বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
বৌ-ঠাকুরাণীর হাট হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক রচিত একটি বাংলা উপন্যাস। এটি ১৮৮৩ সালে প্রকাশিত হয়।[১][২] রচনার দিক থেকে "করুণা" পূর্ববর্তী হলেও "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট" উপন্যাসটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।[২] তিনি এই উপন্যাসকে কেন্দ্র করেই রচনা করেন "প্রায়চিত্ত" (১৯০৯) নাটকটি।[৩] ১৯২৯ সালে নাটকটি ভেঙে পুুুুনরায় রচনা করেন "পরিত্রাণ" নাটক।[৩]
![]() | |
লেখক | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | ১৮৮৩ |
উৎসর্গীকরণসম্পাদনা
রবীন্দ্রনাথ তাঁর দিদি সৌদামিনী দেবীকে "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট" উপন্যাসটি উৎসর্গ করেন।[৪]
ইতিহাসসম্পাদনা
গবেষকদের মতে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীপুরের জমিদার সারদা রঞ্জন পালের কন্যা বিভা রানী পালের। প্রতাপাদিত্য ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজা, আর সারদা রঞ্জন ছিলেন তাঁর তুলনায় উদার মনের মানুষ। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর প্রভাব পড়ে বিভার সংসারে। এই কাহিনীকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট" নামক উপন্যাস।[৫]
চলচ্চিত্র নির্মাণসম্পাদনা
রবীন্দ্রনাথের "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত–
- বউ ঠাকুরাণীর হাট, ১৯৫৩ ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র[৬]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ RisingBD। "কবিগুরুর সাহিত্যকর্ম"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ ক খ বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, ড. দুুলাল চক্রবর্তী, জুলাই - ২০০৭, বাণী বিতান।
- ↑ ক খ রবীন্দ্র নাটক সমগ্র (অখন্ড), সেপ্টেম্বর ২০১৫ (ষষ্ঠ প্রকাশ), কামিনী প্রকাশালয়।
- ↑ "বউ-ঠাকুরানীর হাট,উপহার, ২ | রবীন্দ্র রচনাবলী"। rabindra-rachanabali.nltr.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "'বউ ঠাকুরানীর হাট' উপন্যাসের সেই জমিদার বাড়িটি ধ্বংসের পথে | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Bou Thakuranir Haat (1953)"। Indiancine.ma। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।