May 2012 সম্পাদনা

 
সম্পাদনা করার অধিকারকে অপব্যবহার করার জন্য নামক নিবন্ধে আপনি করেছেন । আপনাকে অস্থায়ীভাবে সম্পাদনা করা থেকে বাধা দান বা ব্লক করা হয়েছে। Once the block has expired, you are welcome to make useful contributions.If you would like to be unblocked, you may appeal this block by adding the text {{unblock|reason=Your reason here ~~~~}}, but you should read the guide to appealing blocksfirst.--জয়ন্ত (আলাপ - অবদান) ১৬:০৮, ১৩ মে ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

দ্য কৌতুক-এ-বরিশাল। সম্পাদনা

(১)একই অফিসে মামা ম্যানেজার আর ভাগ্নে পিওন। মামাঃ- রতন একটা ডিম লইয়ায় দেহি। ভাগ্নেঃ- মামা কিসের ডিম মুরার না আসের। মামাঃ- ব্যাডা এইডা কিন্তু একটা ওপিস কতাবার্তা ভালো কইররা কইস। (২)ফোনে তিনজন তিনজনকেই খুজছেন। তৃতীয়জন লাইন পাওয়ার পরঃ- বুজজি! আমনারা দুইজন দুইজনারে গুতাগুতি করতে আছেন। দিছি আমি মইদেইদ্দা হান্দাইয়া। (৩)বাংলাদেশ বনাম কোনো এক দেশের ক্রিকেট খেলা। তো সমস্যা হোল ওপেনার একজন ব্যতীত কেউ'ই ক্রিজে দাড়াতেই পারছিলো না। খেলার মুহুর্তটা এমন এক পর্যায়ে যেখানে দারুন সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে ওপেনার একাই। ক্রিজে এখন শেষ উইকেট। বল আছে দুই। রান দরকার দুই। অপরজন এবার ব্যাটিংএ। একজন বলে উঠলোঃ- ও হালায় আবার আউট না অইলে অয়। --Shaheen (আলাপ) ০৪:২১, ২২ মে ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আ আদ্যক্ষরের চার শব্দ বিশিষ্ট তিন জন প্রসিদ্ধ গীতিকার। সম্পাদনা

(১)আবুল হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল(২)আল কামাল আব্দুল ওয়াহাব(৩)আব্দুল হাই আল হাদী।"বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে--/ণোটন ণোটন পায়রা গুলো--/এক রীদয় হীনার কাছে রীদয়ের দাম কী আছে। অত্যান্ত মর্মস্পর্শী এই গান তিনটির গীতিকার এই তিন জন। প্রথম ও তৃতীয় গানটির শিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলম এবং সুরকার অনূপ ভট্টাচার্য। আর দ্বিতীর গানটির সুরকার দেবু ভট্টাচার্য এবং গেয়েছিলেন সনামধন্য রুনা লায়লা। (১)আবুল হায়াৎ মোহাম্মদ কামালের আর একটি গানের কথা আমার মনে পড়ছে। " বহুদিন পর বুঝলাম আমি একা"। এটিও সুর ও শিল্পী যথাক্রমেঃ- অনূপ ভট্টাচার্য ও মোহাম্মদ রফিকুল আলম। তার বহুল আলোচিত বৈশাখী মেঘের কাছে-- গানটি বেতারের। আশির দশকের একেবারে প্রথম দিকে প্রয়াত পরিচালক দিলিপ সোম এটি "স্মৃতি তুমি বেদনা" ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে প্লেব্যাক করেন। আমি খুব আশা করেছিলাম এটি জাতীয় পুরস্কার পাবে ছবির গান হিসেবে। কিন্তু হলোনা। তবে তখন সবার মুখে মুখে গানটি ছিলো। (২)আল কামাল আব্দুল ওহাব এর অন্য দুটো গানের কথা আমার মনে পড়ছে। "এখনো বুঝিনিতো তুমি কে--" এবং "তুমি সুন্দরো হে--" প্রথমটির সুরকার-আব্দুল আহাদ এবং শিল্পী-ফেরদৌসী রহমান। পরেরটি ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত। পরিচালক রফিকুর বারী চৌধুরীর "তানসেন" ছবির। শিল্পী পাকিস্তানের অধিবাসী আইরিন পারভীন। গানটির সুরকার ছিলেন সুবল দাস। (৩)আব্দুল হাই আল হাদী'র অনান্য গানগুলো-"ওগো শিল্পী বন্ধু আমার"/ সুর-ধীর আলী। শিল্পী-আনোয়ার উদ্দীন খান। "এ মাটি অঙ্গে আমার মিশে আছে তাই"/ সুর-(?)এবং শিল্পী-আবিদা সুলতানা। "কতযুগ ক্ষয়ে গেছে কতরাত কেটে গেছে"(এটি একটি ভোরের গান)/ সুর-সুবল দাস। শিল্পী-মাহমুদুন্নবী।"যে রীদয়ে প্রেম নেই সেতো বোঝেনা"/ সুর ইউনুছ আলী। শিল্পী-এম এ খালেক।"আমার মনটা সবুজ চোখ দুটো সবুজ স্বপ্নে আকা"/সুর-আজাদ মিন্টু। শিল্পী-সুলতানা চৌধুরী।"তুমি কীযে চাও"/সুর-আলী আকবর রুপু। শিল্পী-শাকিলা জাফর।"ভাংলে বাজার সবই যে শেষ দেখবি কিছুই নাই"/সুর-সমর দাস। শিল্পী-আব্দুর রোউফ।"এই মাটি আমার মা আমার লক্ষিসোনা"/সুর-আলাউদ্দীন আলী। গেয়েছেন-সৈয়দ আব্দুল হাদী। --Shaheen (আলাপ) ০৫:৩৯, ২৯ মে ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

১৯৮১ সালের এই(৩০শে মে)দিনে। সম্পাদনা

১৯৮১ সালের এই দিনে তখন সকাল সম্ভবত সাড়ে দশটা মতো বাজে। ক্লাস নাইনে পড়ি। মর্নিং স্কুল। লেইজারের সময়। আমরা চার ক্লাসমেট আজাদ(বর্তমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতা)সাগর(বর্তমান ঠিকাদারী ব্যাবসা)মিলা(বর্তমানে দারোগা)এবং আমি বাসায় আসি। বৈঠকখানায় ক্যারামবোর্ড খেলছি ফোরহ্যান্ড। তো এ সময় আমার দুই নম্বর ভাই লিটন(তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে)পার্শ্বেই উপশহর-বিব্লক বাজার থেকে ফিরে এসে বললো চিটাগাং এ আর্মিরা জিয়াউর রহমানকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমরা সাথে সাথে বাজারে যাই। দেখি সবাই ভিড় করে রেডিও শুনছে। রেডিওতে শুধুই জাতীয় সঙ্গীতের মিউজিক বাজছে। আর কিছুক্ষন পর পর প্রথান বিচারপতি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আব্দুস সাত্তার বার বার বলছেন দেশবাসীর প্রতি, আপনারা শান্ত থাকুন চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী অফিসার কতৃক আমাদের নয়নমণি রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। খুব সিগ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে। কেহোই কোনো বিশৃংখলার চেষ্টা করবেন না। এর কিছুক্ষন পর রেডিওতে ঘোষণা করে কুমিল্লার কাছে কোনো এক জায়গায় স্বদলবলে মেজর দোস্ত মোহাম্মদ আত্বসমর্পন করেছে। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর এটিই প্রথম আত্বসমর্পনের ঘটনা। সমস্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করে। সরকার দেশে ৪০ দিনের শোক ঘোষণা। বাজারে আমার প্রয়াত বন্ধু আব্দুর রাজ্জাকের গ্যারেজের সামনে ফুটপাতে পঞ্চদা’র মুচির দোকান। তো পঞ্চদা সেদিন সকালেই একটা রেডিও কিনেছিলো শুধু গান শোনার জন্য। সরকার ৪০ দিন শোক ঘোষণা করাতে পঞ্চদা’র আক্ষেপ আমিও রেডিও কিনলাম জিয়াউর রহমানও মারা গেলো আর ৪০ দিনের শোক ঘোষণা হলো আর আমার এ কদিন গান শোনা শিকেয় ওঠলো। পরদিন(নাকি আরো একদিন পর সেটা খেয়াল করতে পারলাম না)সকালে আমরা যশোর ঈদগাহ ময়দানে গায়েবানা জানাযার নামায পড়ি। জিয়াউর রহমানের নামাযে জানাযে ঢাকায় অনুস্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা প্রতি দিন বর্তমান জোহা ক্লিনিকের সামনে শাকিল ভাইদের(বর্তমান পাকিস্তানের অধিবাসী)বাসায় এই সম্পর্কে যা কিছু দেখতে যেতাম। তখন বিব্লকে শুধু (সম্ভবত)শাকিল ভাইদের বাসায়ই টিভি(সাদাকালো বড় ন্যাশনাল ২৪ ইন্চি)ছিলো। আজকের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র কান্না সেদিন দেশবাসী দেখেছিলো। মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ’তে জানাযায় টিভির ঘোষক হাজার হাজার বলায় শাকিল ভাইদের সামনের বাসার বর্তমান প্রয়াত প্রফেসর চাচা প্রতিবাদ করে বলছিলেন ব্যাটা হাজার হাজার না বল লাখ লাখ লোক। মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ যে এতো বড় খোলা যায়গা তা ঐদিনই আমার নজরে আসে।--Shaheen (আলাপ) ০৫:৪৭, ৩০ মে ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

কাকতালীয়। সম্পাদনা

তখনো আমি স্কুলে ভর্তি হয়নি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাস। আব্বা তখন আর্মি এএসসি কোরের সুবেদার। দীর্ঘদিন পাকিস্তানের নওসেরা'র সেন্টারে থাকার পর পোস্টিং শিয়ালকোর্টে। আমরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে টাংগা(ঘোড়ার গাড়ী)করে একটি লম্বা এনসিও কোয়ার্টারের সামনে এসে দাড়াই। তো আব্বা আমাকে নামতে বলে তার হাতে রাখা লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি আমার হাতে দিলেন। ঠিক এসময় আমার বয়সি একটি অবাঙ্গালী ছেলে আমার সামনে দুর থেকে এসে দাড়াতেই কেনো যেনো আমি সাথেসাথে বন্দকটি তার দিকে তাক করি। এতে ছেলেটা ভড়কে যায় এবং পরক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়া হেসে দাড়িয়ে থাকে। আসে পার্শ্বে প্রায় সব অবাঙ্গালীর মাঝে আমরা প্রায় মাস খানিক এ বাসায় থাকি। এর পর পীরসালা'র পার্শ্বে দোতলা জেসিও কোয়ার্টারে আমাদের স্থানান্তর করা হয়। আশ্চয্যের ব্যাপার হলো এ সময়ের মধ্য ঐ ছেলেটিকে আর আমি দেখেনি। আর নতুন বাসায় যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই স্বাধীনতার যুদ্ধ বেধে যায়।--Shaheen (আলাপ) ১৭:৩৬, ১ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

রাণী এলিজাবেথের সিংহাসনে ষাটবর্ষ তম দিনে। সম্পাদনা

রাণী এলিজাবেথ প্রথম ঢাকা তথা পূর্ব পাকিস্তানে সফর করেছিলেন ১২ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬১ সালে। আর দ্বিতীয় বার তথা স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের ১৫ই নভেম্বর। সেদিন আমরা মিরপুরে অবস্থিত "বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার" এর পক্ষ থেকে সব ছাত্ররা বর্তমান বিলুপ্ত বিউটি সিনেমা হলের সামনে অবস্থান করছিলাম। তখন ঐ এলাকার এমপি ছিলেন বর্তমান বিএনপি নেতা জাতীয় পার্টির এসএ খালেক। ঠিক হলের সামনে একটা তোরণ বানানো হয়েছিলো। এখানে রাণী মিনিট খানেকের জন্য থামবেন। সে মোতাবেক এসএ খালেক এমপি বিশাল একটি ফুলের মালা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। রাস্তার দুপার্শ্বে সারিসারি লোক সমাগম। যে পাশটায় সিনেমা হল ঠিক তার উল্টো পার্শ্বে অর্থাৎ রাস্তার অপর পার্শ্বে তোরণের কাছাকাছি আমরা অবস্থান করছিলাম। রাণী এয়ারপোর্টে অবতরণ করার পর সাভার স্মৃতিসৌধে যাবেন এ পথ দিয়ে সাথে রাস্ট্রপতি এরশাদ। তো সময় হলো রাণী আসার। দূর থেকে দেখছি রাণীর গাড়ী প্রায় আমাদের কাছাকাছি চলে এসেছে রাস্তার দুদিকে তাকিয়ে রাণী হাসছেন। খুব স্লো করে গাড়ী এগিয়ে যাচ্ছিলো। ঠিক আমাদের সামনে আসার সাথেসাথে আমি কোনো কিছু না বুঝেই ডান হাতটা উচু করি। রাণী কিন্তু মোটেও কার্পণ্য না করে আমার মতোই তার হাতটা উচু করে ঠিক আমার দিকে তাকিয়ে অভিবাদনের জবাব দেন হাসিমুখে। মনে হলো যেনো রাণী আমাকে আগে থেকেই জানেন বা চেনেন। আমার সমস্ত শরীরে যেনো একটা বিদ্যুৎ চমকে গেলো। আমার জীবনের এটি একটি স্বরণীয় ঘটনা। তার শরীর একেবারে গোলাপী রং এর। পরে জানতে পারি সিকুরিটির কারণে রাণীর গাড়ী থামেনি। তবে এমপি সাহেবের সম্মানে এখান থেকে যাবার সময় গাড়ী স্লো গতিতে ছিলো। এ সুযোগে আমারাও রাণীকে ভালো করে দেখার কাজটা সেরে নেই। --Shaheen (আলাপ) ১৭:৩৬, ২ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ডাঃ নীহার রঞ্জন গুপ্ত(১৯১১-১৯৮৬)'র "লালুভুলু" উপান্যাস থেকে। সম্পাদনা

(১)১৯৬৪ সালে ভারতীয় হিন্দি ছবির পরিচালক সত্যেন বোস করলেন "দোস্তি" ছবিটি। বাজার মাত। দুই বন্ধু। একজন কানা আর একজন খোড়া। তাদের দুঃখময় জীবন কাহিনী। সুশীল কুমার ও সুধীর কুমার দুই বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাহিনীটির পাশাপাশি ছবিটির মূল আকর্শন ছিলো ছয়টি গান। কন্ঠ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফি। "কাহে আপনা দুঃকী চিন্তা কিউ সাতাতি হ্যায় দুঃখ তো আপনা সাথী হ্যায়"। এধরণের সব ক'টি গান অত্যান্ত আবেগপূর্ণ। মর্মস্পর্ষী গান গুলোর গীতিকার কবি মাজরুহ সুলতানপূরী আর সুর করেছিলেন লক্ষিকান্ত ও পিয়ারেলাল। (২)"ইয়াদ করতাহে যামানা ওহি ইনসানোকো"/"কারামসে---ইয়ারাসুলুল্লাহ"/"নকশা তেরি যুদায়েকা"/"হোগাই মুসকো জিন্দেগী পিয়ারে" কিংবা "মুঝে ছোড় চালে একেলা"। মর্মস্পর্ষী এ উর্দু গানগুলো ঠিক একই কাহিনী নিয়ে ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানে "হামরাহী" নামে একটি ছবি পরিচালনা করেন রাজা হাফিজ। নির্বাহী চরীত্র দুটি করেন খালিদ ও হায়দার। ছবিটি এতটাই জনপ্রীয় হয়েছিলো যে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আইউব খান পর্যন্ত সিনেমা হলে গিয়েছিলেন দেখতে। "ইয়াদ করতাহে যামানা" গানটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিলো। আর এ ছবিতে প্লেব্যাক করে প্রথমবারের মতো প্রয়াত গায়ক মাসুদ রানা জনপ্রীয়তার শীর্ষে গিয়েছিলেন। ছবিটিতে মোট সাতটি গান সংযোজিত হয়। গানগুলো লিখেছিলেন মুজাফ্ফর ওয়ার্সী। সুর তাসাদ্দুক হোসাইন। (৩)এবার আমাদের বাংলাদেশে প্রকৃত উপান্যাসটির নাম "লালুভুলু" ব্যাবহার করে পরিচালক কামাল আহমেদ ১৯৮২ সালে নির্মান করেন ছবি। ছবিটির অবস্য রোল অব এ্যাকটর নাম দুটো মনে রাখতে পারিনি। রাজ্জাক শাবানা অভিনিত উক্ত লালুভুলু ছবিটি মুক্তির প্রাক্কালে স্বয়ং কাহিনীকার ডাঃ নীহার রঞ্জন গুপ্তকে আমান্ত্রন জানানো হয়েছিলো। তিনি মুল নাম ব্যাবহার এবং ছবির কলাকুশলীদের অভিনয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। মোট ছয়টি গানের কন্ঠে ছিলেন মোঃ খুরশিদ আলম। "দোস্তি যদি চাও এসো"/"তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছো মানুষ কিনা"/"এক যে ছিলো রাজার কুমার পংখীরাজে চড়ে"/"শোনো আমার ফরিয়াদ আল্লাহ"। প্রয়াত গীতিকার মাসুদ করিম গানগুলো লিখে শিল্পীর কন্ঠে দেয়ার পর এতটাই আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন যে তিনি সুরকারের সাথে একমত হয়ে মোঃ খুরশিদ আলমকে বলেই ফেল্লেন এবার তোমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়াটা ঠেকায় কে! যদিও সেটা ভাগ্যে জোটেনি। তাইতো ক'বছর আগে মোঃ খুরশিদ আলম এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে বলেছিলেন আমি আমার পরিবারকে বলে দিয়েছি আমার মৃত্যুর পর যদি কোনো মরণোত্বর পুরস্কার আমার নামে প্রকাশ করে তা যেনো প্রত্যাখ্যান করা হয়। এটা আসলে কম দুঃখের কথা নয়। ছবিটির গানগুলোর সুর করেছিলেন প্রয়াত সুবল দাস। গুগুল সার্চ এর সৌজন্যে।--Shaheen (আলাপ) ১৭:৪৩, ১১ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে। সম্পাদনা

১৯৯৬ সালের এই দিনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুস্ঠিত হয়। তারও আগের কথা যেমন বর্তমানে বিরোধিদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার জন্য দাবী করছেন। সেসময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়ের প্রয়োজনে দেশে প্রথম বারের মতো তত্বাবধায়ক সরকার প্রথা দাবী করতে যেয়ে লাগাতার হরতালের কর্মসূচী দিয়েছিলেন। যা ষষ্ঠ সংসদে ত্রোদশ সংশোধণীর মাধ্যমে পাশ হয়। যদিও ষষ্ঠ সংসদ নিয়ে বিতর্ক আছে। তথাপি তত্বাবধায়ক সরকার বিলটি কিন্তু এ সংসদেই পাশ হয় যা তখনকার বিরোধীদল নির্বাচন বর্জন করলেও উক্ত সংসদকে সমর্থন করেই তারা এটা মেনে নেয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের তিন চতুর্থাংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার সমর্থনে নানা বিতর্কের অজুহাতে তাদের ফষল তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে। আর এতে কিন্তু আর একটা ব্যাপার অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয় তা হলো ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন। তত্বাধায়ক সরকার বিলটির কারণে ষষ্ঠ সংসদ সম্পর্কে বিতর্ক থাকলেও তা ছিলো গৌণ। মুলত এটার কারণে বর্তমান বিএনপি অবিচল আন্দোলনে। কারণ তারা চাইবেনা তাদের দল সরকারে থাকাকালীন নির্বাচন(ষষ্ঠ)টি অবৈধ বলে গোণ্য হোক কথাটি জোর হয়ে উঠুক। অবস্য আগামী দুই টার্মের জন্য বিধানটি রাখা যেতে পারে এটা কিন্তু রায়ে বলা থাকলেও ঐ যে ‘ঠিক আছে জমিডা তোমার অইলেও তাল গাছটা কিন্তু মোর’। তো যেদিন তত্বাবধায়ক সরকার বিলটি পাশ হয় ঠিক ঐ দিন সন্ধ্যায় একজন সুটেড এ্যান্ড বুটেড ভদ্রটাইপের লোক শাপলা চত্বর থেকে উত্তর দিকের রাস্তায় রিকশায় করে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত একটি ভিউকার্ড লাইটের আলোতে দেখাতে দেখাতে চলে যান। তখনই আমার মনে টান মারে নিশ্চিত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে। সংবিধানে উল্যেখিত হয় যে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এ পদটি অলংকিত করবেন। সে অনুসারে তখনকার বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রথম সংবিধানিক তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। আমি তখন যশোরে, এক রাতের খবরে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তো নির্বাচনের দিন(তখন ঢাকায় থাকাতে)আমরা ভোট দিতে যাই গোলাপ বাগের ব্রাম্মণচীরণ রোডের এক স্কুলে। ভোট দেয়ার পর দেখি এক যায়গায় জটলা চিল্লাচিল্লি প্রায় মারমুখি। অনেককে বলতে শোনা যায় পুলিশের ওখানকায় নিয়োজিত কর্মকর্তা সবাইকে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য প্রভাবিত করছেন। দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। পরের দিন দৈনিক ইনকিলাবের হেডিং ছিলো "যারা দেশকে জ্বালাও পোড়াও এই মতবাদের দিকে এতদিন নিয়ে গেছে তারাই দেশ চালকের আসনে এ শতাব্দির শেষ এবং আগামী শতাব্দির শুরুটা করতে যাচ্ছে"।--Shaheen (আলাপ) ১৭:০৬, ১২ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

যেদিন গজল সম্রাট মেহেদি হাসানকে চিত্তে ধারণ করি। সম্পাদনা

১৯৭৮/৭৯ সালের দিকে। কিংবদন্তী ভারতীয় শিল্পী মোহাম্মদ রফি'কে সাংবাদিকরা এক অনুস্ঠানে প্রশ্ন করেন আপনি অবসরে কী করেন। মোহাম্মদ রফি বললেন দেখুন শিল্পীদের কোনো অবসর নেই। আর যদিও বা আমি কখনো সেটা পাই তখন একাগ্রচিত্তে মেহেদি হাসানের গজল শুনি। সাক্ষাৎকারটির বছর খানিক পর মোহাম্মদ রফি মারা(১৯৮০ সালে)গেলেন। একজন কিংবদন্তী জীবিত আর একজন কিংবদন্তীকে কী বিশেষনটি দিয়ে গেলেন! আমি তখন স্কুলে পড়ি কিন্তু কথাটি আমার মনে গেথে রইলো সেই থেকে আজ(যখন তার ৮৫ বছর বয়স পূর্ণ হতে আর মাত্র ৩৫ দিন বাকি ছিলো)অবদি। "দুনিয়া কিসিকি প্যায়ার মে জান্নাত সে কম নেহি এক দিলরুবা হ্যায় দিল মে যো হুরোসে কম নেহি"। দুখি প্রেম নাগরী'র কথায় এবং লাল মোহাম্মদ এর সুরে এ গজলটিই কী কম নয় তাকে দুনিয়া তাবত বাচিয়ে রাখতে! কিংবা মাজরুর আনোয়ার এর কথায় এবং সোহেল রানা'র সুরে " মুজহে তুম নজরসে গেরাতো রাহেহো" বা জারকা ছায়াছবির সেই জনপ্রিয় গানটি "ইয়া জারকা---রকসে জনজীর"। গানটির কথা ও সুরকার ছিলেন যথাক্রমে হাবিব জালিব এবং রাশিদ আত্তার। অসংখ্য গজল ও গানের মাঝে একবার এক প্রশ্নের সম্মখিন হয়েছিলেন ভাষাগত ব্যাপারে। আর তা হলো মেহেদি হাসান বাংলা গাইতে পারেন না। তার জবাবে তিনি গেয়েছিলেন "হারানো দিনের কথা মনে পড়ে যায়" গজল ঢং এর গানটি। সত্তর দশকের একেবারে শেষ দিকে ঢাকায় "রাজা সাহেব"(খসরু নোমান)ছবিটির জন্য একটি প্লেব্যাক করেছিলেন। ড, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কথায় এবং আলী হোসেনের সুরে " ঢাকো যতনা নয়ন দুহাতে বাদল মেঘ ঘুমাতে দেবেনা"। আজ তিনি চলে গেলেন রেখে গেলেন অজস্র "এ্যাসাইনমেন্ট" যা তাকে বাচিয়ে রাখবে আজীবন।--Shaheen (আলাপ) ১৮:০৮, ১৩ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

(পহেলা আষাঢ় উপলক্ষে)ছায়াছবির কিছু মুখরোচক কথাবার্তা। সম্পাদনা

(১)যা বাবা! আড়াই টাকা উসুল করতে পাচশিকে খোল! শেক্সপিয়ার(১৫৬৪-১৬১৬)এর "কমেডি অব ইরোজ" অবলম্বনে ইশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর(১৮২০-১৮৯১)কতৃক অনুবাদিত "ভ্রান্তি বিলাশ" নামকরনেই পরিচালক মানু সেন ছবিটি করেছিলেন পঞ্চাশ দশকের শেষাদ্ধে। উত্তমকুমার, সাবিত্রি চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্ধোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায় এবং তরুন কুমার অভিনিত ছবিটিতে তরুনকুমার কথাচ্ছলে এটি প্রকাশ করেন। (২)ল্যাও! টকের জালায় পালিয়ে এলাম তেঁতুল তলায় বাঁশ! কালকুট ছদ্মনামের সমরেশ মজুমদার(১৯২৪-১৯৮৮)এর অবশেষ অবলম্বনে অরিন্দম মুখাজ্জী পরিচালিত "মৌচাক" ছবিতে একটি কথোপোকথনে উত্তমকুমার সাবিত্রিকে উদ্দেশ্য করে। (৩)ঐযে! রবীন্দ্রনাথের মতো হিন্দি তুলশি দাসের মতো ইংরেজী আর শেক্সপিয়ারের মতো বাংলা বলে! শংকর উপান্যাস অবলম্বনে পিনাকী মুখাজ্জী'র "চৌরঙ্গী" ছবিতে উত্তমকুমার সহনায়ক সুবেন্দু'কে উদ্দেশ্য করে।--Shaheen (আলাপ) ০৪:৫৬, ১৫ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বিশ্ব বাবা দিবসে। সম্পাদনা

ছয় বছর চলছে আব্বা নেই। আজ সকালে মাছরাঙ্গা টিভি চ্যানেল খুলতেই দেখি উপাস্হপকদ্বয়ের সামনে বসে আছেন আলমগীর পিকচার্স তথা জোনাকী প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার একেএম জাহাঙ্গীর খান ও তার কন্যা ঝুমু খান। একেবারে শেষের দিকে ঝুমু খানকে বাবা দিবস সম্পর্কে প্রশ্ন করায় আমার মনে পড়লো তাইতো আজ বাবা দিবস। কোনো দিবসই আমরা পালন করিনি বিশেষত আমাদের বাসায়। প্রথম কোনো ঘটনা যেখান থেকে আব্বাকে আমি খুব ভালবাসি বা মনের মধ্যে একটা সফ্টকর্ণার এর বেস সৃস্টি আজও তা আমার কাছে পরিস্কার আয়নার মতো। ১৯৭১ সাল। তখন আমরা পাকিস্তানের শিয়ালকোর্টে। সবে স্কুলে ভর্তি হয়েছি। জেসিও দ্বোতলা কোয়ার্টারে আমরা থাকি। আমাকে কাকা(অফিস থেকে আব্বার কাজে নিয়জিত আর্দালী)বেলা সাড়ে বারোটার দিকে স্কুল থেকে নিয়ে এসেছেন। কাকা একটু আগে আগে আমার জন্য ছুটি পান। তো কাকা আমাকে নিয়ে আসার পর আম্মাকে বললেন ভাবী স্যার আসেননি এখনো? আম্মা বললেন কেনো? উনি তো আসেন বরাবর দেড়টার দিকে!কাকা বললেন না মানে আজকে ক্যান্টনমেন্টে কী একটা যেনো গন্ডগোলের কথা শুনলাম। বিশেষত বাঙ্গালীদের নিয়ে। আর যায় কোথায় এর আগেও এরকম টুকটাক কিছু প্রায় শোনা যেতো । আম্মা বললেন তুমি এক্ষুনি যাও দেখো তোমার সাহেব কোথায়! কাকা ফিরে আসলেন আব্বা অফিসে নেই। কেউ কোনো সদু্ত্তরও দিতে পারলোনা। প্রায় বিকেল হতে চললো। আম্মা কান্নাকাটি আরম্ভ করে দিয়েছেন। আমি আমার রুমে এসে কাদতে লাগলাম একাএকা। কাকা চারিদিকে খুজতে বেড়োলেন। বারবার আমরা জানলায় তাকাই। প্রায় চারটার দিকে আমিই প্রথম দেখি অনেক দুর থেকে আব্বা আসছেন হাতে যেনো একটা কী কালো মতো। নিকটে আসতেই দেখি ভ্যানিটি ব্যাগ। বাসায় আসার পর আম্মাতো আব্বাকে যা বলার বললেন। আব্বা চারিদিকে গন্ডগোলের কথা শুনেই আ্গে আগে অফিস থেকে বের হয়েছিলেন। শহরে গিয়েছিলেন ক্যান্টনমেন্টের বাইরে কোনো ভাব বোঝার জন্য। আর সামনে পড়ায় ব্যাগটা কিনেছেন ১৮ টাকা দিয়ে। এই ব্যাগটি এখন আমাদের স্মৃতিচিন্হ হয়ে আছে। ঐ ঘটানার পর আমার আর স্কুলে যাওয়া হয়নি এটা স্পষ্ট আমার মনে পড়ে। আব্বা রেগুলার অফিসে যাওয়ার বদলে সব সময় ফিল্ডে থাকতেন। একদিন পর পর রাতে প্রায় ১২টা বা একটার দিকে এসে দেখা করে যেতেন কিন্তু উপরে উঠতেন না। ওয়াটারফাল কালার একটা গাড়ীতে আসতেন। আম্মা আমি উপরে জ্বানালা দিয়ে কথা বলতাম। তখনই আমি প্রথম যুদ্ধ যুদ্ধ শব্দটার ব্যাবহার শুনি। আব্বা এএসসি কোরের সিনিয়র জেসিও হওয়ায় যুদ্ধচলাকালীন ক্যান্টনমেন্টের সম্ভবত কোনো অংশের ফুড এর দায়িত্ব ছিলেন। এর বেশ কিছুদিন পর আমাদের সব বাঙ্গালী সমেত কোহাট এর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছিলো চারিদিকে কাটা তারের বেড়া। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে আসার আগ পর্যন্ত আব্বাকে আর ইউনিফর্ম পড়তে দেখেনি।--Shaheen (আলাপ) ০৫:৩১, ১৭ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

June 2012 সম্পাদনা

  উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম। যদিও যে-কেউ এখানে গঠনমূলক সম্পাদনা করতে পারেন, কিন্তু কমপক্ষে আপনার সাম্প্রতিক একটি সম্পাদনা গঠনমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়নি এবং তা বাতিল করা হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক যে-কোনো প্রকারের পরীক্ষামূলক সম্পাদনার জন্য খেলাঘর ব্যবহার করুন। সেই সাথে বিশ্বকোষীয় ও কোনো গঠনমূলক সম্পাদনার জন্য আমাদের স্বাগত পাতাটিও পড়ে নিন। ধন্যবাদ। আপনার আলাপ পাতায় যেভাবে ব্লগের মতো লেখালেখি শুরু করেছেন, আপনার অবগতির জন্য জানাই, উইকিপিডিয়া কোনো ব্লগ নয়। অবিলম্বে এজাতীয় সম্পাদনা থেকে বিরত থাকুন, নতুবা আপনাকে যেকোনো প্রশাসক এবার স্থায়ীভাবে ব্লক করতে পারেন।  —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৪২, ১৭ জুন ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"যাত্রিক" ভারতীয় পুরোনো বাংলা ছায়াছবির পরিচালক। সম্পাদনা

গত পঞ্চাশ দশকে ভারতীর বাংলা চলচ্ছিত্রে যে ক'জন ছবি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে কিছু পরিচালক ছদ্ম নামে পরিচিত যেমন যাত্রিক, অগ্রদূত,অগ্রগামী। "যাত্রিক" শ্রেফ তিনজন পরিচালকের গড়া একটি প্রতিষ্ঠানিক নাম মাত্র। এ তিন পরিচালক হলেন:- তরুন মজুমদার-দিলিপ মুখাজ্জী-সচীন মুখাজ্জী। এর মধ্যে দিলিপ মুখাজ্জী একজন নায়ক। তিনি অন্য পরিচালকের ছবিতেও নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যেমন মহানায়ক উত্তমকুমার প্রযোজিত নীহার রঞ্জন গুপ্ত'র কাহিনী অবলম্বনে অসিত কুমার সেন'র পরিচালনায় "উত্তর ফাল্গনী" ছবিতে সুচিত্রা সেন'র বিপরিতে। হীরেণ নাগ পরিচালিত "থানা থেকে আসছি" ছবিতে উত্তমকুমার'র সহনায়ক হিসেবে। আর "ঠগিনি"(১৯৭৪/অনুপকুমার, সন্ধ্যা রায়, রবি ঘোষ এবং উৎপল দত্ত অভিনিত) ছবি খ্যাত পরিচালক তরুন মজুমদারের আর একটি পরিচয় তিনি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়'র প্রক্তন স্বামী। যাত্রিক তথা এ তিন পরিচালকের গড়া প্রতিষ্ঠানটির মাত্র গোটা চারেক ছবির নাম জানা যায় আর এগুলো নির্মিত হয় ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে। এর পর তারা স্বতন্ত্রভাবে ছবি পরিচালনা করতে থাকেন। তবে নীহার রঞ্জন গুপ্ত রচিত "ছিন্নপত্র" ছবিটির নির্মান সাল যদিও ১৯৭১ কিন্তু এটিও পরিচালনা হয় যাত্রিক নামে। এ ছবিটির একটা নতুন দিক হলো শেষ দৃশ্যের পর পরিচালকের নাম দেখানো হয় যেটা সে সময়কার কোনো ছবিতে প্রথম সংযোজন। যাত্রিক পরিচালিত ছবিগুলো ছিলো একেকটি একেক ধারায় নির্মিত। ছবিগুলোতে মুলত সঙ্গীতের ক্ষেত্রে রবীন্দ্র সঙ্গীত ব্যাবহার দেখা যায়। যেমন ১৯৬১ সালে যাত্রিক নির্মিত দিলিপ মুখাজ্জী,অসিত বরন, বিকাশ রায়, পাহাড়ী স্যান্যাল, উৎপল দত্ত, ছবি বিশ্বাস, তরুনকুমার, ছায়া দেবী অভিনিত "কাচের স্বর্গ" ছবিটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত "আগুনের পরশমনি ছোওয়াও প্রানে" গানটি এমন ভাবে মিশে আছে যেনো এটিই ছবিটির প্রধান উপজিব্য হয়ে উঠে। দিলিপ মুখাজ্জীর অভিনয় ছিলো মনে রাখার মতো। ছবিটি ১৯৬৪ সালে বেস্ট ফিচার ইন বেঙ্গল ফিল্ম ন্যাশনাল এ্যাওয়াড পেয়েছিলো। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেন অভিনিত "চাওয়া পাওয়া" ছবিটি দিয়ে ১৯৫৯ সালে যাত্রিক এর ছবি পরিচালনা শুরু। ১৯৬০ সালে যাত্রিক কতৃক নির্মিত হয় সুচিত্রা সেন এবং অসিত বরন অভিনিত "স্মৃতি টুকু থাক" ছবিটি। ছবিটিতে সুচিত্রা'র অভিনয় ছিলো অনবদ্য । "জীবনপুরের পথিকরে ভাই...কোথায় আমার মনের খবর পেলাম না" মুকুল দত্ত রচিত শিল্পী ও সুর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়'র জনশ্রুত এ গানটি অনুপকুমার ও সন্ধ্যা রায় অভিনিত "পলাতক" ছবির। মনোজ বসু'র "আংটি চ্যাটাজ্জির ভাই" কাহিনী অবলম্বণে যাত্রিক এ ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৩ সালে। সত্তর দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে উক্ত ছবিটির অনুকরণে বাবুল চৌধুরী নির্মান করেছিলেন "মা" ছবিটি। সোহেল রাণা, ববিতা, মিনু রহমান, খলিলউল্লাহ খান খলিল অভিনিত ছবিটিতে সোহেল রাণা পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ বাচসাস পুরুস্কার। এ ছবিটিতেও আগের ছবিটির গানটির মতো জিয়া হায়দার রচিত সত্য সাহা'র সুরে শিল্পী সুবীর নন্দি'র গাওয়া " আমি পথে পথে ঘুরি আমার নাই যে কোনো ঠিকানা" গানটি বেশ জনশ্রুত হয় সেসময় সবার কাছে। --Shaheen (আলাপ) ০৬:২৬, ১২ জুলাই ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

চিত্র:Uuu.gif নিবন্ধের দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা সম্পাদনা

 

A tag has been placed on চিত্র:Uuu.gif, requesting that it be speedily deleted from Wikipedia. This has been done for the following reason:

অব্যবহৃত ও লাইসেন্সের কোন তথ্য নেই।

Under the criteria for speedy deletion, articles that do not meet basic Wikipedia criteria may be deleted at any time.

আপনি যদি মনে করেন যে এই নোটিশটি এখানে ভুল করে প্রদান করা হয়েছে, তবে এই অপসারণের আপত্তি জানাতে নিবন্ধে যেয়ে দ্রুত অপসারণের আপত্তি করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন লেখা লেবেলের উপর ক্লিক করুন। এটি করার ফলে আপনি আগে থেকে বিন্যাস্ত সংশ্লিষ্ট নিবন্ধের আলাপ পাতা পাবেন, সেখানে আপনি ব্যাখ্যা করুন, কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। অথবা আপনি নিবন্ধের আলাপ পাতায় সরাসরি আপনার কারণ ব্যক্ত করতে পারেন। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, দ্রুত অপসারণ ট্যাগ কোনো নিবন্ধে করা হলে, কোনো দেরি না করে অপসারণ করা হয় যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ বিচারাধারার সাথে মিলে যায়। এটি যদি দ্রুত অপসারণের বিচারধারা অনুসারে না হয় তবে নিবন্ধ থেকে এই নোটিশটি সরিয়ে ফেলুন, কিন্তু অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এ নোটিশটি সরিয়ে ফেলবেন না আমরা আপনাকে নিবন্ধটিকে সম্প্রাসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, নিবন্ধের বিষয় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হতে হবে ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্রগুলো যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত। যদি ইতিপূর্বে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে আপনি কোনো একজন সক্রিয় প্রশাসকের সহিত যোগাযোগ করুন।

অনুগ্রহপূর্বক আরও লক্ষ করুন যে, অপসারণের প্রস্তবনা কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। এটি শুধুমাত্র একটি নোটিশ যা উইকিপিডিয়ার নীতিমালা অনুসারে আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। উইকিপিডিয়ায় অবদান রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে আপনি বিনা দ্বিধায় আমার আলাপের পাতায় বার্তা রাখতে পারেন। যুদ্ধমন্ত্রী (আলাপ) ১৮:৫৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন