ব্যামফিল্ড ফুলার

ব্রিটিশ উদ্ভাবক, লেখক, পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের প্রশাসক

স্যার জোসেফ ব্যামফিল্ড ফুলার (Sir Joseph Bampfylde Fuller, KCSI সিআইই; ২০শে মার্চ ১৮৫৪ – ২৯শে নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ব্রিটিশ ইংরেজ উদ্ভাবক, লেখক ও পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসনে সেবা প্রদানের জন্য নাইট উপাধি লাভ করেন।[][]

ব্যামফিল্ড ফুলার

জন্ম(১৮৫৪-০৩-২০)২০ মার্চ ১৮৫৪
মৃত্যু২৯ নভেম্বর ১৯৩৫(1935-11-29) (বয়স ৮১)
মাতৃশিক্ষায়তনমার্লবরো কলেজ

প্রারম্ভিক জীবন ও কর্মজীবন

সম্পাদনা

ফুলার যুক্তরাজ্যের মার্লবরো কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৮৮৫ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলির বসতিস্থাপন ও কৃষি বিষয়ক কমিশনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৯৯ সালে তাঁকে ভারতের বড়লাটের পরিষদের অতিরিক্ত সদস্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯০১-১৯০২ সালে তিনি ভারত সরকারের সচিব হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি আসামে ১৯০২ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত প্রধান কমিশনার হিসেবে কাজ করেন। []

ফুলার ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ ও আসামের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। ১৯০৬ সালের ২০শে আগস্ট তিনি লর্ড মিন্টোর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন। সিরাজগঞ্জে বিদ্রোহী বিদ্যালয় শিক্ষকদের শাস্তি প্রদানের ব্রিটিশ ভারত সরকারের বিরোধিতার জের ধরে তিনি পদত্যাগ করেন।[]

১৯০৭ সালে যুগান্তর দল তাঁর প্রাণনাশের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায়।

ফুলার ঢাকা শহরের গভর্নরের বাসভবনের কাজ শুরু করেন, যা বর্তমানে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন হিসেবে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃৎকেন্দ্রে অবস্থিত ফুলার রোড নামক সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

ফুলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বিষাক্ত গ্যাসরোধী সতর্কসংকেত ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন।[]

প্রকাশিত গ্রন্থাবলী

সম্পাদনা
 
দি এম্পায়ার অভ ইন্ডিয়া (১৯১৩)
  • স্টাডিজ অভ ইন্ডিয়ান লাইফ অ্যান্ড সেন্টিমেন্ট (Studies of Indian Life and Sentiment) (১৯১০)
  • দি এম্পায়ার অভ ইন্ডিয়া (The Empire of India) (১৯১৩)
  • লাইফ অ্যান্ড হিউম্যান নেচার (Life and Human Nature) (১৯১৪)
  • দ্য সায়েন্সেস অভ আওয়ারসেল্ভস (The Science of Ourselves) (১৯২১)
  • কজেস অ্যান্ড কনসিকুয়েন্সেস (Causes and Consequences) (১৯২৩)
  • দ্য ল উইদিন' (The Law Within) (১৯২৬)
  • ইথারিক এনার্জিস (Etheric Energies) (১৯২৮)
  • সাম পার্সোনাল এক্সপিরিয়েন্সেস (Some Personal Experiences) (১৯৩০)
  • দ্য টিরানি অভ দ্য মাইন্ড (The Tyranny of the Mind) (১৯৩৫)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Bampfylde Fuller, alarm inventor, dies; His Anti-Gas Warning Device used on the Western Front, Knighted for Service In India"। The New York Times। নভেম্বর ৩০, ১৯৩৫। 
  2. সিরাজুল ইসলাম (২০১২)। "ফুলার, স্যার জোসেফ ব্যামফিল্ড"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. Singh, Jaswant (২০০৯)। Jinnah: India, Partition, Independence। New Delhi: Rupa & Company। পৃষ্ঠা 550আইএসবিএন 978-81-291-1378-8 


টেমপ্লেট:UK-gov-bio-stub