ট্রাইকোডার্মা কি, কেন, কিভাবে, কখন ,কি পরিমাণ?


ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্ত ভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক, যা উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি মাটিতে বসবাসকারি উদ্ভিদের ক্ষতিকর জীবাণু যেমন- ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোড কে মেরে ফেলতে সহযোগীতা করে। ট্রাইকোডার্মা প্রকৃতি থেকে আহরিত এমনই এক প্রকার অণুজীব যা জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমনের পাশাপাশি জৈব সার, জৈব উজ্জিবক তৈরি ও জৈব পদার্থের পচন ক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ব্যবহার করা হয়। ট্রাইকোডার্মার নিয়ে ১৭৯৪ ক্রিশ্চিয়ান হেন্ড্রিক পারসন প্রথম কাজ করেন। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তা শ্রেণিবিন্যাসের অন্তভূক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৮০১ সালে এটি শ্রেণীবিন্যাসের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। অদ্যবধি ট্রাইকোডার্মার ১৩৭টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ টি প্রজাতি পরিবেশের জন্য বেশি উপকারি। ভারতবর্ষে সাধারণত দুটি প্রজাতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হলো- Trichoderma harzianum, ও Trichoderma viride. জৈব বালাইনাশক হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম এর উপযোগিতা যাচাই করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগ তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.বাহাদুর মিয়া। ২০১৩ সালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া ল্যাবরেটরীতে গবেষণার মাধ্যমে কম্পোস্ট সারে ব্যবহার উপযোগী ট্রাইকোডার্মা উৎপাদন শুরু করা হয়। ট্রাইকোডার্মা একটি বায়ো-ফানজিসাইড যা জৈব উপাদানকে দ্রুত পচাঁনোর পাশাপাশি উদ্ভিদের রোগ দমন, প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। ট্রাইকোডার্মার ব্যবহার ও উপকারিতা ট্রাইকোডার্মা সাসপেনশন, পাউডার এবং পেস্ট আকারে উৎপাদন করা যায়।নিয়মানুযায়ী ব্যবহার করলে এর শতভাগ সুফল পাওয়া যায়। পঁচা আবর্জনায় ‘ট্রাইকো-সাসপেনশন’ এর জলীয় দ্রবণ মিশিয়ে দ্রুত সময়ে জৈব সার উৎপাদন করা যায়। এটি পরিবেশ বান্ধব ও সহজলভ্য হওয়ায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াও ফসল উৎপাদন করা যায়। এর ব্যবহারে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব। ইহা উদ্ভিদের বীজ শোধন ও মাটি বাহিত রোগ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া শিকড় অঞ্চলে হরমোন উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্ভিদের বৃদ্ধি, ফসল উৎপাদন ও ফসলের গুণগতমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কৃষিতে ট্রাইকোডার্মা ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয় হয়। জমিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়। এর সফল প্রয়োগে জমিতে ৪০-৬০% রাসায়নিক সার কম লাগে। ট্রাইকোকম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতি ভার্মি ও ট্রাইকো তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একই। তবে ভার্মি কম্পোস্ট থেকে শুধু জৈব সার পাওয়া যায়, অন্যদিকে ট্রাইকোকম্পোস্ট সার, বালাইনাশক উভয় ভূমিকা পালন করে। যে কারণে এ সারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই সার সহজেই তৈরি করা যায়। উৎপাদন খরচও খুব কম। সার তৈরির জন্য বিভিন্ন জৈব উপাদান যেমন- গোবর, কাঠের গুঁড়া/কোকোপিট/লিটার, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, সবুজ উদ্ভিদ, কচুরিপানা, পচঁনশীল জৈব পদার্থ, নিমপাতা, চিটাগুড়, ভুট্টার গুড়া, মাসকলাইয়ের ভূষি/বেসন এর সাথে ট্রাইকোডার্মা ভালোভাবে মেশাতে হয়। পরে মিশ্রণ টি হাউজে দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে। ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই সার ব্যবহার উপযোগী হয়। ভালোভাবে পচঁনের জন্য ১৫ ও ৩০ তম দিনে এ মিশ্রণ উল্টিয়ে দিতে হয়। এছাড়া হাউজের পাশে গর্ত রাখতে হবে, যাতে হাউজ থেকে বের হওয়া লিচেট সেখানে জমা হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এই তরল কম্পোস্ট গাদার আদ্রতা সংরক্ষরণের জন্য স্প্রে করা হলেও ৩৫ দিন পর বের হওয়া তরল বালাইনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ট্রাইকোডার্মা জৈব সারের উপকারিতাঃ ট্রা্ইকোডার্মা মিশ্রিত জৈব সার মাটিতে বসবাসকারী ট্রাইকোডার্মা ও অন্যান্য উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর ছত্রাককে ধংস করে। মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, পানির অপচয় রোধ তথা সেচ খরচ কম হওয়ার ফলে আর্থিক সাশ্রয় হয়। মাটির অম্লতা, লবনাক্ততা, বিষক্রিয়া প্রভৃতি রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাটি ও ফসলের রোগ বালা্ই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার ফলে পরিবেশের উন্নতি ঘটে এবং বিষমুক্ত খাদ্য-শস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা কে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের বেশির ভাগের উপস্থিতির কারনে কমপক্ষে ৩০-৪০% রাসায়নিক সার সাশ্রয় হয় বলে উৎপাদন খরচ কমে আসে। ফসলের উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে তুলনামূলক আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ট্রাইকোডার্মা প্রয়োগ করলে চারার ধসা, পঁচা, পাতা কুঁকরানো এবং যে কোন ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ট্রাইকোডার্মা গাছের পুষ্টি গ্রহনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। যে সকল ফসলে সাধারণত ব্যবহার করা হয়

  1. প্রধান ফসল: ধান, গম, পাট, তুলা, আখ, তামাক, ভুট্টা, ডাল, ও সকল তৈল ফসল।
  2. সবজি: আলু, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মটর, মরিচ, ইত্যাদি।
  3. ফলজ গাছ: আম, লিচু, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা, কুল, নারিকেল, ইত্যাদি।
  4. ফুলের বাগান: অর্কিড সহ সকল ধরনের ফুলের চাষে।
  5. মসলা ও ঔষধী গাছ: আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, স্টেভিয়া, এলোভেরা, তুলসী, পুদিনা, ইত্যাদি।
  6. চা গাছ: চা, কফি, গোলমরিচ, ইত্যাদি।

ট্রাইকোডারমার সাহায্যে দমনকারী রোগ সমুহ সাদা গোড়াপঁচা, গোড়াপঁচা, এনথ্রাকনোজ, ফলপঁচা, পাতা কুঁকড়ানো, পাতা পঁচা, কলার রট, কলার হোয়াইট রট, ডাইবেক, বীজপঁচা, চারা পঁচা, ডাম্পিং অফ, কান্ড পঁচা, ব্রাউন রট, ক্যাপসুল রট, রাইজোম রট, চারকোল রট, বাদামী দাগ, কর্ণরট, ড্রাই-কর্ণরট, সকল ধরনের বীজ বাহিত রোগ, কিছু কিছু শস্যের ভাইরাস-জনিত রোগ। চা গাছের ক্ষেত্রে: নার্সারী স্টেজে চা বীজের কলাররট, ডাম্পিংঅফ রোগ। কান্ডের স্টেমব্লাইট। চায়ের শিকড়ের চারকোল স্টাম্প রট, বাদামী শেকড় পঁচা ও কাল শিকড় পঁচা রোগ। সতর্কতা ট্রাইকোডার্মা সাধারণত ২৫-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেশি বংশ বিস্তার করে। তাপমাত্রা যেন ৩০ডিগ্রীর বেশি বা ১৭ ডিগ্রীর কম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পচনশীল নয় অথবা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এমন উপাদান ব্যবহার না করা উত্তম। উত্তমরূপে বংশ বিস্তারের জন্য জৈব উপাদান সমূহে ৩০-৪০% আদ্রতা সংরক্ষণ করতে হবে। এ সার উৎপাদনের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ট্রাইকোডার্মা পাউডার ব্যবহার পদ্ধতি ও মাত্রা

  1. বীজ শোধন: বীজ বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ১০-১৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা পাউডার ১৫-২৫ মি:লি: পানিতে মিশিয়ে ছায়ায় ভালভাবে বীজের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
  2. চারা শোধন: প্রতি লিটার পানিতে ৫-১০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা গুলে চারার গোড়া ছায়ায় ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে রোপন করুন।
  3. বীজতলা শোধন: প্রতি শতাংশ জমির বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ২৫ লিটার পানিতে গুলে ভালভাবে জমি ভিজিয়ে নিন।
  4. পাতায় স্প্রে: প্রতি লিটার পানিতে ৫-১০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভালোভাবে গুলে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করলে সাদা তলানী পড়বে। উপরের পানি সাবধানে নিয়ে ফসলের উপর করুন । সাদা তলানী টুকু গাছের গোড়ায় মাটিতে মিশিয়ে দিন।
  5. মাটিতে প্রয়োগ করলে: একর (১০০শতাংশ) প্রতি২-৩ কেজি ট্রাইকোডার্মা ৫০কেজি পঁচা গোবর কিংবা কম্পোস্টের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।

ট্রাইকোডার্মা জৈব সার ব্যবহার পদ্ধতি ও মাত্রাঃ (প্রতি একরে) আলুর জন্য = ৭০০কেজি সবজির জন্য = ৫০০কেজি ভূট্টার জন্য = ৮০০কেজি ধানের জন্য = ৭০০কেজি

অন্যান্য গাছের জন্য- ক্রঃ নং ফসলের নাম সার প্রয়োগের সময় সারের পরিমাণ মন্তব্য ১ ফল (বহুবর্ষজীবি) চারা লাগানোর সময় ১০-১২ কেজি চারা লাগানোর সময় সার যথা সম্ভব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে সেচ দিতে হবে। ১ বছর পর ৪-৫ কেজি ২ বছর পর ৬-৭ কেজি ৩ বছর পর ৮-৯ কেজি

২ ফল (একবর্ষজীবি) চারা লাগানোর সময় ৫-৭ কেজি চারা লাগানোর সময় সার যথা সম্ভব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে সেচ দিতে হবে। ৩ মাস পর ২-৩ কেজি ৬ মাস পর ১-২ কেজি

৩ গুল্মজাতীয় (চা, লেবু, মাল্টা) চারা লাগানোর সময় ৩-৪ কেজি চারা লাগানোর সময় সার চারার চারপাশে দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। পরবর্তীতে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

৩ মাস পর ১ কেজি 
৬ মাস পর ১ কেজি 
১ বছর পর ১ কেজি

৪ ফুল চারা লাগানোর সময় ২-৩ কেজি চারা লাগানোর সময় সার যথা সম্ভব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে সেচ দিতে হবে।

১ মাস পর ১ কেজি 
৩ মাস পর ১ কেজি 

উপসংহার বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান বড় চ্যালেঞ্জ হলো অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যতিরেকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। তাই, কৃষক পর্যায়ে ট্রাইকোডার্মা ও ট্রাইকো-কম্পোস্ট বা জৈব সার এর উপকারিতা, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও সচেনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের আরো বিস্তার ঘটাতে হবে। উন্নত দেশের ন্যায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে ট্রাইকোডার্মা ও ট্রাইকো-কম্পোস্ট এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। যা আমাদের দেশে ও বিশেষ প্রয়োজন। কেন না ট্রাইকোকম্পোস্ট সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনক ভাবে বাড়ে অন্য দিকে মাটির উর্বরতা ঠিক থাকে এবং রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, এদেশে ফসল উৎপাদনে প্রচুর ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় যা আমাদের প্রাকৃতিক এবং শারীরিক নানা সমস্যা সৃষ্টি করে, আর তাই মাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে – রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মুক্ত কৃষি পণ্য উৎপাদনে’ ট্রাইকোডার্মা (একধরনের বিশেষ উপকারি ছত্রাক) ও ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করে সবুজ প্রযুক্তিতে ফসল উৎপাদন করতে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর একদল গবেষক উৎপাদন করছে ট্রাইকোডার্মা জৈব সার। এটি ফসলে ব্যবহার করলে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের (কীটনাশক) ব্যবহার কমে আসবে। উৎপাদন দ্বিগুণ।এখনও অধিকাংশ কৃষক তাদের ফসলে রোগ-পোকার আক্রমণ ঘটলে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করেন যার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তারা অবহিত নন। কিন্তু এই গুলি পরিবেশ উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ফসলে প্রয়োগের পরে তা শুধু রোগ-পোকা ধংস করেই থেমে থাকে না, তার ক্ষতিকর প্রভাব পরে পরিবেশের উপর। এমনকি এই রাসায়নিক যুক্ত ফসল গ্রহণ করলে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর ও স্বাস্থ্যে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। অপর দিকে জৈব রোগনাশক প্রয়োগ করলে ফসলের সাথে সাথে স্বাস্থ্য ও থাকে রোগ মুক্ত এবং প্রাণবন্ত। এ ছত্রাক একটি কার্যকরী জৈব রোগনাশক হিসাবে কাজ করে। এটি সাধারণত বাহকের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় পাওয়া যায়। যেখানে বার বার রাসায়নিক ছত্রাক নাশক ব্যবহার করার ফলে এর প্রতিরোধী ছত্রাকের জাত সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে এটি খুবই কার্যকরী। ট্রাইকোডার্মা বীজের অঙ্কুরোদগমে, গাছের বৃদ্ধি ও দ্রুত ফুল আসতে সহায়তা করে। এছাড়া গাছ, ফুল ও ফলের গুণগতমান বৃদ্ধি করে। এটি পরিবেশের কোন রকম ক্ষতি করে না।

রচনা ও সম্পাদনায় মোঃ আব্দুর রহিম উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বগুড়া সদর, বগুড়া। ০১৭১৪৫১২৩৭০ rahimpgdrd2@gmail.com