মহাবোধি মন্দির

বৌদ্ধ মন্দির
(বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মহাবোধি মন্দির (সংস্কৃত: महाबोधि मंदिर) বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির। এখানে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বোধগয়া ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা শহর থেকে ৯৬ কিমি (৬০ মা) দূরে অবস্থিত। মন্দিরের পশ্চিম দিকে পবিত্র বোধিবৃক্ষটি অবস্থিত। পালিশাস্ত্রে এই গাছটির নাম বোধিমণ্ড[১] এবং এখানকার মঠটির নাম বোধিমণ্ড বিহার। মন্দিরের উচ্চতম শীর্ষটির উচ্চতা ৫৫ মিটার (১৮০ ফু)। মহাবোধি মন্দির হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ের কাছে চূড়ান্ত শ্রদ্ধার । হিন্দুদের কাছে বুদ্ধদেব অবতার হিসেবে পূজিত । তাই মোহবোধি মন্দিরকে বিশেষ গুরুত্বের জায়গায় রেখেছে ভারত সরকার । ভারতের ধর্মীয় সহনশীলতার ও আন্তরিকতার যে বাতাবরণ রয়েছে যাকে প্রকাশ করে এই মহাবোধি মন্দির । আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদ হারিয়ে যেত যদি না তা নেপাল রাজদরবারে পৌঁছতো । ইসলামী শাসকদের আক্রমণে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যেরা নিজেদের প্রাণ, ধর্ম ও সাহিত্য-সংস্কৃতি বাঁচাতে আশ্রয় নেয় হিন্দুধর্মাবলম্বী নেপাল রাজের দরবারে । মহাবোধি মন্দিরও অনুরূপ ভাবে ধ্বংস হয়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই আক্রমণে। ভারত সরকার প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করছে মহাবোধি মন্দির তথা বুদ্ধগয়ার উন্নয়নে।

বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
Mahabodhi Temple
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: (i), (ii), (iii), (iv), (vi)
সূত্র১০৫৬
তালিকাভুক্তকরণ২০০২ (২৬তম সভা)
স্থানাঙ্ক২৪°৪২′ উত্তর ৮৫°০০′ পূর্ব / ২৪.৭° উত্তর ৮৫.০° পূর্ব / 24.7; 85.0

মহাবোধি বিহার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদনা

মহাবোধি বিহারটি তৃতীয় সঙ্গীতির পৃষ্ঠপোষক সম্রাট অশোক(৩০৪খ্রিষ্টপূর্ব-২৩২খ্রিষ্টপূর্ব) নির্মাণ করেছিলেন।

মহাবোধি বিহার স্থাপনের ইতিহাস সম্পাদনা

এটি একটি বৌদ্ধ বিহার । যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেন ।

মহাবোধি বিহার আবিষ্কার সম্পাদনা

হিন্দুদের দ্বারা মহাবোধি দখল সম্পাদনা

বোধিবৃক্ষের ইতিহাস সম্পাদনা

বোধগায়ায় বোধি গাছ সরাসরি ঐতিহাসিক বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ গৌতমের জীবনের সাথে যুক্ত, যিনি এর অধীনে ধ্যান করার সময় জ্ঞান বা নির্ভুল অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেছিলেন। মন্দিরটি বোধি গাছের পূর্ব দিকে নির্মিত হয়েছিল, সম্ভবত বোধি গাছের সরাসরি বংশধর হিসাবে অনুভূত হয়।

বৌদ্ধ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কোনও বোধি গাছ যদি সেই জায়গায় বৃদ্ধি না পায় তবে বোধি গাছের চারপাশের জমিটি এক রাজকীয় করাসের দূরত্বের জন্য সমস্ত গাছপালা ছাড়াই।  বোধি গাছের চারপাশের মাঠের মধ্য দিয়ে কোনও হাতিও নয়, যাতায়াত করতে পারে না। 
জাতকদের মতে পৃথিবীর নাভি এই স্থানে অবস্থিত,  এবং অন্য কোনও স্থান বুদ্ধের প্রাপ্তির ওজনকে সমর্থন করতে পারে না। অন্য একটি বৌদ্ধ ঐতিহ্য দাবি করেছে যে কল্পের শেষে যখন পৃথিবীটি ধ্বংস হয়ে যায়, তখন বোদ্ধিমন্দা সর্বশেষে বিলুপ্তির জায়গা, এবং পৃথিবী আবার অস্তিত্বের মধ্যে আবির্ভূত হওয়ার পরে এটিই প্রথম প্রদর্শিত হবে। ঐতিহ্যটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে সেখানে একটি পদ্ম ফোটবে এবং নতুন কলাপের সময় যদি কোনও বুদ্ধের জন্ম হয়, তবে বুদ্ধের সংখ্যার সাথে মিল রেখে পদ্মফুলের উত্থান হবে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গৌতম বুদ্ধের ক্ষেত্রে, তাঁর জন্মের দিন একটি বোধি গাছ প্রসারিত হয়েছিল।

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. In Pali, using Romanized diacritic marks, the word is spelled bodhimaṇḍa. In the Pali Canon, this term is found throughout the Buddhavamsa and, in one place, in the Jataka (Ja iv.238). Horner (2000) translates bodhimaṇḍa as "the dais of the Tree of Awakening" (e.g., pp. 15 v. 65, 25 v. 183, passim).

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা