বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা

চাহিদার নির্ধারক সমুহ সম্পাদনা

অসংখ্য কারণের এবং পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতার কোনো দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছা প্রভাবিত হতে পারে। তারমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হল:

দ্রব্যের নিজের মুল্য:সাধারণত দ্রব্যের নিজেস্ব দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক কাজ করে।যখন দাম বাড়ে চাহিদার পরিমান তখন কমে। এই বিপরীতমুখী সম্পর্কের ফলে চাহিদারেখার ঢাল সর্বদা নিম্নগামী হয়। চাহিদা ও দামের এই বিপরীতমুখী সম্পর্ক যথাযত এবং স্বজ্ঞাত। যদি কোনো নতুন উপন্যাস এর মুল্য অনেক বেশি হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো মানুষ এটি ক্রয় অপেক্ষা পাবলিক লাইব্রেরি হতে ধার নিয়ে পড়তে আগ্রহী হবে। সম্পর্কিত অন্য দ্রব্যের দাম: সম্পর্কিত দ্রব্য সাধারণত পরিপূরক ও পরিবর্তক দ্রব্য কে বুঝায়। পরিপূরক দ্রব্য হল এমন একটি দ্রব্য যা প্রাথমিক দ্রব্যের সাথে ব্যাবহৃত হয়। যেমন চায়ের সাথে দুধ ও চিনি ও গাড়ির সাথে পেট্রল। (নিখুত পরিপূরক দ্রব্য স্বতন্ত্র আচরণ করে। যদি একটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে অপর দ্রব্যের চাহিদার পরিমান কমে যায় ভোক্তার নিজেস্ব আয়: একজন মানুষের নিজেস্ব আয় বাড়লে তার চাহিদার পরিমান ও বৃদ্ধি পাবে। ভোক্তার ভবিষ্যৎ মুল্য ও আয় সম্পর্কে আশা: যদি একজন ভোক্তা বুঝতে পারে কোনো বিশেষ দ্রব্যের দাম ভবিষ্যৎ এ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলে সে দাম বাড়ার আগেই উক্ত দ্রব্য ক্রয় করতে চাইবে। আবার যদি একজন ভোক্তা তার ভবিষ্যৎ আয় বৃদ্ধি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় তাহলে সে বর্তমানে উক্ত দ্রব্য ক্রয় করতে চাইবে। দ্রব্যের আশানুরূপ প্রাপ্যতাও দাম ও চাহিদার ওপর পরিবর্তন আনে। জনসংখা:কোনো দেশের জনসংখা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। দ্রব্যের প্রকৃতি: সাধারণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদার পরিমান সর্বদা বেশি হয়। বিজ্ঞাপন: বিজ্ঞাপন বা প্রচারের ওপরে অনেক সময় চাহিদা নির্ভর করে। জীবনযাত্রার মান: দেশের জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নত হলে ভোগ্য দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। উপরিউক্ত নির্ধারকসমূহ ছাড়াও আরো নানা কারণে চাহিদার পরিমানের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটতে পারে মোঃ জয়নাল আবেদীন (আলাপ) ১১:৪৭, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

চাহিদা অপেক্ষক এবং সমীকরণ সম্পাদনা

দ্রব্যের চাহিদা এর নির্ধারকসমূহের ওপর নির্ভরশীল, চাহিদা ও এর নির্ধারকসমূহের নির্ভরশীলতার সম্পর্কের গানিতিক প্রকাশকে অপেক্ষক বলে। উদাহরণস্বরূপ, Qd = (১০-২P) একটি চাহিদা অপেক্ষক যেখানে Qd একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমান, P দ্রব্যের দাম। সমতা চিহ্নের ডানের রাশিকে স্বাধীন চলক ও বামের রাশিকে বলা হয় অধীন চলক। এখানে (-২P) এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে অধীন চলকের সাথে স্বাধীন চলকের বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মাধ্যমে বোঝা যায় এই অপেক্ষক থেকে অংকিত চাহিদা রেখার ঢাল হবে ডানদিকে নিম্নগামী।

মোঃ জয়নাল আবেদীন (আলাপ) ১১:৪৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অর্থনীতি সম্পাদনা

প্রধান মেনু খুলুন উইকিপিডিয়া অনুসন্ধান সম্পাদনানজর রাখুনঅন্য ভাষায় পড়ুন চাহিদা অর্থনৈতিক তত্ত্ব অর্থনীতিতে চাহিদা হল কোনো পণ্য বা সেবা দ্রব্যের উপযোগের প্রয়োজনীয়তা। চাহিদাকারী হল একটি নির্দিষ্ট পরিমান পণ্য বা সেবা গ্রহনের উদ্যেশ্যে ব্যয় করার ইচ্ছা। একজন ক্রেতা বিভিন্ন দামে যে পরিমান দ্রব্য বা সেবা পেতে ইচ্ছুক তার পরিমান এর দ্বারা চাহিদা প্রকাশ করা হয়।[১] কোনো নির্দিষ্ট দামে ভোক্তা যে পরিমান দ্রব্য ক্রয় করতে আগ্রহী হয় তার পরিমান কে চাহিদার পরিমান বলে। দাম ও চাহিদার পরিমানের মধ্যকার সম্পর্ক কে চাহিদা বলা হয়।[২] (আরো দেখুন: যোগান ও চাহিদা)

চাহিদা বিধি সম্পাদনা চাহিদার অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত থেকে স্বাভাবিক সময়ে কোনো দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়, দাম বৃদ্ধি পেলে চাহিদা হ্রাস পায়। দাম ও চাহিদার পরিমানের মধ্যে এরুপ বিপরীত সম্পর্ককে চাহিদা বিধি বলা হয়।

চাহিদার নির্ধারক সমুহ সম্পাদনা

অসংখ্য কারণের এবং পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতার কোনো দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছা প্রভাবিত হতে পারে। তারমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হল:

দ্রব্যের নিজের মুল্য:সাধারণত দ্রব্যের নিজেস্ব দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক কাজ করে।যখন দাম বাড়ে চাহিদার পরিমান তখন কমে। এই বিপরীতমুখী সম্পর্কের ফলে চাহিদারেখার ঢাল সর্বদা নিম্নগামী হয়। চাহিদা ও দামের এই বিপরীতমুখী সম্পর্ক যথাযত এবং স্বজ্ঞাত। যদি কোনো নতুন উপন্যাস এর মুল্য অনেক বেশি হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো মানুষ এটি ক্রয় অপেক্ষা পাবলিক লাইব্রেরি হতে ধার নিয়ে পড়তে আগ্রহী হবে। সম্পর্কিত অন্য দ্রব্যের দাম: সম্পর্কিত দ্রব্য সাধারণত পরিপূরক ও পরিবর্তক দ্রব্য কে বুঝায়। পরিপূরক দ্রব্য হল এমন একটি দ্রব্য যা প্রাথমিক দ্রব্যের সাথে ব্যাবহৃত হয়। যেমন চায়ের সাথে দুধ ও চিনি ও গাড়ির সাথে পেট্রল। (নিখুত পরিপূরক দ্রব্য স্বতন্ত্র আচরণ করে। যদি একটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে অপর দ্রব্যের চাহিদার পরিমান কমে যায় ভোক্তার নিজেস্ব আয়: একজন মানুষের নিজেস্ব আয় বাড়লে তার চাহিদার পরিমান ও বৃদ্ধি পাবে। ভোক্তার ভবিষ্যৎ মুল্য ও আয় সম্পর্কে আশা: যদি একজন ভোক্তা বুঝতে পারে কোনো বিশেষ দ্রব্যের দাম ভবিষ্যৎ এ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলে সে দাম বাড়ার আগেই উক্ত দ্রব্য ক্রয় করতে চাইবে। আবার যদি একজন ভোক্তা তার ভবিষ্যৎ আয় বৃদ্ধি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় তাহলে সে বর্তমানে উক্ত দ্রব্য ক্রয় করতে চাইবে। দ্রব্যের আশানুরূপ প্রাপ্যতাও দাম ও চাহিদার ওপর পরিবর্তন আনে। জনসংখা:কোনো দেশের জনসংখা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। দ্রব্যের প্রকৃতি: সাধারণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদার পরিমান সর্বদা বেশি হয়। বিজ্ঞাপন: বিজ্ঞাপন বা প্রচারের ওপরে অনেক সময় চাহিদা নির্ভর করে। জীবনযাত্রার মান: দেশের জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নত হলে ভোগ্য দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। উপরিউক্ত নির্ধারকসমূহ ছাড়াও আরো নানা কারণে চাহিদার পরিমানের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটতে পারে। চাহিদা অপেক্ষক এবং সমীকরণ সম্পাদনা

দ্রব্যের চাহিদা এর নির্ধারকসমূহের ওপর নির্ভরশীল, চাহিদা ও এর নির্ধারকসমূহের নির্ভরশীলতার সম্পর্কের গানিতিক প্রকাশকে অপেক্ষক বলে। উদাহরণস্বরূপ, Qd = (১০-২P) একটি চাহিদা অপেক্ষক যেখানে Qd একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমান, P দ্রব্যের দাম। সমতা চিহ্নের ডানের রাশিকে স্বাধীন চলক ও বামের রাশিকে বলা হয় অধীন চলক। এখানে (-২P) এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে অধীন চলকের সাথে স্বাধীন চলকের বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মাধ্যমে বোঝা যায় এই অপেক্ষক থেকে অংকিত চাহিদা রেখার ঢাল হবে ডানদিকে নিম্নগামী।

চাহিদা রেখা সম্পাদনা


এখানে DD' হয়, চাহিদা রেখা. অর্থনীতিতে চাহিদারেখা হল একটি লেখচিত্র যেখানে কোনো দ্রব্যের দাম ও ভোক্তাদের নির্দিষ্ট দামে উক্ত দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছার মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়।

চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা (PED) সম্পাদনা

কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তন এর ফলে চাহিদার যে পরিবর্তন সংঘটিত হয় তার মাত্রাকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে। চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার দ্বারা চাহিদার শতাংশিক পরিবর্তন ও দামের শতাংশিক পরিবর্তন এর অনুপাতকে বোঝায়। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে দাম ছাড়া চাহিদার অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে সুত্র ব্যাবহার করা হয় তা হল: (ΔQ/ΔP)×(P/Q)। এখানে Q, চাহিদার পরিমান এবং P, দ্রব্যের দাম। মোঃ জয়নাল আবেদীন (আলাপ) ১১:৫০, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

যোগান সম্পাদনা

Banner logo এই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উইকিপিডিয়া এশীয় মাস। আসুন যোগ দিন। আড়ালে থাকুক প্রধান মেনু খুলুন উইকিপিডিয়া অনুসন্ধান সম্পাদনানজর রাখুনঅন্য ভাষায় পড়ুন সামষ্টিক অর্থনীতি পাতার সমস্যা সামস্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি শাখা যা জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, কাঠামো ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির দুইটি সাধারণ মুল ক্ষেত্রের একটি। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন পুরো অর্থনীতি কর্মকান্ড বোঝার জন্য জিডিপি, বেকারত্বের হার ও মূল্য সুচকের মত সামগ্রিক নির্দেশক নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন মডেল উন্নয়ন করে থাকে যা কিছু উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে, যেমন জাতীয় আয়, উৎপাদন, ভোগ, বেকারত্ব, মুদ্রাষ্ফীতি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা। অন্য দিকে, ব্যষ্টিক অর্থনীতি একক উপাদানের কর্মকান্ডের উপর প্রাথমিক আলোকপাত করে যেমন, ফার্ম ও ভোক্তা, এবং তাদের আচরণ নির্দিষ্ট বাজারে দাম ও পরিমাণ কিভাবে নির্ধারন করে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

সামষ্টিক অর্থনীতি একটি বিশাল শিক্ষাক্ষেত্র, এখানে গবেষনার দুইটি দিক রয়েছে:জাতীয় আয়ে (বানিজ্য চক্র)স্বল্পকালীন স্থানান্তরের কারণ ও প্রভাব এবং দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জাতীয় আয় বৃদ্ধি) নির্ধারনের চেষ্টা করা।

সামষ্টিক অর্থনীতি মডেল ও তাদের প্রভাব সরকার ও বৃহৎ সংস্থা উভয়েরই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতি ও ব্যবসা পরিস্থিতি মুল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সামষ্টিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব উন্নয়ন সম্পাদনা


মাইক্রোইকোনমিকস সার্কুলেশন "সামষ্টিক অর্থনীতি" ধারনাটি ১৯৩৩ সালে নরওয়েজিয়ান অর্থনীতিবিদ রাগনার ফ্রিশের একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত "সামষ্টিক পদ্ধতি" ধারনা থেকে এসেছে। এবং বিগত সময়ে এই ক্ষেত্রের প্রচুর বিস্তৃত উপাদান অনুধাবন করার একটি দীর্ঘ প্রচেষ্টা রয়েছে। ইহা বিগত সময়ের বাণিজ্য বিচ্যুতি ও আর্থিক অর্থনীতি গবেষনার সামগ্রিক ও বিবর্ধন।

মার্ক ব্লাগ, অর্থনৈতিক চিন্তাধারার একজন উল্লেখযোগ্য ইতিহাসবিদ, তাঁর "Great Economists before Keynes: 1986" রচনায় বলেন যে, সুইডিশ অর্থনীতিবিদ নুট উইকসেল " কম কিংবা বেশী হউক আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিষ্টায় অবদান রয়েছে।

বুনিয়াদী অর্থনীতি ও অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ: অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব সামষ্টিক অর্থনীতি মডেলের সমর্থনে বুনিয়াদী অর্থনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রনে আসে। এই তত্ত্ব বিনিময় সমীকরন সৃষ্টি করে: সমীকরনটিতে বলা হয় যে, অর্থের যোগানের সময় অর্থের প্রবাহ (একটি বিনিময় প্রক্রিয়ায় নগদ অর্থ একজন থেকে অন্য জনের নিকট কত গতিতে স্থানান্তরিত হয়) হচ্ছে অপ্রকৃত উৎপাদনের (মূল্যস্তর কালীন উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার পরিমান) সমান। বুনিয়াদী অর্থনীতিবিদগন, যেমন ইর্ভিং ফিশার দেখান যে, স্বল্প কালে প্রকৃত আয় ও অর্থের প্রবাহ স্থিতিশীল হতে পারে, অতএব, এই তত্ত্বের মুলকথা হচ্ছে, মুল্য স্তর পরিবর্তিত হতে পারে অর্থের যোগান পরিবর্তনের মাধ্যমে। অর্থের বুনিয়াদী পরিমাণ তত্ত্ব প্রকাশ করে যে, অর্থের চাহিদা স্থিতিশীল এবং অন্যান্য উপাদান যেমন সুদের হার হতে স্বাধীন। অর্থনীতিবিদগন মহামন্দার সময়ে অর্থের বুনিয়াদী পরিমাণ তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যেখানে অর্থের চাহিদা ও অর্থের প্রবাহ ব্যর্থ হয়।

কেইন্সীয় মতবাদ সম্পাদনা

১৯৩০ সাল পর্যন্ত বেশীর ভাগ অর্থনৈতিক বিশ্লেষন সামগ্রিক আচরণ থেকে বেড়িয়ে একক আচরণ বিশিষ্ট হতে পারেনি। ১৯৩০ সালের মহামন্দা ও জাতীয় আয় ও উৎপাদন পরিসংখ্যানের ধারণা উন্নয়নের সাথে সাথে সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্র সমুহ প্রসারিত হতে থাকে। বর্তমানে আমরা জানি ঐ সময়ের পুর্বে সম্পুর্ন জাতীয় হিসাব ছিলনা। বৃটিশ অর্থনীতিবিদ জন মাইনার্ড কেইন্স যিনি মহামন্দাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন তার ধারণা সঠিক ভাবে ফলপ্রসু হয়।

কেইন্সের পরবর্তী সময়কাল সম্পাদনা

অর্থনীতির একটি চ্যালেঞ্জ ছিল যে সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতি মডেলের মধ্যে সমন্বয় সাধন। ১৯৫০ সাল হতে শুরু করে সামষ্টিক অর্থনীতিতে সামষ্টিক আচরনের ব্যষ্টিক ভিত্তিক মডেল সমুহেরে উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে, যেমন ভোগ সমীকরন। ডাচ অর্থনীতিবিদ জান টিম্বার্গেন সর্বপ্রথম জাতীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল উন্নয়ন করেন, যা তিনি নেদারল্যান্ডের জন্য তৈরি করেন এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে প্রয়োগ করেন। প্রথম বিশ্ব সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল হার্টন ইকোনোমেট্রিক ফোরকাষ্টিং এ্যাসোসিয়েট (Wharton Econometric Forecasting Associates)-এর লিন্ক প্রকল্পে (LINK project) লরেন্স ক্লেইন আরম্ভ করেন এবং তার ফলে তিনি ১৯৮০ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।

তত্ত্ববিদ যেমন জে আর রবার্ট লুকা মোঃ জয়নাল আবেদীন (আলাপ) ১১:৫২, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য খেলাঘর ব্যবহার করুন। সম্পাদনা

আপনার আলাপ পাতাতে অন্যান্যরা আপনার সাথে কথা বলবে। এখানে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবেন না। দরকার হলে মোঃ জয়নাল আবেদীন/খেলাঘর এই পৃষ্ঠাতে সেগুলি চালান। অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:৫৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন