বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা

জমি ক্রয়ের পূর্বে যা ভালভাবে জানা দরকার - সম্পাদনা

  1. জমি ক্রয়ের পূর্বে যা ভালভাবে জানা দরকার -

১। বিক্রেতার সঠিক মালিকানা ও হস্তান্তরের বৈধ অধিকার আছে কি-না। ২। প্রস্তাবিত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান দাতার নিজ নামে কিংবা পুর্ব পুরুষের সম্পত্তি হলে প্রস্তাবিত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান পুর্ব পুরুষের নামে আছে কি-না। ৩। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ আছে কি-না। ৪। প্রস্তাবিত সম্পত্তির দখল বিক্রেতার আছে কি-না। ৫। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারি সম্পত্তি নয়। ৬। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা নাই। ৭। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্টানের নিকট দায়বদ্ধ নয়। ৮। নাবালকের সম্পত্তি হলে বৈধ অভিভাবক অথবা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবকের বিক্রয়ের ক্ষমতা আছে কি-না ৯। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ ১৯৭২এর অধীন ক্রোকের আওতাধীন নয়। ১০। বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রন,ব্যবস্হাপনা ও নিষ্পত্তি) আদেশ ১৯৭২,এর অর্থানুযায়ী পরিত্যক্ত নয়। ১১। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি সরকারেরঅনুকুলে বাজেয়াপ্ত নয়। ১২। প্রস্তাবিত হস্তান্তর আপাততঃ বলবত অন্য কোন আইনের কোন বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক নয়। ১৩। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্ণি নিয়োগ করা আছে কি-না।

  1. জমি_ক্রয়ের_পর_করনীয়-

যে কোন দলিলের মাধ্যমে জমি প্রাপ্তির পর আপনার মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবেঃ

১) দলিল রেজিস্ট্রির পর আমিন দ্বারা জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে পূর্বের মালিকের কাছ থেকে দখল বুঝে নিতে হবে। ২) জমিতে আপনার দখল প্রতিষ্ঠার জন্য জমির প্রকৃত ব্যবহার তথা চাষাবাদ, গাছপালা রোপন, ঘরবাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি করতে হবে। ৩) রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মূল দলিল পেতে দেরি হলে মুল দলিলের নকল বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হবে। ৪) দলিলের নকল প্রাপ্তির পর দ্রুত সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করে নিজ নামে নামজারি (মিউটেশন) করতে হবে, কারন দখল এবং নামজারি করতে দেরি করলে অসাধু বিক্রেতা আপনার ক্রয়কৃত জমি অন্যত্র বিক্রয় করতে পারে। ৫) সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারি হলে, নামজারি খতিয়ান এবং ডি,সি,আর, সংগ্রহ করতে হবে এবং নতুন হোল্ডিং এ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে দাখিলার কপি সংগ্রহপূর্বক সংরক্ষণ করতে হবে।

  1. রেজিস্ট্রেশনের জন্য দলিল দাখিলের সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্রের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে এবং একসেট ফটোকপি এল,টি, নোটিশের সাথে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সংযুক্ত করতে হবেঃ

১। সংশ্লিষ্ট জমির সি,এস,/এস,এ,/আর,এস (বি,আর,এস),নামজারী খতিয়ানের মূল কপি অথবা সহি মোহরীয় নকল। (ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে আবেদন করে জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমের খতিয়ান সংগ্রহ করুন) ২। মাঠ পর্চা। (সংশ্লিষ্ট উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করুন) ৩। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের রশিদ (দাখিলা)। [ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার (তহশিলদারের) কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করুন] ৪। ওয়ারিশ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ৫। প্রয়োজনীয় বায়া দলিল সমুহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ৬। জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্র। ৭। দাতা/সম্পাদনকারী/গ্রহিতাগণের সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ৮। TIN (টি, আই,এন) সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

                     ★★★

সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন,নিজে আইন মেনে চলুন,অন্যকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।সবাই আইন ও নিয়ম মেনে চলে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ ঘটনে অবদান রাখুন।

শেখ মোঃআমির উদ্দিন(আমির)

                                এডভোকেট, 
                           ঢাকা জজ কোর্ট

সম্পাদক,আইন আদালত সবার তরে।

           প্র‍য়োজনে - 01673- 240243,

Adv S M Amir

Amir এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আমির (আলাপ) ০৮:৫০, ১৬ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি)উত্তর দিন