কারি পাতার গুণাগুন।

🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কারিপাতা এক অপরিহার্য ভেষজ। নানান কাজে এর ভূমিকার জুরি মেলা ভার। কারি পাতা এক কথায় মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক মরণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

অনেকেই খাবারে মসলা হিসেবে কারি পাতা ব্যবহার করেন। নিম পাতার মতো দেখতে এ পাতা মিষ্টি নিম কিংবা বারসুঙ্গা নামেও পরিচিত। এর পাতা ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে সাধারণত একে 'কারি পাতা' বলা হয়।

কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই।

এসব কারণে এ পাতা ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং এর মাধ্যমে রূপচর্চাতেও বহু উপকার পাওয়া যায়। চকচকে সবুজ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমান ঠিক রাখে। লিভারের জন্য কারি পাতা বেশ উপকারি। এবং হজমেও সহায়তা করে।যদি সুস্থ-সুন্দর জীবন পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কারি পাতা ব্যবহার করতে শুরু করুন।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কারি পাতার উপকার সম্পর্কে-

1️⃣অ্যানিমিয়া দূর করেঃ ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন শরীরে থাকার সুযোগই পায় না। প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২টা কারি পাতা খেলেই উপকার পাবেন।

2️⃣লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ প্রাকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম। এক্ষেত্রে এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

3️⃣ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

4️⃣হার্ট ভাল রাখেঃ কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

5️⃣ত্বকের সংক্রমণ কমায়ঃ কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।

6️⃣চুলের যত্নে কারি পাতা

কারি পাতা চুলের রঙের উন্নতিতে সাহায্য করে। চুলের তেলে কয়েকটি কারি পাতা যোগ করুন তারপর তেল ফুটিয়ে নিন এবং মাথার খুলির উপর এটি লাগান। এটি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।কারি পাতা চুলের অকালপক্বতা প্রতিরোধ করে।কারি পাতা চুলের যত্নের জন্য ভাল কাজ করে। খাবার থেকে ফেলে না দিয়ে পাতাগুলি নিয়ে নিন। নয়তো সকালে প্রাতরাশে ক্যারি পাতার পাউডার খেতে পারেন।এছাড়া আমলকি, শিকাকাই এবং মেথি ও কারি পাতা চুলের জন্য বেশ উপকারি। কচি-কারি পাতার পেস্ট আপনার চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কাজ করে।

এছাড়ও কারি পাতা আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের চুল ও স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি- কারি পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে সহায়ক হয়।

7️⃣চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে।কারি পাতা বদহজম এবং বমি বমি ভাবের প্রতিকার করে।

8️⃣কারি পাতা থেকে রস বের করে নিন এবং এটি তাজা লেবুর রস এবং চিনির সঙ্গে মিশ্রিত করুন। এটা বমি বমি ভাব এবং বদহজম চিকিত্‍সার জন্য সাহায্য করে।

9️⃣কারি পাতা ডায়রিয়ার জন্য ভাল প্রতিকার। কারি পাতায় কার্বজোল আলকালয়েড থাকে যা ডায়রিয়ার চিকিত্‍সায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

🔟ডায়রিয়ার চিকিত্‍সা করতে, কারি পাতা নিন এবং সরাসরি এর পেস্ট বা রস তৈরি করুন। এগুলি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার শরীরকে চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে।

1️⃣1️⃣কারি পাতা কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ থেরাপির জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে।এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো খাবার।

1️⃣2️⃣এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

1️⃣3️⃣প্রাতরাশে কারি পাতার পাউডার ব্যবহার করা ভালো।

1️⃣4️⃣কারি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে।গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর পক্ষে এবং পাচনতন্ত্র উন্নত করার ক্ষেত্রে এটি বেশ ভালো।

1️⃣5️⃣কাঁচা কারিপাতা কয়েকটা জলেতে ধুয়ে রান্নার সময় তার ভেতরে ছিঁড়ে দিলে রান্নায় সুঘ্রাণ ও ঝাঁঝ আসে।

1️⃣6️⃣খাসির মাসতে, মিশ্র সবজি, ডাল ইত্যাদি কারিপাতা দিয়ে রান্না করা যায়।

1️⃣7️⃣কারিপাতা শুকনো করে গুঁড়ো হিসেবে কারি পাউডার তৈরি করা যায়।

1️⃣8️⃣বোতলে ভরে রেখে রান্নার সময় তা ব্যবহার করা যায়। তবে কাঁচা পাতায় ঘ্রাণ বেশি।

1️⃣9️⃣কারিপাতা, গাছ, শিকড় সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন।

2️⃣0️⃣গাছের শিকড় অর্শ রোগে উপকারী।

2️⃣1️⃣আমাশয় ও ডায়রিয়া সারাতেও কারিপাতা ওস্তাদ।

2️⃣2️⃣কয়েকটা সবুজ পাতা চিবিয়ে খেলে এটা সেরে যায়।

2️⃣3️⃣পাতা সেঁকে ও তা থেকে ক্বাথ তৈরি করে খেলে বমিভাব দূর হয়।

2️⃣4️⃣রেচনতন্ত্রের ব্যথা দূর করতে পাতার রস সেবন করতে পরামর্শ দেয়া হয়।

2️⃣5️⃣শরীরের কোথাও কোনো বিষাক্ত পোকা কামড়ালে কাঁচা কারিপাতা ডলে সেখানে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।

2️⃣6️⃣যকৃতের কঠিন ব্যথা সারাতে রোগীদের কারিপাতা গাছের শিকড়ের রস খাওয়ানো হয়।

2️⃣7️⃣শুধু পাতা নয়, এর ফলও খাওয়া যায়।

2️⃣8️⃣বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তার গন্ধ অনেকটা নারকেল তেলের মতো আর স্বাদ মরিচের মতো ঝাঁঝালো।

🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵

তথ্যসূত্র

🌞🌞🌞Dr.N G Sarkar. 🌞🌞🌞

🔱Mangalmayee manashatarapith Yogasaram Nath Tirthanath Samprodhya Akhara.🔱whats app No.±919748328971নাম্বারে নিজের পরিচয় দিয়ে Massage -এ জানান+919748328971/+916291180629