বৌদ্ধ দর্শন হল ত্রিপিটকআগমে লিপিবদ্ধ গৌতম বুদ্ধের উপদেশের বিস্তারিত ব্যাখ্যা। এই দর্শনের মূল উপজীব্য হল ধর্মের বাস্তব রূপটি প্রকাশ করা। বৌদ্ধ দর্শনে ধারণাগুলির স্বরূপ আলোচনার পর পুনরায় বৌদ্ধ মধ্যপন্থায় ফিরে আসার প্রবণতাটি বার বার আলোচিত হয়েছে।[১][২]

গৌতম বুদ্ধ

প্রাচীন বৌদ্ধধর্ম অধিবিদ্যা, প্রপঞ্চবিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞানজ্ঞানতত্ত্বের অনুমান-ভিত্তিক ধারণাগুলি এড়িয়ে গিয়ে[৩] আয়তনের পরীক্ষামূলক প্রমাণের ভিত্তিতে দর্শনতত্ত্ব গড়ে তুলেছিল।[৪]

তা সত্ত্বেও, বৌদ্ধ পণ্ডিতরা পরবর্তীকালে তত্ত্ববিদ্যা ও অধিবিদ্যা-সংক্রান্ত বিষয়গুলির উত্থাপন করেছিলেন। বৌদ্ধ দর্শনের নির্দিষ্ট কয়েকটি বক্তব্য প্রায়শই বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়গুলির মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিস্তারিত ব্যাখ্যাসমূহ ও বিবাদ থেকেই অভিধর্মের প্রাচীন বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়, মহাযান শাখা এবং প্রজ্ঞাপারমিতা, মধ্যমক, বুদ্ধ-প্রকৃতিযোগাচার প্রভৃতি শাখার উৎপত্তি ঘটে।

==টীকা==বৌদ্ধ বুদ্ধের জন্ম খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Kalupahana 1994
  2. David Kalupahana, Mulamadhyamakakarika of Nagarjuna. Motilal Banarsidass, 2006, page 1.
  3. Gunnar Skirbekk, Nils Gilje, A history of Western thought: from ancient Greece to the twentieth century. 7th edition published by Routledge, 2001, page 25.
  4. David Kalupahana, Causality: The Central Philosophy of Buddhism. The University Press of Hawaii, 1975, page 70.

সূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Idealism