর মধ্যপাড়া |
৬নং ওয়ার্ড | ছয়ঘড়িয়া, দাড়িয়াপুর, দক্ষিণ পৈরতলা, উত্তর পৈরতলা |
৭নং ওয়ার্ড | আমিনপুর, চণ্ডালখিল, ছোট গোকর্ণ, গোকর্ণ, ছয়বাড়িয়া |
৮নং ওয়ার্ড | কাজীপাড়া |
৯নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ মৌড়াইল, দাতিয়ারা, নয়নপুর, পুনিয়াউট, উত্তর মৌড়াইল (অংশ) |
১০নং ওয়ার্ড | কান্দিপাড়া, কাউতলি, উত্তর মৌড়াইল (অংশ) |
১১নং ওয়ার্ড | উত্তর ভাদুঘর, শিমরাইলকান্দি |
১২নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ ভাদুঘর |
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাক্ষরতার হার ৬৬%।[১]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাজামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাঅর্থনীতি
সম্পাদনাদর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- ভাদুঘর শাহী মসজিদ (মুগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রতিনিধি শাহবাজ ইবনে মজলিস কর্তৃক নির্মিত প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন একটি মসজিদ)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- আবদুর রহমান খান – প্রাক্তন সমবায় ও পাট মন্ত্রী (পাকিস্তান শাসনামল)।[৩]
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন আনিসুল হক"। risingbd.com। ২০১৪-০১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২২।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |