বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম

বাংলাদেশের স্টেডিয়াম

বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম (জামালপুর স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত) ১৯৬২ সালে নির্মিত বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম[২] স্থাপনাটি জামালপুর জেলার সদর থানায় জেলা কারাগারের পশ্চিমে এবং জিলা স্কুলের দক্ষিণে অবস্থিত। জেলার একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে এখানে জেলা ও উপজেলার যাবতীয় খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।[৩] ২০২০ সালে স্টেডিয়ামটির সংস্কার করা হয়। ১৪০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটিতে নিয়মিত খেলা আয়োজনের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ স্টেডিয়ামের মত এই ক্রীড়া স্থাপনাটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত[৪] এবং স্থানীয় জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম
জামালপুর স্টেডিয়াম
জামালপুর স্টেডিয়াম.jpg
সংস্কারকৃত স্টেডিয়ামের মাঠ ও প্যাভিলিয়ন,
২৯ ডিসেম্বর ২০২০
মানচিত্র
পূর্ণ নামবীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম
অবস্থানজামালপুর, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°৫৬′১১.০″ উত্তর ৮৯°৫৬′০৪.২০″ পূর্ব / ২৪.৯৩৬৩৮৯° উত্তর ৮৯.৯৩৪৫০০০° পূর্ব / 24.936389; 89.9345000
মালিকজাতীয় ক্রীড়া পরিষদ [১]
পরিচালকজামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা
ধারণক্ষমতা১৪০০০
উপরিভাগঘাস
স্কোরবোর্ডনেই
নির্মাণ
কপর্দকহীন মাঠ১৯৬২
উদ্বোধন১৯৭৯
পুনঃসংস্কার৭ নভেম্বর, ২০২০
নির্মাণ ব্যয় ৩৯ কোটি (সংস্কার, ২০২০)
সাধারণ ঠিকাদারতমা কনষ্ট্রাকশন
মেসার্স বিনিময় কনস্ট্রাকশন
মেসার্স কিউ এইচ মাসুদ এন্ড কোম্পানী
ভাড়াটে
জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশ

ইতিহাসসম্পাদনা

১৯৬২ সালে জামালপুর স্টেডিয়াম নির্মাণ করা শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়।[৫] ২০১৩ সালের দিকে স্টেডিয়ামটির নাম আব্দুল হাকিমের নামে "বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম" স্টেডিয়াম রাখা হয়।[২] ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার সাথে জামালপুর স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।[৬].২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর, ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তমা কনষ্ট্রাকশন, মেসার্স বিনিময় কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স কিউ এইচ মাসুদ এন্ড কোম্পানী স্টেডিয়ামটির সংস্কার সম্পন্ন করে।[৭]

অবকাঠামোসম্পাদনা

স্থাপনাটির অবকাঠামোতে মূল স্টেডিয়াম ছাড়াও,আউটার স্টেডিয়াম, ব্যায়ামাগার, শুটিং ক্লাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২] ২০২০ সালে সংস্কারের পর স্টেডিয়ামটিতে চারতলা প্যভেলিয়ন, তিন তলা গনসংযোগ ও সাংবাদিক কেন্দ্র, গুরুত্বপূর্ণব্যক্তিদের বসার লাউঞ্জ, খেলোয়াড়দের আবাস, পরিচ্ছন্নতা কক্ষ যুক্ত হয়েছে। গোলাকৃতির স্টেডিয়ামটিতে ১২ ধাপ বিশিষ্ট দর্শক বসার গ্যালারী যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও এই স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির খেলা আয়োজনের সুবিধার্থে 'ফ্লাড-লাইট' স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত।[৭]

ধারণ ক্ষমতাসম্পাদনা

২০২০ সালে সংস্কারের পর স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১৪০০০-এ উন্নীত হয়েছে।[৭]

আয়োজনসম্পাদনা

স্টেডিয়ামটিতে জামালপুর জেলা ও উপজেলার পর্যায়ের যাবতীয় খেলা অনুষ্ঠিত হয়।[৩] এছাড়াও জাতীয় পর্যায়, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় ফুটবল আর ক্রিকেট খেলার নিয়মিত আয়োজন হয়ে থাকে।[২] এছাড়াও এই স্টেডিয়ামে ২০তম জাতীয় হ্যান্ডবল, ২০তম জাতীয় ভারোত্তোলন, জাতীয় শুটিং আর জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।[৫] নিয়মিত ক্রীড়ানুষ্ঠান ছাড়াও স্টেডিয়ামটিতে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আর্কাইভ"। ২০১৩-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৬ 
  2. "বেহাল দশায় জামালপুরের ক্রীড়াঙ্গন"রাইজিংবিডি.কম। ২০১৩-০৯-০৩। ২০২২-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫ 
  3. "খেলাধুলা ও বিনোদন"জাতীয় তথ্য বাতায়ন - জামালপুর সদর উপজেলা। ২০২০-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫ 
  4. "অন্যান্য সকল স্টেডিয়াম"জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০২০-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯ 
  5. "হতাশার বৃত্তে জামালপুর"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০১৫-১০-২৬। ২০১৮-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫ 
  6. "যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ২০১৬-১৭" (পিডিএফ)যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫ 
  7. "উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম"বাংলাদেশ জার্নাল। ২০২০-১২-২৯। ২০২২-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫