বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য

বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য দেববর্মা বাহাদুর ১৯০৯ সালের ২৫ নভেম্বর ২৬ বছর বয়সে ত্রিপুরা রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন।

H.R.H. মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য দেববর্মা বাহাদুর
মহারাজা
রাজত্ব১৯০৯-১৯২৩
পূর্বসূরিরাধা কিশোর মাণিক্য
উত্তরসূরিবীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর
রাজবংশমাণিক্য রাজবংশ
ধর্মহিন্দু
তিপ্রা রাজ্য
ত্রিপুরার ইতিহাসের অংশ
মহা মাণিক্যআনু. ১৪০০–১৪৩১
প্রথম ধর্ম মাণিক্য১৪৩১–১৪৬২
প্রথম রত্ন মাণিক্য১৪৬২–১৪৮৭
প্রতাপ মাণিক্য১৪৮৭
প্রথম বিজয় মাণিক্য১৪৮৮
মুকুট মাণিক্য১৪৮৯
ধন্য মাণিক্য১৪৯০–১৫১৫
ধ্ব্জ মাণিক্য১৫১৫–১৫২০
দেব মাণিক্য১৫২০–১৫৩০
প্রথম ইন্দ্র মাণিক্য১৫৩০–১৫৩২
দ্বিতীয় বিজয় মাণিক্য১৫৩২–১৫৬৩
অনন্ত মাণিক্য১৫৬৩–১৫৬৭
প্রথম উদয় মাণিক্য১৫৬৭–১৫৭৩
প্রথম জয় মাণিক্য১৫৭৩–১৫৭৭
অমর মাণিক্য১৫৭৭–১৫৮৫
প্রথম রাজধর মাণিক্য১৫৮৬–১৬০০
ঈশ্বর মাণিক্য১৬০০
যশোধর মাণিক্য১৬০০–১৬২৩
অন্তর্বতীকাল১৬২৩–১৬২৬
কল্যাণ মাণিক্য১৬২৬–১৬৬০
গোবিন্দ মাণিক্য১৬৬০–১৬৬১
ছত্র মাণিক্য১৬৬১–১৬৬৭
গোবিন্দ মাণিক্য১৬৬১–১৬৭৩
রাম মাণিক্য১৬৭৩–১৬৮৫
দ্বিতীয় রত্ন মাণিক্য১৬৮৫–১৬৯৩
নরেন্দ্র মাণিক্য১৬৯৩–১৬৯৫
দ্বিতীয় রত্ন মাণিক্য১৬৯৫–১৭১২
মহেন্দ্র মাণিক্য১৭১২–১৭১৪
দ্বিতীয় ধর্ম মাণিক্য১৭১৪–১৭২৫
জগৎ মাণিক্য১৭২৫–১৭২৯
দ্বিতীয় ধর্ম মাণিক্য১৭২৯
মুকুন্দ মাণিক্য১৭২৯–১৭৩৯
দ্বিতীয় জয় মাণিক্যআনু. ১৭৩৯–১৭৪৪
দ্বিতীয় ইন্দ্র মাণিক্যআনু. ১৭৪৪–১৭৪৬
দ্বিতীয় উদয় মাণিক্যআনু. ১৭৪৪
দ্বিতীয় জয় মাণিক্য১৭৪৬
তৃতীয় বিজয় মাণিক্য১৭৪৬–১৭৪৮
লক্ষ্মণ মাণিক্য১৭৪০/১৭৫০-এর দশক
অন্তর্বর্তীকাল১৭৫০-এর দশক–১৭৬০
কৃষ্ণ মাণিক্য১৭৬০–১৭৮৩
দ্বিতীয় রাজধর মাণিক্য১৭৮৫–১৮০৬
রাম গঙ্গা মাণিক্য১৮০৬–১৮০৯
দুর্গা মাণিক্য১৮০৯–১৮১৩
রাম গঙ্গা মাণিক্য১৮১৩–১৮২৬
কাশী চন্দ্র মাণিক্য১৮২৬–১৮২৯
কৃষ্ণ কিশোর মাণিক্য১৮২৯–১৮৪৯
ঈশান চন্দ্র মাণিক্য১৮৪৯–১৮৬২
বীর চন্দ্র মাণিক্য১৮৬২–১৮৯৬
বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য১৯০৯–১৯২৩
বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য১৯২৩–১৯৪৭
কিরীট বিক্রম কিশোর মাণিক্য১৯৪৭–১৯৪৯
১৯৪৯–১৯৭৮ (নামমাত্র)
প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মা১৯৭৮–বর্তমান (নামমাত্র)
ত্রিপুরা রাজতন্ত্রের তথ্য
মাণিক্য রাজবংশ (রাজকীয় পরিবার)
আগরতলা (রাজ্যের রাজধানী)
উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ (রাজকীয় বাসভবন)
নীরমহল (রাজকীয় বাসভবন)
রাজমালা (রাজকীয় কালপঞ্জি)
ত্রিপুরা বুরঞ্জী (কালপঞ্জি)
চতুর্দশ দেবতা (পারিবারিক দেবতা)

শিল্পের পৃষ্ঠপোষক

সম্পাদনা
 
বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য নির্মিত লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির

শিল্পী ও সুপ্রতিভাবান গীতিকার বীরেন্দ্র কিশোর তার "সন্ন্যাসী", "ঝুলন" এবং "বংশী বদন" এর মতো সুন্দর তৈলচিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন।[] তিনি উজ্জয়ন্ত নাট্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ত্রিপুরায় থিয়েটারের উন্নয়নে গতিশীলতা এনেছিল। [] উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের অংশ হওয়া লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, 'দুর্গা বাড়ি' এবং 'লাল মহল' তার শাসনামালেই নির্মিত হয়েছিল। তিনি পুষ্পবন্ত প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন, যা বর্তমানে ত্রিপুরার রাজ্যপালের বাসভবন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হওয়ার পর রাজা বীরেন্দ্র কিশোর আগরতলায় একটি মহা সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন। [] শান্তিনিকেতনে চলমান আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তিনি শান্তিনিকেতনে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ৫,০০০ টাকা দান করেছিলেন। []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Leading lights among the Manikyas"। www.tripurainfo.in। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Datta, Sekhar (৬ এপ্রিল ২০১২)। "Drama through the ages"The telegraph। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১২ 
  3. Deb Barma, Aloy; Debroy, Prajapita (২০২২)। Cinema as Art and Popular Culture in Tripura: An Introduction (ইংরেজি ভাষায়)। Agartala: Tribal Research and Cultural Institute। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 978-81-958995-0-0 
  4. "Rabindranath immortalised Tripura"। Govt of Tripura। ২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১২