বৈকুণ্ঠনাথ সেন

আইনজ্ঞ, মানবতাবাদী

বৈকুণ্ঠ নাথ সেন সিআইই (১৮৩৩ - ১৯২২) একজন বাঙালি পণ্ডিত, আইনজীবী এবং সমাজসেবী ছিলেন। তার নাতি অমরেন্দ্র নাথ সেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।[১]

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

বৈকুন্ঠনাথ সেন তৎকালীন বৃটিশ ভারতের  বর্ধমান জেলার আলমপুর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হরিমোহন সেন মুর্শিদাবাদ জেলায় চলে আসেন এবং বহরমপুরে বসবাস শুরু করেন। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন[২] ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বি.এ এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পাশ করেন। তারপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টে এবং বহরমপুর জজ কোর্টে ওকালতি শুরু করেন।তিনি কাশিমবাজার রাজ পরিবারের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

সেন একজন আইনজীবী ও বক্তা হিসাবে দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি মুর্শিদাবাদ হিতৈষী নামক একটি সাপ্তাহিকের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। তিনি আধুনিক শিক্ষার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। ১৯১৬–-১৭ সালে তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন সংবর্ধনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।[২][৪] সেন বহরমপুর পৌরসভার প্রথম বেসরকারি ভারতীয় চেয়ারম্যান হন, কারণ,তৎকালীন মুর্শিদাবাদ জেলা বোর্ড যা মন্টাগু – চেলসফোর্ড সংস্কার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১][৫] কাশিমবাজারের মহারাজা মনীন্দ্রনাথ নন্দীর এবং বৈকুণ্ঠনাথের অর্থে বেঙ্গল পটারি ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল[৩]

সম্মাননা সম্পাদনা

১৯২০ সালে, সেন অফ দি অর্ডার অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (সিআইই) এর সহযোগী নিযুক্ত হন এবং রায় বাহাদুর উপাধি লাভ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. George H. Gadbois Jr. (২ মে ২০১১)। Judges of the Supreme Court of India: 1950–1989আইএসবিএন 9780199088386। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩, ২০১৮ 
  2. "Krishnath College School"। জুন ৬, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩, ২০১৮  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. Vol I, Subodh C. Sengupta & Anjali Basu (২০০২)। Sansad Bangali Charitavidhan (Bengali)। Sahitya Sansad। পৃষ্ঠা 367। আইএসবিএন 81-85626-65-0 
  4. K. S. Bharathi (১৯৯৮)। Encyclopaedia of Eminent Thinkersআইএসবিএন 9788180696343। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩, ২০১৮ 
  5. "OUR TOWN IS NOT SO BIG AS OUR HEART IS !"। আগস্ট ৩০, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩, ২০১৮